তৃণমূল কংগ্রেস এবং টলিউডের মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আর কিছুই বলার নেই। একের পর এক টলিউডের অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের নির্বাচনে তৃণমূল-এর পক্ষ থেকে প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ানোই সে ব্যাপারে অনেক কথা বলে। মাত্র কিছুদিন আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টলিউডের দুই নায়িকা নুসরত জাহান এবং মিমি চক্রবর্তীর নাম ঘোষণা করেন প্রার্থী হিসেবে।
২০১১ সালে যখন সিপিএম-কে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল, সেই সময় থেকেই এই ঘটনার প্রবর্তন হয়। তবে বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী অবশ্য এবারে টলিউডের বরিষ্ঠ অভিনেতা এবং কৃষ্ণনগরের লোকসভা এমপি তাপস পালকে তার শারীরিক অসুস্থতার কারণে টিকিট দেওয়া হয়নি। তাতে অবশ্য কোনও সমস্যা হয়নি, কারণ প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে অন্যান্য টলিউড স্টারদের।
টলিউডের অভিনেতা এবং প্রযোজক দেব ওরফে দীপক অধিকারী আবারও আগেরবারের মতোই ঘাটাল কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে (election) লড়বেন। শতাব্দী রায় লড়বেন বীরভূম থেকে, নুসরত জাহানের জন্য বসিরহাট কেন্দ্র আর মিমি চক্রবর্তী দাঁড়াচ্ছেন যাদবপুর কেন্দ্র থেকে। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মুনমুন সেন তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে ভোটে লড়বেন আসানসোল থেকে।
তৃণমূলের (TMC) একজন রাজ্যসভা এমপি বলেছেন যে সিনেমার তারকারদেরকে ভোটের প্রার্থী করার দুটো সুবিধে রয়েছে। তার বক্তব্য, “মানুষের জন্য কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা সেটা করছিও। তবে যদি দলে স্টার থাকে, বিশেষ করে সিনেমার অভিনেতা বা অভিনেত্রী, তাহলে মানুষের কাছে পৌছনটা অনেক বেশি সহজ হয়।”
আসুন দেখে নি যে আমরা যাঁদেরকে ভোটের প্রার্থী হিসেবে দেখছি, তাঁরা আসলে কারা
শতাব্দী রায়
অভিনেত্রী, পরিচালক এবং কবি – শতাব্দী তার সিনেমার কেরিয়ার আরম্ভ করেন ১৯৮৬ সালে। দুবার ‘বেঙ্গলি ফিল্ম জারনালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত এই অভিনেত্রী ২০০৯ সাল থেকে বীরভূমের এমপি। শতাব্দী তার স্টারডম অ্যাচিভ করেন যখন তিনি টলিউডের অভিনেতা এবং বর্তমানে তারই তৃণমূল কংগ্রেসের সহকর্মী তাপস পালের সাথে গুরু দক্ষিণা, অন্তরঙ্গ, আপন আমার আপন – এই সিনেমাগুলিতে অভিনয় করেন।
মুনমুন সেন
শুধু টলিউড এবং বলিউডেই নয়, মুনমুন সেন তামিল, তেলুগু, মালায়লাম, কন্নড় এবং মারাঠি সিনেমাতেও দাপটের সাথে কাজ করেছেন। মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের মেয়ে তিনি। অক্সফোর্ডের Somerville College থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে তিনি পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করেন যাদবপুর ইউনিভারসিটি থেকে। এরপর শুরু হয় তার সিনেমার কেরিয়ার। এবং প্রায় ৩০ বছর বাদে অর্থাৎ ২০১৪ সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।
দেব (দীপক অধিকারী)
টলিউডের ‘হায়েস্ট পেয়েড অ্যাক্টর’ অর্থাৎ সবচেয়ে বেশি রোজগেরে অভিনেতা দেব তার কেরিয়ার আরম্ভ করেন ২০০৬ সালে ‘আই লাভ ইউ’ সিনেমা দিয়ে। ৩৬ বছরে শুধু একজন অভিনেতা হিসেবেই না, একজন প্রযোজক হিসেবেও দেব সফল। ২০১৪ সালে ঘাটাল কেন্দ্র থেকে তিনি তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ান এবং সিপিআই নেতা সন্তোষ রাণা এবং কংগ্রেস নেতা মানস ভুইঞা-র বিরুদ্ধে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন, সবটাই অবশ্য তার স্টারডম-এর জন্যই।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!