আকুপ্রেশার, এই প্রাচীন চিনা পদ্ধতিটি আপনাকে অতিরিক্ত ওজন কমাতে ভরপুর সাহায্য করবে
যতই আপনি চিনা জিনিসে বাজার ছেয়ে গিয়েছে বলে তাঁদের গালি দিন, চিনা প্রোডাক্ট বর্জন করার চেষ্টা করুন, চিনা আকুপ্রেশারকে কিন্তু আপনি মোটেও ফেলতে পারবেন না। ফেলবেনই বা কী করে, এই আদ্যিকালের বদ্যিবুড়োর পদ্ধতি মেনে যদি শরীরের স্রেফ কয়েকটি বিশেষ প্রেশার পয়েন্ট টিপে আপনার ওজন কমতে (weight loss) শুরু করে, তা হলে বুক ঠুকে বলুন দিকি, চিনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান বলে এগোবেন কিনা! জোকস অ্যাপার্ট, সত্যিই আকুপ্রেশার পদ্ধতিতে ওজন কমানো সম্ভব। তবে তা বলে ভাববেন না যে, আপনি সারা দিন পেট ঠুসে খাবেন আর রাতে আয়েস করে বসে প্রেশার পয়েন্ট (pressure points) টিপে-টিপে সেই বেশি খাওয়াজনিত কারণে বাড়তি ক্যালরিটুকু কমিয়ে নিয়ে পড়শির ঈর্ষা আপনার গর্বমার্কা হিলহিলে ফিগার নিয়ে ঘুরবেন। তবে হ্যাঁ, পরিমিত আহারের সঙ্গে-সঙ্গে যদি আকুপ্রেশারের (Acupressure) শরণাপন্ন হন, তা হলে আপনার শরীরে ইতিউতি জমে থাকা মেদ কমে যাবে বই কী। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কীভাবে করতে হবে এই আকুপ্রেশার।
কীভাবে কাজ করে আকুপ্রেশার
এই পদ্ধতিতে আসলে শরীরের কতগুলি বিশেষ প্রেশার পয়েন্টে পরিমিত চাপ দিতে হয়। তাতে মেটাবলিজম বেড়ে যায় এবং সেই কারণে বাড়ি ওজন কমাতেও অনেক সুবিধে হয়।আঙুলের ডগা দিয়ে এই প্রেশার পয়েন্টগুলিতে চাপ দিতে হবে। আর সবচেয়ে বড় কথা হল, এই পদ্ধতিটি এতটাই সহজ যে এটি করতে কারও সাহায্যের প্রয়োজনও হবে না বা খুব একটা বেশি মাথার ঘাম পায়ে ফেলতেও হবে না।
ওজন কমাতে চাইলে শরীরের এই প্রেশার পয়েন্টগুলিতে আকুপ্রেশার টেকনিক মেনে প্রেশার দিন
শরীরের চারটি পয়েন্টে যদি আপনি রোজ আকুপ্রেশার পদ্ধতিতে প্রেশার মাসাজ করতে পারেন, তা হলে আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি যে তাড়াতাড়ি পরিণতি পাবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। এই চারটি পয়েন্ট হল,
১) উপরের ঠোঁট এবং নাকের মাঝখান: এই পয়েন্টটির চিনা ভাষায় পোশাকি নাম হল shuigou spot। এই পয়েন্টে আঙুলের ডগা দিয়ে রোজ দুই থেকে তিন মিনিট গোলাকারে অল্প চাপ দিয়ে মাসাজ করুন। এটি আপনার মেটাবলিজমের হার অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে।
২) কনুইয়ের ভিতরের দিক: আপনার হাতটি অল্প ভাঁজ করুন। এবার কনুইয়ের একটু নীচে দেখবেন আঙুল দিয়ে চাপ দিলে ছোট্ট একটা গর্ত তৈরি হয়। এটিকেই বলা হয় ইনার এলবো। এই পয়েন্টে বুড়ো আঙুল দিয়ে ধীরে-ধীরে দু-তিন মিনিট চাপ দিন। আমাদের হজমশক্তি বাড়াতে এই প্রেশার পয়েন্টে আকুপ্রেশার মাসাজের জুড়ি মেলা ভার।
৩) ইয়ার পয়েন্ট: কানের লতির তলার দিকে ঠিক যেখান থেকে আপনার চোয়াল শুরু হচ্ছে, সেটিই হল ইয়ার পয়েন্ট। দুই কানের নীচে এই পয়েন্টে দুই হাতের তর্জনী দিয়ে প্রতিদিন এক-দুই মিনিট চাপ দিন। এই পয়েন্টটি আমাদের খিদে নিয়ন্ত্রণ করে। বেশি খিদে পাওয়ার সমস্য়া থাকলে এই পয়েন্টে দিনে বারদুয়েক আকুপ্রেশার দিতে পারেন।
৪) থাম্ব পয়েন্ট: দুই হাতের বুড়ো আঙুলের কড়ের ঠিক উপরে থাকে এই প্রেশার পয়েন্টটি। এটিতে যদি দিনে মিনিটদুয়েক করে চাপ দিতে পারেন, তা হলে তা আপনার থাইরয়েড গ্ল্যান্ডটিকে বেশি মাত্রায় সক্রিয় করে মেটাবলিজম রেট বাড়তে সাহায্য করবে। ফলে বাড়তি ওজম কমানোও যে সহজ হবে, তা তো বলাই বাহুল্য।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়..