কী বিপদ বলুন দিকি! চারদিকে সক্কলে ফেস অ্যাপ নিয়ে আদিখ্যেতা করে মরে যাচ্ছে! গুচ্ছ-গুচ্ছ দেশি-বিদেশি সেলেব্রিটি নিত্যিদিন ইনস্টাগ্রামে আমরা তো আর ছোট নেই আর ছোট নেই বলে নিজেদের বুড়ো-থুুত্থুড়ো ছবি পোস্টাচ্ছেন, আর তা দেখে ফ্যানেরা চুলচেরা হিসেবে বসছেন যে, তাঁদের ভগবানদের কত্তটা ভাল লাগছে বয়স্ক হলেও, তাতে দোষ নেই। যত দোষ শুধু বেচারা অঙ্কুশের!
একেই বেচারা এমনিতেই ভারী দুঃখে থাকেন। নয়-নয় করেও কম ছবি করলেন না তিনি। দেখতে-শুনতে মন্দ নন, নিয়মিত জিম-টিম করেন, নাচতে পারেন, অভিনয়টাও মন্দ করেন না, দিব্যি ডাগরপানা গার্লফ্রেন্ডও আছে! কিন্তু কেরিয়ারে কিছুতেই ব্যাটে-বলে হচ্ছে না! মানে, ছবি করছেন পরপর, একমাত্র কোয়েল ছাড়া অন্য সব প্রথম সারির নায়িকাদের বিপরীতে অভিনয়ও করে ফেলেছেন, কিন্তু দেব-জিতের সঙ্গে কিছুতেই লোকে একসঙ্গে তাঁর নাম নেয় না। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ফ্যান ফলোয়িংও মন্দ নয়! বেশ কিছু হিট ছবিও আছে তাঁর ঝুলিতে…কিন্তু কিছুতেই সেই শেষ বলে ছয় মেরে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স আর সেই বাবদ সকলের চোখের মণি হয়ে ওঠা হচ্ছে না!
তাই বোধ হয় কী করি-কী করি ভেবে অঙ্কুশ (Ankush) বেছে নিয়েছিলেন সাম্প্রতিক ফেস অ্যাপ (face app) নামক বিষয়টিকে। এই অ্যাপটি ভাইরাল (Viral) হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে তিনি নিজের তো বটেই, সহকর্মীদের ছবিও এক-এক করে বুড়োটে করতে শুরু করেন। আগে দেখে নিন, কাকে-কাকে বুড়োটে করেছিলেন তিনি, তারপর না হয় বাকি গল্পটা বলছি!
অঙ্কুশ ও তার অন্যতম প্রিয় পরিচালক বাবা যাদব! ক্যাপশনগুলো লক্ষ করবেন, কেন এঁদের বেছে নিয়েছেন, সেটাও ফলাও করে বলেছেন বেচারা!
বাদ যাননি তাঁর ওপার বাংলার সহকর্মী ও নায়িকা নুসরত ফারিয়াও! আবার ক্যাপশনের দিকে নজর ফেরান। সেটি পড়ে কিন্তু বেশ বোঝা যাচ্ছে যে, নিছকই মজা করার জন্যই এই ধরনের সময় নষ্ট করেছেন তিনি! এতেই শেষ নয়, নিজের যে ছবিটি প্রথম ফেস অ্যাপে দিয়েছিলেন তিনি, এবার সেটা নিয়ে টুইটারে একটি গদগদ টুইট করেন অঙ্কুশ! আর সমস্যা শুরু হয় তারপর থেকেই! আগে দেখে নিন টুইটটা…
My mom cried a lot after seeing this pic .. she said wish i cld be with u wen u wl come of such age..just said “akhoni toke khaie dite hoy tokhon to aroi parbina” .. 🙂.. i said this is just an app maa chill.. still left my room crying 🤦🏻♀️ pic.twitter.com/LvpamuqNcG
— ANKUSH (@AnkushLoveUAll) July 18, 2019
ব্যস, আর যায় কোথায়! এরপরই সকলে তাঁর মজা ওড়াতে (trolled) শুরু করে টুইটারে। অবশ্য অঙ্কুশও তার যোগ্য জবাব দিতে ভোলেননি। দেখে নিন কী বলেছেন তিনি…
Hero hoechi bole to alien hoe jaini babu..amrao chotokhato jinis e anondo pai.. https://t.co/5HhdjXgMay
— ANKUSH (@AnkushLoveUAll) July 18, 2019
সত্যিই তো! অঙ্কুশ যে মজা করতে ভালবাসেন, সেটা টালিগঞ্জে, তাঁর সহকর্মীদের মধ্যে সকলেই জানেন। তাই তাঁর ফেস অ্যাপ করা নিয়ে বাবা যাদব কিংবা নুসরত ফারিয়া একটুও রেগে যাননি। কিন্তু ওই যে, নেটিজেন সম্প্রদায়! তাঁরা তো ফোনের কি প্যাডে আঙুল লাগিয়ে বসেই আছেন। কেউ একটু বেচাল করেছেন কি অমনই ধরে কষে বকুনি দিয়ে দেবেন!
আসলে ঝামেলাটা সেখানে নয়। সমস্যা অন্যত্র। এই ফেস অ্যাপ অল্পসময়ে তুমুল জনপ্রিয়তা লাভ করলেও, এই অ্যাপটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে অনেক টেক বিশেষজ্ঞই প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে তো এমনটাও বলেছেন যে, এই অ্যাপ আসলে গোপনে আপনার ফোনে জমা থাকা তথ্য চুরি করে ফেলতে পারে! মানে, আপনি যতক্ষণে নিজেকে বুড়ো দেখে বা অন্যদের বয়স বাড়িয়ে নির্মল আনন্দ লাভ করছেন, ততক্ষণে আপনার ব্যক্তিগত নানা তথ্য কিন্তু ওই অ্যাপের মাধ্যমে সাইবার পাচার হয়ে গিয়েছে! এহেন একটি বিশ্বাসযোগ্যতা তলানিতে ঠেকা একটি অ্যাপের ব্যবহার নিজে করে অন্যদের উৎসাহিত করাটাও অঙ্কুশের অনুচিত হয়েছে বলে মনে করেছেন অনেকে। অবশ্য পরিস্তিতির গাম্ভীর্য বুঝতে দেরি করেননি তিনিও! তাড়াতাড়ি নিজের টুইটার ও ইনস্টা অ্যাকাউন্টে নীচের পোস্টটি শেয়ার করে দিয়েছেন…
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!