পরিসংখ্যান বলছে, আমাদের দেশের কমবয়সি নাগরিকদের মধ্যে প্রায় ৭১ শতাংশই নাকি মাথার কাছে মোবাইল রেখে শুতে যায়। কারণ, অনেকেরই নাকি মোবাইল না ঘাটলে ঘুমই আসতে চায় না। বিশেষ করে ফেসবুকে খানদুয়েক লাইক আর ইনস্টাগ্রামে সেলিব্রিটিদের প্রোফাইলে ঢুঁ না মারলে যে স্ট্রেসই দূর হয় না! কিন্ত এই চক্করে যে চোখের বারোটা বেজে যাচ্ছে, সে খবর রাখেন নাকি? কিন্তু মোবাইল ঘাঁটার সঙ্গে চোখের কী সম্পর্ক মশাই?
University of Toledo-এর গবেষকদের করা এক স্টাডিতে দেখা গেছে, অন্ধকারে মোবাইল ফোন ঘাটলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়। বিশেষ করে রেটিনার ক্ষমতা কমতে শুরু করে, যে কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হল, মোবাইলের আলোর সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার সম্পর্কটা ঠিক কোথায়? স্টাডিটি চলাকালীন দেখে গেছে মোবাইলের HEV লাইট (High Energy Visible light), অর্থাৎ মোবাইল স্ক্রিনের আলো, রেটিনার উপর এত জোরে আঘাত করে যে macular degeneration-এর আশঙ্কা বাড়ে। সেই সঙ্গে চোখের লাইট সেনসিটিভ সেলেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়, যে কারণেও দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে। যদিও এই নিয়ে আরও কিছু গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তবুও এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে অন্ধকারে মোবাইল ঘাটার বদঅভ্যাস এখনই না ছাড়লে চরম বিপদ!
কত তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে, তা নির্ভর করে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণের উপর। এই হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো হলে যেমন চটজলদি ঘুম এসে যায়, তেমনই ঘুমে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কাও আর থাকে না। বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে, ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন (Smartphone) ব্যবহার করলে ফোনের নীল আলোর কারণে নাকি মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে অনিদ্রার সমস্যা ঘাড়ে চেপে বসে। দিনের পর দিন ঠিক মতো ঘুম না হলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো ঘটনা তো ঘটেই, লেজুড় হয় ছোট-বড় নানা সব রোগও। এমনকী, ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
অন্ধকারে শুধু স্মার্টফোন ঘাটলেই যে রেটিনার ক্ষতি হয়, এমন নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে কম আলোয় ল্যাপটপ ব্যবহার করলে এবং টিভি দেখলেও চোখের (Vision) সমান ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই দৃষ্টিশক্তি কমে যাক, এমনটা না চাইলে এই বদঅভ্যাসগুলিও ত্য়াগ করতে হবে।
১. কম আলোয় বা অন্ধকারে যদি একান্তই মোবইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হয়, তাহলে চশমা পরতে ভুলবেন না। আজকাল এমন কিছু লেন্স কিনতে পাওয়া যায়, যা ক্ষতিকর নীল আলোর হাত থেকে চোখকে রক্ষা করে। প্রয়োজনে চশমায় এমন লেন্স লাগাতে পারেন।
২. বারে-বারে চোখ পিটপিট করুন। শুনতে আজব লাগলেও, একথা প্রমাণিত যে বারে-বারে চোখ পিটপিট করলে চোখের ভিতরের অংশ আর্দ্র থাকে। ফলে মোবাইলের নীল আলোর কারণে রেটিনার বা চোখের light sensitive cell-এর কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সারা দিন যাঁরা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন, তাঁরাও এই নিয়মটি মানতে ভুলবেন না যেন! তাতে অসময়ে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে!
৩. মোবাইল স্ক্রিনের ব্রাইটনেস যেমন খুব কমিয়ে রাখা উচিত নয়, তেমনই বেশি বাড়িয়ে রাখলেও চোখের জন্য ক্ষতিকারক।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!