আমাদের বাঙালি সমাজ এখনও সেভাবে প্রাপ্তমনস্ক হয়নি। তাই তো ডিভোর্স কথাটা শুনলেই অনেকেরই কান ভোঁ-ভোঁ করে ওঠে। এই কারণেই ডিভোর্সির দিকে কপাল কুঁচকে তাকানোটাই এই সমাজের একটা অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তাই বলে আপনি মাথা নোয়াবেন কেন! পার্টনারের সঙ্গে বনিবনা হয়নি। একসঙ্গে থাকাটা অসহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল, তাই আলাদা পথ বেছে নিয়েছেন। ব্যাস এটাই সত্যি! (tips to deal with emotional health after divorce)
তাই ডিভোর্স হয়েছে মানেই নিজেকে সমাজের চোখ থেকে আড়াল করে নেবেন, এমনটা মোটেই নয়। বরং নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করতে হবে। ভুল থেকে শিখে নিয়ে আরেকবার পা বাড়াতে হবে। তবেই না সুখের সন্ধান পাবেন।
পরের বার যে সুখি হব, এমন গ্যারান্টি কোথায়? এ কথা ঠিক যে এমন গ্যারান্টি ভগবানও দিতে পারবেন না। কিন্তু তাই বলে বাঁচতে ভুলে যাওয়াটা তো কোনও কাজের কথা নয়। বরং মনে রাখতে হবে জীবন একটাই, তাই এই জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত চেটেপুটে উপভোগ করাটাই আমাদের একমাত্র কর্তব্য। (tips to deal with emotional health after divorce)
আসুক না ঝড়-ঝাপটা, ক্ষতি নেই। কিন্তু নিজের মতো করে বেঁচে থাকার অধিকারটা হারিয়ে ফেলবেন না প্লিজ! ভাবছেন, নতুন করে বাঁচার লড়াইটা শুরু করবেন কীভাবে? এই টিপসগুলি মেনে চলুন। দেখবেন, কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
পৃথিবীতে শুধু আপনারই ডিভোর্স হয়নি

প্রেমে পড়লে যখন-তখন ব্রেকআপ যেমন হতে পারে, তেমনই বিয়ে করলে ডিভোর্সও হতে পারে। এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তাছাড়া এমন ঘটনা যে একমাত্র আপনার সঙ্গেই ঘঠেছে, এমন তো নয়। আশেপাশে খোঁজ নিয়ে দেখুন অনেকেই আছেন, যাঁরা শুধুমাত্র সমাজের কথা ভেবে মরে যাওয়া সম্পর্ককে টিকিয়ে না রেখে নিজের মতো করে বেঁচে থাকার পথ বেছে নিয়েছেন। তাই তাঁরা যদি করতে পারেন, আপনিও বা পারবেন না কেন!
মনমরা হয়ে না থেকে বরং একটা কাজ করুন। কাছের বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যতটা সম্ভব সময় কাটান। মনের মধ্যে যত খারাপ চিন্তা জমিয়ে রেখেছেন, সেসব কথা খুলে বলুন। দেখবেন, হালকা লাগবে। প্রয়োজনে সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শও নিতে পারেন। (tips to deal with emotional health after divorce)
মোট কথা, একবার হোঁচট খেয়েছেন বলে পথ চলা ছেড়ে দেওয়া চলবে না। বরং নতুন-নতুন পথে পা বাড়িয়ে জীবনের স্বাদ নিতে হবে। হারিয়ে ফেলা জীবনটাকে দু’হাত দিয়ে আর একবার আঁকড়ে ধরতে হবে। দেখবেন, আপনাকে খুশি থাকতে দেখলে আপনা থেকেই সমালোচকদের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে।
সন্তানকে সময় দিন
পার্টনারকে ডিভোর্স দেওয়াটা আপনার পক্ষে যেমন সহজ ছিল না, তেমনই আপানদের বাচ্চাদের পক্ষেও এই সব মেনে নেওয়াটা সহজ কাজ নয়। তাই ওদের নরম মনের উপর ডিভোর্সের খারাপ প্রভাব যাতে না পড়ে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে বাচ্চাদের পুরো বিষয়টা সহজ করে বোঝাতে হবে, যাতে ওদের মনে কোনও প্রশ্ন না যাগে। বাচ্চারা যদি কোনও কোনও সময় বাবার সঙ্গে দেখা করতে চায়, তাহলে বাঁধা দেবেন না যেন!
আর একটা বিষয়ও মাথায় রাখা উচিত। আপনাদের ডিভোর্সের ব্যাপারটা বাচ্চাদের স্কুলে একটু জানিয়ে রাখবেন। কারণ, অনেক সময় সহপাঠীরা এই নিয়ে অনেক রকমের খারাপ মজা করে থাকে। সেসময় শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাতে আপনার বাচ্চার পাশে থাকেন, তা সুনিশ্চিত করা আপনারই কর্তব্য। এই বিষয়গুলি মাথায় রাখলে আপনার পক্ষে অতীত ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াটা যেমন সহজ হবে, তেমনই বাচ্চাদের জীবনেও আপনার ডিভোর্সটা ক্ষত হয়ে থেকে যাবে না।
নতুন অধ্যায় শুরু করুন

দেখুন একটা কথা তো মানবেন, বয়ফ্রেন্ড হোক কী হাজব্যান্ড, প্রকৃত জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়াটা কিন্তু সহজ কাজ নয়। তাই একটু ভুলভ্রান্তি হয়ে যেতেই পারে। আসলে সবটাই লাক! ভাগ্য ভাল থাকলে একবারেই লক্ষ ভেদ হবে, না হলে বারে-বারে চেষ্টা চালাতে হবে। তাই ডিভোর্স হয়েছে মানেই বাক্স প্যাটরা গুছিয়ে পালাতে হবে, এমনটা তো নয়! (tips to deal with emotional health after divorce)
তা হলে কী করণীয়? ধীরে-ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করুন। নতুন-নতুন মানুষদের সঙ্গে আলাপ করুন। নতুন ভাবে কেরিয়ার গড়ে তোলার চেষ্টাও করতে পারেন। তবে কোনও কিছুতেই তাড়াহুড়ো করবেন না। ধীরেসুস্থে পা ফেলুন। কারণ, দ্রুত দৌড়ালে আরও একবার পিছলে পড়ার আশঙ্কা থাকে!
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!