প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে পর পর দুই বছর দীর্ঘ সময় লকডাউন ছিল। ফলে এই সময় অর্থনৈতিক মন্দায় কোটি কোটি মানুষ চাকরি হারিয়েছেন । এই সময় দাঁড়িয়ে চাকরির অনিশ্চয়তার ভয় রয়েছে সবার মধ্য়েই। এছাড়াও যাঁরা নিজের স্টার্ট আপ শুরু করেছেন বা যাঁরা স্টার্ট আপে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের উপরেও চাপ যথেষ্ট বেশি। এখন পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলেও, চাকরির অনিশ্চয়তা ( job insecurity ) সবার মন থেকে মুছে যায়নি।
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরে এপ্রিল মাসেই কাজ হারিয়েছেন প্রায় ৭৩.৫ লাখ ভারতীয়। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE)-র রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে মোট বেতনভুক কর্মচারীর সংখ্যা মার্চের তুলনায় অনেকটাই কমে যায় এপ্রিলে। তাও সেই সময় রাজ্যে লকডাউন শুরু হয়নি। আর জানুয়ারি মাস থেকে পর পর ক্রমেই নিম্নমুখী এই গ্রাফ। কিন্তু এরকম কেন হল? তার উত্তরে বিশেষজ্ঞদের মত, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অনেকেই আবার কাজে যোগ দিয়েছিলেন। শিল্প ও কারখানার কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার ফলে আবার সব ওলট পালট হয়ে যায়। ব্যবসায় মন্দা ও অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। তাই ছাঁটাই বেড়েছে। এপ্রিলে কাজ হারিয়েছেন লাখ লাখ ভারতীয় ( job insecurity ) । মার্চে এমপ্লয়মেন্ট রেট ছিল ৩৭.৫৬ শতাংশ । এপ্রিলে সেটি কমে যায়, ৩৬.৭৯ শতাংশ।
এখন যদিও আবার সিনেমা হল, রেস্তরাঁ সবই ধীরে ধীরে খুলেছে। কর্মক্ষেত্রে ফিরেছেন কর্মীরা। তবু দুশ্চিন্তামুক্ত নই কেউ। চাকরির অনিশ্চয়তার ভয় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আপনি কী কী করতে পারেন, তার সামান্য় কিছু পরামর্শ দিচ্ছি আমরা
বিভিন্ন জব সাইটে নিজেদের আপেডেটেড সিভি রাখুন ( job insecurity )
পরিস্থিতি যেমনই হোক, আপনার সিভি যেন সব সময় আপডেটেড ( job insecurity ) থাকে। আপনার জব প্রোফাইল ও সিভি আপডেট করে রাখবেন। সেটি জব সাইটে আপ্লোড করে দেবেন। আপনার এই চাকরি অনিশ্চিত হলে সব সময় পরবর্তী চাকরির সন্ধান জারি রাখবেন (how to secure your job)।
টুরিজমের ব্যবসা যাঁদের ছিল, তাঁরা আরও সতর্ক হন ( job insecurity )
করোনা পরিস্থিতিতে টুরিজমের ব্যবসায়ীরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিশেষ করে স্টার্টআপ যাঁদের, তাঁদের ক্ষতি আরও বেশি। যাও বা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর সবাই ঘুরতে যেতে শুরু করেছিলেন, আবার সব বন্ধ হয়ে যায়। তাই এই ব্যবসায়ীরা এই সময়ে অন্য় ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যদিও এখন আবার টুরিজম খুলেছে। তাই এই সময় অত্যন্ত সতর্ক থেকে আবার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কিংবা অন্য় ব্যবসার কথা ভাবলে আপনিফুড হোম ডেলিভারি শুরু করতে পারেন। করোনা সংক্রমিতদের অনেকেই এই সময়ে খাবার অর্ডার দিয়ে আনিয়ে নিচ্ছেন। আপনি রান্না করে মানুষের বাড়ি খাবার পৌঁছে দিন। নিজের গাড়ি থাকলে আরও সুবিধা হয়। সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করুন।
ফ্রিলান্সিং
ফ্রিলান্সিংয়ের জন্য সব সময়ই আপনার কাছে অপশন রয়েছে। চাকরি থেকে বিরতি হলেও আপনি ফ্রি লান্সিং চালিয়ে যেতে পারেন। বিভিন্ন জব সাইটে লক্ষ্য রাখুন ( job insecurity ) । বাড়ি বসেই নানা রকম ফ্রিলান্স কাজের সুযোগ থাকে ( job insecurity ) । অনুবাদের কাজ থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজ। তাই সেই সুযোগকে কাজে লাগান (how to secure your job)।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!