শীতকালে বাজারে প্রচুর সবজি ওঠে কিন্তু বিমলবাবু শুধুই বাঁধাকপি (cabbage) আনেন. আসলে খেতে ভালোবাসেন কিনা! কিন্তু ছেলে রিন্টু কিছুতেই বাঁধাকপি খাবে না. বাঁধাকপি দেখলেই তার মুখ ভার হয়ে যায়. সবিতা আর কি করেন! খেতে বসলেই বাড়িতে নিত্য অশান্তি! কি করা যায় ভাবতে ভাবতে দিদার রান্নার খাতাটা খুলেই ফেললো সবিতা. আর সেখানেই পেয়ে গেলো দারুন কয়েকটা বাঁধাকপির (cabbage) রেসিপি (recipe). আমি সবিতার থেকে শিখে এসেছি কিন্তু সেগুলো, শুধু আপনাদেরকে জানাবো বলে।
আরও পড়ুনঃ দশটি দুর্দান্ত শাকের রেসিপি
বাঁধাকপির (cabbage) চাপা পিঠে
পিঠে তো সাধারণত মিষ্টিই হয়, কিন্তু একটা ঝাল পিঠের রেসিপি (recipe) ট্রাই করে দেখুন
উপকরণ (Ingredients)
বাঁধাকপি – ১টা
পেঁয়াজ বাটা – ৩ টেবিল চামচ
রসুন বাটা – ১ টেবিল চামচ
আদাবাটা – ১ টেবিল চামচ
ডিম – ৩ টি
চালের গুঁড়ো – আড়াই টেবিল চামচ
নুন – স্বাদমতো
জিরে গুঁড়ো – ১ চা চামচ
হলুদ – আধ চা চামচ
সাদা তেল – ৩ টেবিল চামচ
প্রণালী (Method)
প্রথমেই ভালো করে বাঁধাকপি (cabbage) কুচিয়ে নিতে হবে. এবার একটা প্রেসার কুকারে ৩ টি সিটি দিয়ে কোঁচানো বাঁধাকপি সেদ্ধ করতে হবে. এরপর ভালো করে জল ঝরিয়ে সেদ্ধ করে রাখা বাঁধাকপিতে (Cabbage) একে একে পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, অদা বাটা, হিরে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো এবং সামান্য নুন দিয়ে মেশাতে (mix) হবে. একটা একটা করে ডিম এই মিশ্রনে ফাটিয়ে দিয়ে আবার ভালো করে মেশাতে (mix) হবে. এবারে অল্প অল্প চালের গুঁড়ো মেহাটে হবে. একটা মন্ড তৈরী করতে হবে এভাবে. খেয়াল রাখবেন মন্ডটি যেন অত্যধিক শুকনো না হয়. এবারে একটা ফ্রাইং প্যানে তেল দিয়ে তেলটা গরম হলে মন্ডটি ছাড়তে হবে এবং চামচের সাহায্যে মন্ডটিকে ছড়িয়ে দিয়ে হবে, যাতে একটা চ্যাপ্টা আকার হয় এবং পিঠেটার সব জায়গায় তেল লাগে. এবারে প্যানটি ২ মিনিটের জন্য ঢাকা দিয়ে দিন. তেল গরম করা বাদে বাকি গোটা প্রসেসটাই কিন্তু কম আঁচে করতে হবে, তা না হলে পুড়ে যাতে পারে. ২ মিনিট হয়ে গেলে ঢাকা সরিয়ে পিঠেটা খুব সাবধানে উল্টে দিতে হবে এবং একটু ভাজতে হবে. এভাবেই বাকি পিঠেগুলো তৈরী করে পরিবেশন করুন বাঁধাকপির (cabbage) চাপ পিঠে.
বাঁধাকপির (Cabbage) পাতুরি
হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন. ভেটকীর পাতুরি তো খাওয়াই হয়, কিন্তু যারা নিরামিষ খান, তাদের কি ইচ্ছে করেনা পাতুরি খেতে? তাই এই রেসিপিটা (recipe).
উপকরণ (Ingredients)
বাঁধাকপি – ১টা
গোবিন্দভোগ চাল – ১ টেবিল চামচ
সাদা সর্ষে – ১ টেবিল চামচ
কালো সর্ষে – আধ টেবিল চামচ
পোস্ত – ১ টেবিল চামচ
কাঁচালঙ্কা – ৬-৭ টি
হলুদ গুঁড়ো – আধ টেবিল চামচ
সর্ষের তেল – ৩ টেবিল চামচ
নুন – স্বাদমতো
কলাপাতা (banana leaf) (পাতুরির জন্য)
প্রণালী (Method)
প্রথমেই কলাপাতাতে (banana leaf) অল্প তেল মাখিয়ে একটু সেঁকে নিতে হবে. খেয়াল রাখবেন যেন পুড়ে না যায়. এটা করা হয় কারণ তা না হলে কলাপাতা নরম হবে না এবং পাতুরি মুড়তে অসুবিধে হবে. সেঁকা কলাপাতা গুলো সরিয়ে রাখুন.
বাঁধাকপি (cabbage) খুব ভালো করে কুঁচিয়ে গরম জলে সামান্য নুন দিয়ে আধ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন. এরপর ঝোল ঝরিয়ে নিন. বাঁধাকপি চিপে চিপে অতিরিক্ত জল বার করে দিন. সরিয়ে রাখুন.
মশলা তৈরী করার জন্য সাদা সর্ষে, কালো সর্ষে এবং পোস্ত ১০ মিনিট উষ্ণ জলে ভিজিয়ে রাখুন. এবারে একটা ব্লেন্ডারে একে একে সাদা সর্ষে, কালো সর্ষে, পোস্ত (অবশ্যই জল ঝরিয়ে নিয়ে), কাঁচালঙ্কা এবং আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা গোবিন্দভোগ চাল বেটে একটা পেস্ট তৈরী করে নিন. এবারে একটা মিক্সিং বোলে এই পেস্ট, হলুদ গুঁড়ো এবং খানিকটা সর্ষের তেল মিশিয়ে (mix) ভালো করে একটা মশলার মিশ্রণ তৈরি করুন. এবারে জল ঝরানো বাধাঁকপিটা (cabbage) দিয়ে আবার ভালো করে মেশান.
যে কলাপাতাগুলো (banana leaf) সেঁকে রাখা হয়েছিল তার থেকে একটা নিয়ে এক পিঠে সর্ষের তেল মাখিয়ে নিন. এবারে কলাপাতার (banana leaf) ঠিক মাঝখানে বাঁধাকপির (cabbage) মিশ্রণটি দিয়ে দিন, এবং চারদিক থেকে ভালো করে মুড়ে দিন. একটা সুতো দিয়ে মোড়ানো কলাপাতা (banana leaf) বেঁধে দিতে ভুলবেন না. তা না হলে কিন্তু খুলে যাবে. এভাবেই বাকি পাতুরি গুলো তৈরী করুন.
একটা তাওয়াতে সামান্য তেল গরম করে একে একে পাতুরি গুলো দিয়ে দিন. কম আঁচে ঢাকা দিয়ে দিন. মাঝে মাঝে ঢাকা সরিয়ে উল্টে দেবেন. এরকম ভাবে ১০ মিনিট কম আঁচে বসিয়ে পাতুরি টোরি করুন এবং হয়ে গেলে গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন.
ছবি সৌজন্যঃ pexels, YouTube
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!