ADVERTISEMENT
home / ওয়েলনেস
ওয়ার্ক ফ্রম হোম কালচারে বাড়ছে স্ট্রেস, কী করলে সবটাই সামলাতে পারবেন!

ওয়ার্ক ফ্রম হোম কালচারে বাড়ছে স্ট্রেস, কী করলে সবটাই সামলাতে পারবেন!

ছয় মাস আগের ঘটনা কি কিছু মনে পড়ে? যখন প্রথমবার লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছিল, বেশিরভাগ মানুষের জীবনেই তখন একটা বড় পরিবর্তন এসেছিল। যারা এমারজেন্সি সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত অর্থাৎ চিকিৎসা পরিষেবা, দমকল পরিষেবা, আইন ও শৃঙ্খলা পরিষেবা ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত মানুষ বাদে বাকি সকলেরই কর্মক্ষেত্রে একটা বিশাল পরিবর্তন হয়েছিল (transition-rituals-to-do-for-stress-free-work-from-home)। যারা প্রতিদিন সকালে উঠে নাকে-মুখে দুটো খাবার গুঁজে অফিস ছুটছেন, তাঁরাও পেয়েছিলেন ওয়ার্ক ফ্রম হোমের স্বাদ। বাইরে প্রকাশ না করলেও মনে মনে কিন্তু অনেকেই বেশ খুশি হয়েছিলেন এটা ভেবে যে যাক বাবা ভিড় ঠেলে আর অফিস যেতে হবে না, বাড়িতে বসে নিজের সময় অনুযায়ী কাজ করা যাবে! মাঝে মধ্যে চাইলে একটু ঘুমিয়েও নেওয়া যাবে, কে আর দেখতে যাচ্ছে!

স্ট্রেস-অ্যাংজাইটি-ডিপ্রেশন – আমাদের বন্ধু হতে চাইলেও এদের সঙ্গে এক্কেবারে বন্ধুত্ব করা চলবে না (ছবি – শাটারস্টক)

প্রথম দিকে ওয়ার্ক ফ্রম কালচার বেশ ভাল লাগলেও মাস খানেক কাটতে না কাটতেই সবাই হাঁপিয়ে উঠলেন। কারণ যদিও অনেকগুলো, তবে প্রধান কারণ দুটো – এক, সারাদিন বাড়ির মধ্যে থেকে হাঁপিয়ে ওঠা স্বাভাবিক এবং দুই, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ক্ষেত্রে কাজের চাপ হঠাৎ করে প্রচন্ড বেড়ে (transition-rituals-to-do-for-stress-free-work-from-home) যাওয়া। অনেকেরই এমনও হয়েছে যে অন্য কাজের মাঝখানেও হঠাৎ অফিসের কাজ এসে গিয়েছে এবং তা তৎক্ষণাৎ না করলে হবে না। ওয়ার্ক ফ্রম হোমের জন্য কাজের যে নির্দিষ্ট একটা সময় থাকে, তা অনেক আগেই সীমানা পেরিয়েছে। ফলে আগের থেকে স্ট্রেস বেড়েছে অনেকগুণ। ফল স্বরূপ নানা মানসিক ও শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে অনেকেরই। কারও খাওয়ার পরিমাণ অনেক বেড়ে গিয়েছে, আবার কারও বা খেতে ইচ্ছে করছে না; কেউ কেউ অনিদ্রা রোগেও ভুগতে শুরু করেছেন; সম্পর্কে দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা। আর এর একটাই কারণ – স্ট্রেস! তবে, অনেক মনোবিদের মতে, স্ট্রেস কাটানোর প্রাথমিক হাতিয়ার কিন্তু আমাদের কাছেই রয়েছে। প্রয়োজন শুধু সঠিক সময়ে সঠিকভাবে সেগুলো ব্যবহার করা। চলুন দেখে নেওয়া যাক, এই বদলের সময়েও নিজেকে কীভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ও সবল রাখা সম্ভব!

ADVERTISEMENT

ওয়ার্ক ফ্রম হোমে স্ট্রেস মুক্ত থাকুন ট্রানজিশনাল রিচুয়ালের সাহায্যে

ওয়ার্ক ফ্রম হোমের স্ট্রেস কাটাতে সকালে একটু মেডিটেশন করতে পারেন (ছবি – পেক্সেলস ডট কম)

১। আগে যখন অফিস যেতেন তখন নিশ্চয়ই অফিসে ঢোকার একটা নির্দিষ্ট সময় ছিল। এখন ওয়ার্ক ফ্রম হোম করলেও কাজে বসার নির্দিষ্ট একটা সময় নিশ্চয়ই আছে? আপনি যদি কাজে বসার সময়ের ঠিক আগ দিয়ে ঘুম থেকে ওঠেন এবং উঠেই কাজে বসে যান, তাহলে কিন্তু হবে না। কারণ আমাদের শরীর ও মস্তিষ্ক চট করে একটা ফেজ থেকে অন্য ফেজে কনভার্ট করতে পারে না (transition-rituals-to-do-for-stress-free-work-from-home)। সেক্ষেত্রে কাজে যখন বসেন, তার অন্তত এক ঘন্টা আগে উঠে পড়ুন। একটু এদিক ওদিক ঘুরে (বাড়ির মধ্যেই), চা বা কফি খেয়ে, ঘুম কাটিয়ে তার পরে কাজে বসুন। দেখবেন সারাদিন অনেক তরতাজা লাগবে।

২। সকালের ও রাতের একটা রুটিন তৈরি করুন। করোনা, লকডাউন, প্যান্ডেমিক – ইত্যাদির আগে আমাদের সবারই একটা নির্দিষ্ট রুটিনে জীবন চলত। বিগত ছয় মাসে যদিও সবটাই ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে, তবে আবার নতুন করে নিজের জীবনের ছন্দে ফিরুন।  আপনি ওয়ার্ক ফ্রম হোম করলেও কাজের যে নির্দিষ্ট সময়টুকু ছিল তা দিন। যে সময়টা কাজ করছেন, সেই সময়টা বাড়ির কাজ করবেন না। আগে যখন অফিস যেতেন, তখন নিশ্চয়ই আপনাকে অফিস থেকে ছুটি নিয়ে এসে বাড়ির কাজ করতে হত না!

ADVERTISEMENT

৩। মাঝে মাঝে ব্রেক নিন। অফিসে থাকাকালীন নিশ্চয়ই অফিসের বাইরে মাঝে মাঝে চা খেতে যেতেন অথবা লাঞ্চ ব্রেক বা অন্য যে-কোনও কারণেই ব্রেক নিতেন? ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ক্ষেত্রেও ব্রেক নিন। ওয়ার্ক ফ্রম হোমে (transition-rituals-to-do-for-stress-free-work-from-home) কিন্তু আপনার শুধু কাজের জায়গা পরিবর্তন হয়েছে, জীবনটাকে পাল্টে ফেলবেন না। এতে স্ট্রেস আরও বেশি বাড়বে।

https://bangla.popxo.com/article/how-to-avoid-stress-eating-during-lockdown-in-bengali

POPxo এখন চারটে  ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!

14 Sep 2020

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT