বর্তমান প্রজন্মের অধিকাংশ বাচ্চারই স্মার্টফোনের প্রতি আসক্তি লক্ষ্য করা যায়। তাদের জন্মের পর থেকেই খাবার খাওয়ানো থেকে শুরু করে কান্না থামানোর জন্যেও অভিভাবকরাই স্মার্টফোনকে ব্যবহার করেন। সেই থেকেই স্মার্টফোনের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়। এরপর বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মার্টফোনের প্রতি তাদের আকর্ষণ আরও বাড়ে। তখন হাতের সামনে না দিলেই জেদ ও কান্নাকাটি। তাও লকডাউনের আগে অভিভাবকরা যতটা পারতেন, স্মার্টফোন শিশুর থেকে দূরে রাখতেন। কিন্তু অনলাইন ক্লাসের জন্য স্মার্টফোনের সঙ্গে তাদের সময় কাটছে বেশি (smartphone addiction in your kid)।
পড়াশোনা এখন অনলাইনেই চলছে। স্কুল বা টিউশন, সেসবও অনলাইনেই হচ্ছে। তাই শিশুদের স্মার্টফোন থেকে এখন কোনওভাবেই দূরে রাখা সম্ভব নয়। তাও পড়াশোনার সময়টুকু বাদ দিয়ে অন্য় সময়ে যাতে শিশুর স্মার্টফোনে আসক্তি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা আপনার কর্তব্য। কিন্তু তার জন্য কী করবেন…
শিশুর স্মার্টফোন আসক্তি কীভাবে দূর করবেন
ওকে বিকল্প দিন
লকডাউনে আমাদের কাছে অপশন অনেক কমে এসেছে। শিশুরা আগে খেলতে যেত। স্কুলে যেত। কেউ কেউ আর্ট ক্লাস বা সাঁতার ক্লাসে যেত(smartphone addiction in your kid)। এখন সেসব কিছুই নেই। তাই ওর কাছে কোনও বিকল্প নেই। তাই শিশু এখন আরও বেশি করে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে। তাই যখনই আপনি ওর কাছ থেকে স্মার্টফোন সরিয়ে নিতে যাবেন, সে আরও রেগে যাবে ও জেদ করবে। তাই ওর হাত থেকে স্মার্টফোন সরিয়ে নেওয়ার আগে ওর কাছে বিকল্প পৌঁছে দিতে হবে আপনাকেই। ওকে এমন কিছুতে ব্যস্ত করুন, যা এই স্মার্টফোনের থেকেও ওর আরও ভাল লাগবে। ওর মন ভাল থাকবে। তখন ও নিজেই স্মার্টফোন থেকে সরে আসবে।
ধাঁধা সমাধান করতে দিন
পাজল গেম পাওয়া যায়। পাজলের অংশ জুড়ে জুড়ে পৃথিবীর ম্যাপ হল বা কোনও ছবি তৈরি হল। সেরকম খেলা নিয়ে শিশুকে বসিয়ে দিন। একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিন(smartphone addiction in your kid)। সেই সময়ের মধ্যে করতে পারলে একটি ছোট্ট উপহারও দিতে পারেন। এতে ওর মধ্যে খেলার ইচ্ছেও থাকবে। যদিও সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ না করতে পারে তাহলেও একটি স্বান্তনা পুরস্কার দেবেন। এতে ওর মধ্য়ে খেলার জন্য আরও ইচ্ছে থাকবে।
তাকে মোবাইল থেকে দূরে রাখবেন কীভাবে
অডিয়ো বুক
অনলাইন ক্লাস করার পর শিশুর আবার বই পড়তে নাও ভাল লাগতে পারে। সেই জন্য আপনি অডিয়ো বুক শোনাতে পারেন। অডিয়ো বুকে যেরকম নাটকীয় ভাবে গল্প পাঠ করা (smartphone addiction in your kid)হবে, তা আপনার শিশুর ভাল লাগবে। সে উপভোগ করবে।
আর্ট
আমার নিজের যখন ছোটবেলায় একা লাগত বা মন খারাপ লাগত আমি রং করার খাতা নিয়ে বসে যেতাম। না আমার মা রং পেনসিল হাতে তুলে দেননি। আমি নিজেই আঁকতাম। এতে আমার মন ভাল হত।আপনার শিশুকে রং পেন্সিল কিনে দিন। আঁকার খাতা দিন। মনের মতো আঁকতে বলুন। এতে আপনার শিশুর মনও ভাল হবে, আর তার আঁকার দক্ষতাও(smartphone addiction in your kid) বাড়বে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন
#POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন
নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!