বিশ্বজুড়ে এই মুহূর্তে আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস (coronavirus)। বৃহস্পতিবারই দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে কর্নাটকের ৭৬ বছরের এক বৃদ্ধের। এবার বেঙ্গালুরুতে গুগলের এক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সম্প্রতি সৌদি আরবে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবারই দেশে ফেরেন তিনি। তাঁকে বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হেয়ছে। সেখানকার কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার বন্দোবস্ত করেছে গুগল। বছর ছাব্বিশের ওই যুবক সম্প্রতি গ্রিসে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর বেঙ্গালুরু-সহ কর্নাটকের বিভিন্ন শহরে ঘুরেছেন তিনি। অফিসও করেছেন। ফলে তিনি যাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁদেরও আলাদা করে রাখার প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন। এই নিয়ে সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৭৪।
করোনা গ্রুপের ২০১৯ এনসিওভি নামের ভাইরাস থেকেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। কয়েক দশক আগেও এই ভাইরাস এত মারাত্মক ছিল না। কিন্তু জিনগত মিউটেশনের ফলে কোনও কোনও ভাইরাস তার স্বভাব, আকার, প্রকৃতি বদলে ফেলে। এর থেকে বাঁচার কী উপায়? সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে চরম বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ঠিক কী করা উচিত?
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বিভিন্ন চিকিৎসকরাও (doctor) কী কী করণীয় তা বিশদে বলছেন। তার ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদন লেখা হয়েছে। সেগুলি কী কী এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
১) অযথা আতঙ্কিত হবেন না। ১০০জন আক্রান্তের মধ্যে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর হার দুই। বাকি ৯৮জন সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
২) কোনও রকম ভুল তথ্য ছড়াবেন না। কোনও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারে কান দেবেন না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
৩) সাবান বা অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৪) প্রকাশ্যে কফ বা থুতু ফেলবেন না।
৫) মেডিকেটেড মাস্ক ব্যবহার করুন। সুস্থ থাকলে সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকার প্রয়োজন নেই। কিন্তু ভিড়ের কোনও জায়গায় গেলে অবশ্যই মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
৬) জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গায়ে ব্যথার মতো উপসর্গ থাকলে নিজে কোনও ওষুধ না খেয়ে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৭) চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেয়ে এবং সাবধনতা অবলম্বন করলেও যদি সাত দিনের মধ্যে সমস্যা না কমে, ফের চিকিৎসকের কাছে যেতে হবেই।
৮) কোভিন ১৯-এ আক্রান্ত হলে যতটা সম্ভব আলাদা থাকুন। আপনার চারপাশে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে।
৯) আক্রান্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরবেন না। কোনওভাবেই আপনার বাড়িতে সে সময় যেন কেউ না আসেন, সেই ব্যবস্থা করুন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো খাবার এবং ওষুধ খেতে হবে।
১০) সম্ভব হলে বাড়ি থেকে কাজ করুন। বাড়িতে বেশ কিছুদিনের খাবার, সাধারণ ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিস মজুত করে রাখুন। ভিড়ের এলাকা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
মূল ছবি মিমি চক্রবর্তীর ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া হয়েছে। কাজের প্রয়োজনে লন্ডন যাওয়ার সময় মাস্ক পরা ছাড়াও যাবতীয় সতর্কতা অবলম্বন করেছেন তিনি।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!