কোমল ও সুন্দর ত্বক কে না চায় বলুন তো। দেখুন, আমি তো চাই। আপনিও নিশ্চয়ই তাই চান। কিন্তু যাঁদের ত্বক একটু সংবেদনশীল কিংবা যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত তাঁদের মুখ নিয়ে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়, না হলে একটু এধার ওধার হলেই অ্যাকনের মতো সমস্য়া দেখা দেয়। আর মুখে সব থেকে অপ্রত্যাশিত অতিথি হল ব্রণ বা অ্যাকনে। কেউ চায় না। তাই প্লিজ না আসাই ভাল। ব্রণ কি আর সেই কথা শোনে , সে আসবেই। OMG!
তখন আবার কোনও ওষুধের উপর ভরসা করতে হয় আর না হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হয়। কিন্তু এমন অনেক ঘরোয়া উপায় আছে যা দিয়ে অ্যাকনে ঠিক করা সম্ভব। আর এই সব ঘরোয়া উপায় বছরের পর বছর ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে অ্যাকনের জন্য ঘরোয়া ফেস প্যাক (face packs for treating acne)কী কী হতে পারে।
অ্য়াকনের সমস্যাকে বলবেন বাই বাই!
নিম পাতা
ত্বক ও চুলের যত্নে যে সব আয়ুর্বেদিক উপায় ব্যবহার করা হয়, সেই তালিকায় সবার উপরে রয়েছে নিম। নিম অ্যান্টি সেপটিক। নিমে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি এজিং উপাদান। এটি মুখের তেলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে অ্যাকনে হওয়ায় সম্ভাবনা অনেকাংশেই কম হয়ে যায়।
কয়েকটা নিম পাতা নিন। সেইগুলি পরিমাণ মতো জলে ফুটিয়ে নিন। সেই জলে একটি তুলোর প্যাড ভিজিয়ে নিন, সারা মুখে বুলিয়ে নিন সেই তুলোর প্যাড। বিশেষ করে অ্যাকনের উপরেও লাগাতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলবেন না। কিছুক্ষণ রেখে শুকাতে দিন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
না হলে, গ্রাইন্ডারে পরিমাণ মতো জল ও নিমপাতা মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। সেটি সারা মুখে ভাল করে লাগিয়ে নেবেন। তারপর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলবেন।
অ্যালোভেরা ও হলুদ
ভাল ত্বকের জন্য ঠাকুমাদের সেই সিক্রেট উপাদান হল হলুদ। আর অ্যালোভেরা তো বছরের পর বছর ধরে ত্বকের নানা রকম সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করা হয়ে এসেছে। অ্যালোভেরা ও হলুদ মিশিয়ে যদি কোনও ফেস প্যাক (face packs for treating acne)তৈরি করা হয় তবে তা মুখের ত্বকের জন্য অবশ্যই ভাল। ব্রণর জন্য ঘরোয়া ফেস প্যাক হিসেবে চোখ বন্ধ করে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেল নেবেন। তার সঙ্গে হলুদগুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এই পেস্ট আপনার ত্বকে লাগান। অন্তত ২০ মিনিট এভাবেই রেখে দিন। তারপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
গ্রিন টি
গ্রিন টি-এ আছে পলিফেনল। যা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে ও প্রদ্রাহ কমায়। এবং আপনি যদি প্রতিদিন গ্রিন টি খান তবে আপনার ব্লাড সুগারের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কারণ, রক্তে সুগারের পরিমাণ বেশি হলেও অ্যাকনে হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করে।
গ্রিন টি-র পাতা জলে ফুটিয়ে নিন। সেই জল ঘরের তাপমাত্রায় ঠান্ডা করে নিন। তারপর একটি কটন প্যাড ওই জলে ভিজিয়ে মুখে লাগিয়ে নেবেন। না হলে একটি স্প্রে বোতলেও ঢেলে রাখতে পারেন। সময় মতো স্প্রে করে নিতে পারেন। তবে সঙ্গে সঙ্গে ধুয়ে ফেলবেন না। মুখ শুকিয়ে নিন। তারপর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। অ্যাকনে ঠিক হয়ে যাবে (face packs for treating acne)।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!