বাবা-মায়ের ঘাড়ে পুরো দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে বিয়ে করার দিন গেছে। এখন মেয়েরা অনেক বেশি সাবলম্বী। কেরিয়ার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তই হোক কী, বিয়ের প্ল্যানিং (planning), সবটাই নিজেরা মাথা খাটিয়ে করতে পছন্দ করেন। সেই দলে কি আপনিও আছেন? তা হলে তো বিয়ে সংক্রান্ত নানা খুঁটিনাটি বিষয় ঠিক করার সময় কতগুলি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। কারণ, একথা তো মানবেন যে চাকরি সামলে নিজে হাতে বিয়ের তোড়জোর করাটা সহজ কাজ নয়। তাই প্ল্যানিংয়ে যেন কোনও খামতি না থাকে। জেনে নিন, কী-কী বিষয় মাথায় রাখলে কাজটা সহজ হয়ে যাবে…
১. বাজেট ঠিক করে নিয়ে সেই মতো খরচ করুন
বিয়ের সব খরচই কি আপনি করছেন? তাহলে তো প্রথমেই পকেট বুঝে বাজেট তৈরি করে ফেলা উচিত। তবে শুধু বাজেট তৈরি করলেই চলবে না, সেই মতো খরচ করতে হবে। একটুও এদিক-সেদিক করলে চলবে না। একথা ঠিক যে বিয়েটা একবারই হবে। তাই সখ আল্লাদ থাকতেই পারে। কিন্তু তাই বলে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ফাঁকা করে দেওয়াটা তো কোনও কাজের কথা নয়। তাই বিয়ে ঠিক হওয়ামাত্র সেভিং বুঝে আলাদা আলাদা করে গয়নার বাজেট, ড্রেসের খরচ এবং অবশ্যই বাড়ি ভাড়া আর ক্যাটারিংয়ের পিছনে কত টাকা খরচ করতে চান, তা ঠিক করে নেবেন। প্রয়োজনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাড়ির বড়দের সঙ্গেও এই নিয়ে একবার আলোচনা সেরে নিতে পারেন। মোট কথা বাজেটের মধ্যে থেকেও যাতে সিংহভাগ সখ পূরণ হয়, তা সুনিশ্চিত করাটাই আপনার (Bride) মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
২. কোন কাজটা কখন করবেন, তা ঠিক করে ফেলুন
নিজের বাড়িতে যদি বিয়ের আসর না বসে, তা হলে বাড়ি ভাড়া করতে হবে। আজকাল বিয়ের মরসুমে বাড়ির এত চাহিদা থাকে যে আগে থাকতে বুক না করলেই বিপদ! তাই বিয়ের এক বছর আগে থাকতেই পার্টনারের সঙ্গে আলোচনা করে কোন বাড়িটা ভাড়া নেবেন সেটা ঠিক করে ফেলুন। আর সময় থাকতে থাকতে বুক করে ফেলবেন কিন্তু! তাতে ঝক্কি একটু কমবে বই কী। এর পর পরই আরেকটা কাজ করতে হবে। কী কাজ? বিয়ের দিন ঠিক হওয়ার মাস খানেকের মধ্যেই বাবা-মায়ের সঙ্গে আলোচনা করে অতিথিদের লিস্টটা ফাইনাল করে ফেলুন। কারণ, যতক্ষণ না এই লিস্টটা তৈরি করছেন, ততক্ষণ ক্যাটারার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। মেনু অনুযায়ী মাথা পিছু কত খরচ হবে সেটা জানার পরই তো বাকি বাজেটটা ঠিক করতে পারবেন। তাই এই কাজটা ঝটপট সেরে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ। এই ভাবে গুরুত্ব বুঝে বুঝে কোন কাজটা, কখন করতে হবে, তার একটা প্ল্যান ছকে ফেলুন। প্রয়োজনে গুগল শিটে কোন কাজ, কোন মাসে করবেন, তা লিখে রাখুন। তাতে কোনও কিছু মিস করে ফেলার আশঙ্কা যেমন কমবে, তেমনই অকারণ টেনশনও দূর হবে।
৩. কোনও কিছু নিয়েই তাড়াহুড়ো করবেন না
একা হাতে বিয়ের আয়োজন করাটা মুখের কথা নয়। তাই মাথা ঠান্ডা রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতেই তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। তাতে কিছু না কিছু ভুল হয়ে যেতে পারে। তাই খুব-চিন্তে সব সিদ্ধান্ত নিন। প্রয়োজনে একটু রিসার্চ করুন। বিশেষ করে ফোটোগ্রাফার, ডেকরেটার এবং ক্যাটারার ফাইনাল করার আগে নানা জায়গা থেকে খোঁজ খবর নিন। এরা আগে কেমন কাজ কাজ করেছে, সে সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করুন। সব কিছু জেনে-বুঝে নেওয়ার পরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিন, তাতে ঠকবেন না।
৪. বিয়ের দিন কে, কোন দায়িত্বে থাকবে সেটা ঠিক করে ফেলুন
বিয়ের দিন আপনার পক্ষে তো আর এদিক-সেদিক ছোটা সম্ভব নয়। তাই আগে থাকতেই পরিবারের কে, কোন দায়িত্বে থাকবেন, তা ঠিক করে নিয়ে সেই মতো আলোচনা সেরে নিন। কাকে, কোন দায়িত্ব দিলে ভাল হয়? ক্যাটারার এবং পরিবেশন সংক্রান্ত দায়িত্ব বাড়ির বড় কাউকে দিন। আপনার ভাই বা বা কোনও বন্ধুকে ডেকোরেটারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কাজটা দিতে পারেন। বাকি থাকল ফোটোগ্রাফার। এই দায়িত্বটা ছোট বোন বা কোনও বন্ধুর ঘাড়ে চাপাতেই পারেন। দশকর্মা এবং খুঁটিনাটি বাজার করার দায়িত্বটাও একজন দিতে হবে। তবে তার আগে পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলে কী কী জিনিস লাগবে, তার একটা ফর্দ তৈরি করে নেবেন।
৫. সব কিছু একবার মিলিয়ে দেখে নিন
বিয়ের মাসখানেক আগে ক্যাটারার এবং ডেকোরেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্ডারটা একবার ঝালিয়ে নেবেন। বাকি দিকগুলিও একবার যাচাই করে নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে একবার ফোটোগ্রাফারের সঙ্গেও আলোচনা সেরে নিতে পারেন। লিস্ট ধরে-ধরে সব কিছু মিলিয়ে নিলে আপনারই টেনশন কমবে। তাতে করে বিয়ের দিনে একটু মন খুলে একটু আনন্দ করতে পারবেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…