আজ একাত্তরে পা (happy birthday) দিলেন জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan)। বাংলা আর হিন্দি দুই ভাষাতেই দুর্দান্ত স্ক্রিন প্রেজেন্স আর নিখুঁত অভিনয়ের ছাপ রেখেছেন তিনি (Jaya Bachchan)। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে হিন্দি ভাষায় ছোট থেকেই সড়গড় ছিলেন তিনি। কিন্তু বাংলার দর্শক তাকে ঘরের মেয়ের মতোই আপন করে নিয়েছে। কে ভুলতে পারবে ‘ধন্যি মেয়ে’তে তার দুর্দান্ত অভিনয়। হিন্দিতেও করেছেন ‘গুড্ডি’, ‘মিলি’ ‘অনামিকা’র মতো বহু নারীকেন্দ্রিক ছবি। আজ তার জন্যই সুপারস্টার অফ দা মিলেনিয়াম অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) আমাদের বাংলার জামাইবাবু! একী কম গর্বের কথা।
জন্মদিন বলে কথা তাই উপচে পড়ছে শুভেচ্ছা বার্তা। কন্যা শ্বেতা যেমন মাকে মায়ের সঙ্গে তার ছবি শেয়ার করে মাকে ‘ক্যাপ্টেন’ বলে সম্বোধন করেছেন। বোঝাই যাচ্ছে শ্বেতার শৈশব আর বড় হয়ে ওঠায় জয়ার প্রভাব বেশ স্পষ্ট। শ্বেতার জীবনের জাহাজের ক্যাপ্টেন জয়া আর তাই এহেন মন্তব্য করেছেন তিনি।
গতকাল মার জন্য একটি ডিনারের আয়োজন করেছিলেন শ্বেতা। মা মেয়ে দুজনকেই ক্যাজুয়াল পোশাকে দেখা গেছে। পিছিয়ে নেই অভিষেকও। ‘অভিমান’ ছবির একটি স্টিল শেয়ার করে তিনি বলেছেন, “মা” শব্দটি অনেক কিছু বলে দেয়।
এতবছরের জীবনসঙ্গীকে কি বললেন বাংলার জামাইবাবু? নিজের ব্লগে ফ্যামিলি আউটিং নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন অমিতাভ। বলেছেন একসঙ্গে আনন্দ করতে পারা মানে ঈশ্বরের আশীর্বাদ।
আগেই বলেছি জয়া বচ্চন বলতেই বাঙালিরা বোঝেন ধন্যি মেয়েকে। তবে এর বাইরেও অনেক ভালো ছবি করেছেন তিনি। রইল জয়া বচ্চনের সেরা দশটি অভিনীত ছবি।
১) মহানগর
যদিও এই ছবির নায়িকা ছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায় তবু লম্বা বিনুনি ঝোলানো কিশোরী জয়াকে ভোলা যায়না কিছুতেই।
২) ধন্যি মেয়ে
জমিয়ে কমেডি করেছেন এই ছবিতে। উত্তমকুমারের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা কি আর মুখের কথা? বঁটি হাতে চিন্ময় রায়কে তাড়া করাই হোক বা উত্তমকুমারের সঙ্গে কোমর বেঁধে ঝগড়া করা হোক। জয়া সত্যিই ধন্যি মেয়ে।
৩) হাজার চুরাশির মা
মহাশ্বেতা দেবীর লেখা এই গল্পটাই এত ভালো যে কিছু বলার নেই। তার উপরে জয়ার হৃদয় নিংড়ানো অভিনয়। মা হারা এক ছেলের আর্তি মাখা এই ছবি সব সময়ই থাকবে তালিকায়।
৪) শোলে
এটা একটা কাল্ট ছবি। তাই বেশি কিছু বলার নেই। নিঃশব্দে, নীরবে জানানো প্রেমের আর্তিতে, বিনা সংলাপেই মন ছুঁয়ে যায় জয়ার অভিনয়।
৫) মিলি
প্রাণবন্ত এক মেয়ে কিন্তু মারণরোগে আক্রান্ত সে। তবুও সে সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয় আনন্দ। এমনই এক মেয়ে হল মিলি। নাম ভূমিকায় জয়া বচ্চন। অসামান্য সেই অভিনয় আজও ভোলা যায় না।
৬)গুড্ডি
সিনেমা যার প্রাণ, যে কিনা স্কুল পালিয়ে সিনেমা দেখে আর স্বপ্ন দেখে সিনেমার নায়ককে বিয়ে করবে! এমনই এক কিশোরীর ভূমিকায় প্রাণ ঢেলে অভিনয় করেছেন তিনি।
৭) কোশিশ
মনে রাখার মতো মন ছুঁয়ে যাওয়া ছবি। দুই মূক ও বধির মানুষের প্রেমের অমর গাথা।
৮) অনামিকা
সঞ্জীবকুমার আর জয়ার জুটি ছিল বেশ জনপ্রিয়। কখনও বাবা মেয়ে আবার কখনও নায়ক নায়িকার ভূমিকায় ছিলেন তারা। জয়ার কেরিয়ারে অন্যতম হিট ছবি অনামিকা।
৯) নয়া দিন নয়ি রাত
যদিও এই ছবি শুরু থেকে শেষ সঞ্জীবকুমারের। তবু দাগ কেটে যায় জয়ার অভিনয়।
১০) অভিমান
বাস্তব জীবনে আমাদের দিদি জামাইবাবু পর্দায় এলে কিছু তো একটা হবেই। তাই ব্যতিক্রম নয় এই ছবিও। সত্যি বলতে কি এই ছবিতে অমিতাভকেও ছাপিয়ে গেছে জয়ার অভিনয়।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!