আজকাল আমরা সবাই মানে আট থেকে আশি সব্বাই একটা অদ্ভুত নেশায় মেতে আছি। সামনাসামনি কেউ কারও সঙ্গে কথা বলি না কিন্তু সারাক্ষণ ঘাড় গুঁজে ওই একটা পুঁচকে ছয় ইঞ্চির স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকি (tips-to-stop-mobile-addiction-in-your-kid)। কী দেখি , কী করি তা আমরা অনেক সময়েই নিজেরাও জানি না। কিন্তু তবুও মোবাইল হাতে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকি। শিশুরাও কিন্তু এর হাত থেকে রক্ষা পায়নি। একটু মনে করে দেখুন, কোনও না কোনও সময়ে হয়তো একটা বাচ্চা ছুটতে ছুটতে এসে আপনাকে জিজ্ঞেস করল, “তোমার মোবাইলে গেম আছে?” আপনি কখনও হয়তো তাকে আপনার মোবাইল ফোনটি দিলেন গেম খেলার জন্য আবার কখনও হয়তো বিরক্ত হয়ে বললেন যে নেই! অনেক সময়েই দেখা যায়, বাচ্চা বিরক্ত করলে মা বাবারাও নিজের মোবাইল ফোনটি তাকে দিয়ে যেন রক্ষা পান। এতে আর কিছুই হচ্ছে না, শিশুদের মধ্যেও মোবাইল ফোনের প্রতি এক তীব্র আকর্ষণ জন্মাচ্ছে এবং কখন তারা মোবাইল ফোনে অ্যাডিক্টেড হয়ে পড়ছে তা নিজেরা কেন তাদের অবিভাবকরাও বুঝতে পারছেন না। টনক নড়ছে যখন ব্যাপারটা হাতের প্রায় বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে, তখন। শিশুকে মোবাইলের নেশা থেকে বার করে আনার জন্য, না, বরং সে যাতে মোবাইল ফোনের প্রতি অ্যাডিক্টেড না হয়ে যায়, সেজন্য দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে। আমরা আপনাকে একটু সাহায্য করার চেষ্টা করছি, কিছু টিপস দিয়ে (tips-to-stop-mobile-addiction-in-your-kid)।
শিশু মোবাইল ফোনের প্রতি অ্যাডিক্টেড হলে কী করবেন
১। প্রথমেই আপনাকে একটা রুটিন তৈরি করতে হবে, আপনার সন্তানের জন্য এবং আপনার জন্যও। মোবাইল ফোনে অনেক শিশুই গেম খেলে আবার আজকাল যেহেতু সবার হাতে স্মার্ট ফোন আর বাচ্চারাও অনেক বেশি স্মার্ট, কাজেই ইন্টারনেট ঘাঁটতে তারা অভ্যস্ত। ইন্টারনেটের সব কনটেন্ট কিন্তু শিশুদের দেখার উপযোগী নয়। কাজেই, দিনের মধ্যে বেশ অনেকটা সময় আপনার সন্তানকে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখুন (tips-to-stop-mobile-addiction-in-your-kid)। তাকে সঙ্গ দিন। গল্পের বই পড়ানো অভ্যেস করাতে পারেন অথবা আপনার বাড়িতে গাছ থাকলে সন্তানের সঙ্গে গাছের পরিচর্যা করুন। মোট কথা সন্তানকে ব্যস্ত রাখুন।
২। মোবাইলে গেম খেলা যদি শিশুর অভ্যেসের মধ্যে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি ভার্চুয়াল গেমের বদলে সন্তানের সঙ্গে খেলুন। আমাদের ছোটবেলার অনেক খেলাই কিন্তু এখন মোবাইল ফোনে বাচ্চারা খেলে। সন্তানের সঙ্গে দাবা খেলতে পারেন, অথবা ক্যারম অথবা লুডো। আবার অন্য কোনও গেম যেমন উনো, ব্যবসায়ী, চোর-পুলিশ ইত্যাদিও খেলতে পারেন। আপনি আপনার ভাই-বোন বা বন্ধুদের সঙ্গে ছোটবেলায় যা যা খেলা খেলতেন সে’সবও খেলতে পারেন। এতে আপনার সন্তান মোবাইল ফোনের প্রতি কম আকৃষ্ট হবে এবং আপনিও আরও একবার নিজের শৈশব ফিরে পাবেন।
৩। সন্তানকে মোবাইল ফোন দিতে বারণ করছি না, কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দিন। সারা দিনে বড়জোর আধ ঘন্টা তাকে মোবাইল ফোনে গেম খেলতে দিতে পারেন। এ ব্যাপারে আপনাকেই একটু কড়া হতে হবে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিছুতেই শিশুকে মোবাইল ফোন ঘাঁটতে দেওয়া চলবে না। এতে প্রথমত শিশুর দৃষ্টির সমস্যা হতে পারে মোবাইলের নীল আলো থেকে এবং দ্বিতীয়ত, শিশুদের মস্তিষ্কেও মোবাইলের রেডিয়েশনের খারাপ প্রভাব পড়ে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সন্তানকে গল্প বলতে পারেন অথবা গল্প পড়ে শোনাতে পারেন (tips-to-stop-mobile-addiction-in-your-kid)।
মূল ছবি – পেক্সেলস ডট কমের সৌজন্যে
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!