কৈশোর বা টিনেজ (teenage) আপনার সন্তানের জীবনে এক খুব গুরুত্বপূর্ণ সময় । এসময়ে নতুন নতুন বিষয়ে ওরা জানতে শুরু করে । একইসঙ্গে তাদের শরীর ও চিন্তাভাবনাতেও অনেক পরিবর্তন আসে । এসময়ে আরও অনেক বেশি করে সন্তানকে কাছে টেনে নিতে হবে । বাবা, মা’র সঙ্গে টিনেজাররা কম কথা বলে । হয়তো দেখা যায়, কোনও একজন বন্ধুর সঙ্গে অনেক বেশি কথা বলছে বা সারাদিন ব্যস্ত থাকছে তার সঙ্গে । পরিচিত লাগছে এসব ? নিজের মনকে শান্ত করুন এবং আপনার সন্তানকে বোঝার চেষ্টা করুন ।
একবার নিজের কৈশোরে ফিরে যান । কেমন ছিল সে সময়টা ? কৈশোরে ছেলে-মেয়েরা এমন ভুল করে ফেলে, যা তারা তাদের বাবা, মা’কে বলতে পারে না । তখন সবে সবেই যৌনতা নিয়ে জানতে শুরু করে তারা । স্কুলে এমন অনেক বিষয়ে আলোচনা হয় যা বাড়িতে বলতে পারে না । অনেক কিশোর ছেলে, মেয়েই অবসাদে ভোগে । কারণ তারা মনে করে, তাদের কোনও বন্ধু নেই । তারা একা । কিন্তু কেন ? এখানেই আপনার সন্তানকে বোঝা প্রয়োজন । তার অনুভূতিগুলোর দাম দেওয়া প্রয়োজন । সবথেকে বড় কথা, তার বন্ধু হয়ে ওঠা প্রয়োজন । যেন তারা আপনার সঙ্গে মনের ভাল লাগা – খারাপ লাগাগুলো ভাগ করে নিতে পারে । যেন আপনার সন্তান আপনাকে ভয় না পায় । তবে কীভাবে এই কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনার সন্তানের বন্ধু হয়ে উঠবেন ? সেরকমই কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করব ( communicating with your teenage kid) ।
ওদের কথা শুনুন
কী হয়েছে জানার জন্য সরাসরি প্রশ্ন করবেন না । তাহলে ওরা হয়তো নাও বলতে পারে । ওদের সঙ্গে অনেক কথা বলুন । কথায় কথায় জেনে নিন সন্তানের কী হয়েছে । আপনার সন্তানের কৈশোর তাকে আপনার আরও কাছে এনে দেবে যদি আপনি তাকে সঠিকভাবে বোঝেন ।
অনুভূতির দাম দিন
কৈশোরে অনেক নতুন অনুভূতি তৈরি হয় । হয়তো কাউকে ভাল লাগে । সে সম্পর্কে আঘাতও আসে । আপনার সন্তান সে খারাপ লাগার কথা আপনাকে জানালে উড়িয়ে দেবেন না । বলবেন না, “ও তোমার জন্য ঠিক ছিল না ।” বরং তার কথা মন দিয়ে শুনুন । খারাপ লাগাকে গুরুত্ব দিন । এই খারাপ সময়ে পাশে থাকুন ।
সন্তানকে বিশ্বাস করুন
টিনেজাররা সব সময় নিজের গুরুত্ব বোঝাতে চায় । বিশেষত অভিভাবকদের কাছে তার গুরুত্ব বোঝাতে চায় বারবার । আপনি তার সেই অনুভূতি বুঝুন । তাকে বুঝিয়ে দিন, আপনি তার উপর বিশ্বাস করতে পারেন । আপনি আপনার সন্তানকে ভরসা করেন । মনে রাখবেন, কৈশোরের অনেকাংশই নির্ভর করে ভরসার উপর ( communicating with your teenage kid) ।
নির্দেশ দেবেন না, প্রশংসা করুন
কৈশোরে আপনার সন্তান অনেক ভুল পথে চালিত হতে পারে । তাকে নির্দেশ দেবেন না যে, এটা করো না । তাহলে তাদের সেই বিষয়টিই করার জেদ হতে পারে । ওকে বুঝিয়ে বলুন কেন এটা করা উচিত নয় । অভিভাবক হিসেবে সন্তানকে বুঝিয়ে বলাই আপনার কর্তব্য ।
সন্তানের কাজে খুশি হয়ে প্রশংসা করুন । এতে ওদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে । কাজে কোনও ভুল থাকলে তা পরে বুঝিয়ে বলে শুধরে দিন ।
একসঙ্গে সময় কাটান
সময় দিন । এই সময়ই আপনার ও সন্তানের মধ্যে সমস্ত দূরত্ব এবং অশান্তি কমিয়ে দিতে পারে । কৈশোর আপনার সন্তান যেমন প্রাইভেসি চায়, একইভাবে সময়ও চায় । সন্তানের সঙ্গে সময় কাটাবেন মানে এই নয়, তার ব্যক্তিগত জীবনে প্রবেশ করবেন । শুধুই সময় কাটান । রাতের খাওয়ার সময় গল্প করুন । একসঙ্গে ছুটির দিনটা কাটান । বিকেলে কোথাও ঘুরতে যান । দেখবেন, সমস্যা অনেকটা হালকা হয়ে গিয়েছে ( communicating with your teenage kid)।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!