নিজেকে ভালবাসা কঠিন হতে পারে। কিন্তু নিজের প্রতি যত্ন নেওয়া আপনার রুটিনের অন্তর্গত হওয়া উচিত। তবে যখন জীবনে কিছুই আপনার মনের মতো হয় না। কোনও কিছুই সঠিক পথে চলে না। তখনও নিজের প্রতি যত্ন নেওয়া অবশ্য়ই কঠিন হয়ে ওঠে। কিন্তু আপনার মানসিক, শারীরিক সুস্থতার জন্য নিজের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। নিজেকে ভালবাসা সেই সময় আপনার সবথেকে ভাল বন্ধু হয়ে উঠতে পারে। যখন আপনি দুর্বল হয়ে পড়েছেন। হয়তো মাঝরাতে কান্নাকাটি করছেন, সেই সময় পাশে কেউ নেই। কিন্তু নিজের হাত ধরেই যদি নিজের পাশে থাকতে পারেন, তাহলে জানবেন আপনি মানসিক ভাবে শক্ত (love yourself) । চলার পথে আর কাউকে প্রয়োজন নেই আপনার। এরকম কঠিন সময়েও নিজেকে কীভাবে ভাল রাখবেন ও ভালবাসবেন (love yourself) জেনে নেওয়া যাক
অভ্যাসই আসল
আপনার অন্তরের সমালোচককে শান্ত করার জন্য অভ্যাসের প্রয়োজন (love yourself) । একটা সাধারণ এক্সারসাইজ ট্রাই করুন। আপনি যখন আয়নায় নিজের দিকে তাকান, কী দেখতে পান? আপনি কি আপনার ত্রুটিগুলোই দেখেন, না কি হেসে নিজের দিকে তাকান। আপনি যেমন, সেভাবেই যদি নিজেকে গ্রহণ করতে পারেন। তাহলে জানবেন, নিজেকে ভালবাসার প্রতি এক ধাপ এগিয়ে গেলেন। আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজের সঙ্গে ভাল ভাবে কথা বসতে পারেন। বলুন, আপনাকে অনেকেই ভালবাসে। আপনি একা নন।

নিজেকে গুরুত্ব দিন (love yourself)
এই সমস্যা মহিলাদেরই বেশি হয়। পরিবারের সকলের যত্ন নিতে নিতে নিজের ভাল লাগার কথাগুলোই ভুলে যান তাঁরা। অন্যের ভাল লাগা তাঁদের কাছে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে যে, এক সময় নিজের পছন্দের পদ বা নিজের পছন্দের রঙের কথাও ভুলতে বসেন। অন্যের অনুভূতিকে গুরুত্ব দেওয়া ভাল । কিন্তু নিজের অনুভূতিকেও গুরুত্ব দিন(love yourself)। এই কথা কি জানেন, নিজের চাহিদা না মেটানোও কিন্তু এক ধরনের স্বার্থপরতাই। তাই নিজের ভাল লাগাকেও গুরুত্ব দিন। নিজের জন্য একটু সময় থাকুক।

যে মানুষেরা আপনাকে সমর্থন করেন, তাঁদের সঙ্গে সময় কাটান
আমাদের জীবনে অনেক পজিটিভ মানুষ আছেন। কয়েকজন নেগেটিভ মানুষও আছেন। যাঁরা প্রায় সব কাজেই আপনার খুঁত ধরবে। আপনাকে ডিমোটিভেট করবে। আসলে এঁরা আপনার শুভাকাঙ্খী নয়। এঁদের সঙ্গে সময় কাটাবেন না। বরং, যাঁরা সত্য়িই আপনার ভাল চান, এরকম মানুষকে খুঁজে নিন। তাঁদের সঙ্গে সময় কাটান। তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন। দেখবেন আপনার মনও ভাল থাকবে। আপনি পজিটিভ বোধ করবেন। সহজেই ভেঙে পড়বেন না।
আরও যে যে কাজ করবেন (love yourself)
সোশ্য়াল মিডিয়া ব্যবহার করে যদি নিজের চিন্তাভাবনা অন্য়ের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন, তবে তা ভাল। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার অনেক সময় আমাদের জীবনে কোনও পজিটিভ প্রভাব ফেলে না। সোশ্য়াল মিডিয়ায় নিজের জীবনের সুন্দর দিক তুলে ধরতে চায় সবাই। তা দেখে আমাদের মন খারাপ হতে পারে। মনে হতে পারে, আমাদের জীবন কেন ওরকম নয়। তাই যতটা সম্ভব সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার কম করুন। তার বদলে আপনি বই পড়তে পারেন। একটি ভাল ছবি দেখতে পারেন। এছাড়াও…
- আপনার শরীরকে সক্রিয় রাখুন। ব্যায়াম করুন। যোগাসন করুন। বা হেঁটে আসুন।
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান।(love yourself)
- প্রতিদিন অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমান।
- জল খান।
- নিজেকে বাহবা দিন।
- অন্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা বজায় রাখুন।
- নিজের ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনের সীমানা তৈরি করুন।
- আপনার ভাল লাগাকে গুরুত্ব দিন।
- প্রতিদিন পজিটিভ থাকার চেষ্টা করুন।(love yourself)
সম্পূর্ণটাই একটা অভ্যাস। একদিনেই ফল পাবেন না। কিন্তু এক মাস পরেই আপনি পরিবর্তন বুঝতে পারবেন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!