ADVERTISEMENT
home / ডি আই ওয়াই লাইফ হ্যাকস
বৈবাহিক জীবন সুখে-শান্তিতে কাটাতে মেনে চলুন বাস্তুর এই নিয়মগুলি

বৈবাহিক জীবন সুখে-শান্তিতে কাটাতে মেনে চলুন বাস্তুর এই নিয়মগুলি

দু’জন ভিন্ন মানসিকতার মানুষ এক ছাদের তলায় থাকলে মাঝে-মধ্যে একটু ঠোকাঠুকি তো হবেই। তা না হলে সম্পর্কের স্বাদ বাড়বে কীভাবে! কিন্তু কোনও কারণেই সেই মনোমালিন্য মাত্রা ছাড়ালে চলবে না। তবে সব সময়ই যে আমাদের ভুলে বৈবাহিক জীবনে অশান্তির মেঘ দানা বাঁধে, এমনটাও নয়। বরং নানা পারিপার্শ্বিক বিষয়ও দাম্পত্য জীবনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে থাকে। যেমন বাস্তু দোষ দেখা দিলেও কিন্তু অনেক সময় শান্তি বিঘ্নিত হয়। তাই তো বাস্তুশাস্ত্র (Vastu) মতে বিয়ের পরে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। কারণ এই নিয়মগুলি না মানলে বাড়ির অন্দরে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকে, যে কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য এবং অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এমনকী, হঠাৎ করে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়া আশঙ্কাও থাকে। তাই তো বলি, বৈবাহিক জীবন সুখে-শান্তিতে কাটুক, এমনটা যাঁরা চান, তাঁরা নির্দিষ্ট বাস্তু নিয়ম মেনে চলতে ভুলবেন না যেন! কী-কী নিয়ম মানতে হবে তাই ভাবছেন? জেনে নিন আমাদের কাছ থেকে।

অফুরন্ত সুখের সন্ধান মিলবে এই বাস্তু টিপসগুলি মানলে

১. বেডরুমের অবস্থান

বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, শোওয়ার ঘর যদি দক্ষিণ-পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিকে হয়, তা হলে বৈবাহিক সম্পর্কের (Married Life) অবনতি ঘটার আশঙ্কা আর থাকে না। বরং স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা আরও বাড়ে। তবে এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে আর-একটা বিষয়ও। কী বিষয়? শোওয়ার সময় মাথা যেন দক্ষিণ দিকে থাকে। এমন উপদেশ কেন তাই ভাবছেন? বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে উত্তর দিক থেকে শুভ শক্তির আগমন ঘটে। তাই দক্ষিণ দিকে মাথা করে শুলে সেই শুভ শক্তির প্রভাবে নানা বিপদ যেমন কেটে যায়, তেমনি সৌভাগ্য রোজের সঙ্গী হয়। ফলে সুখে-শান্তিতে ভরে ওঠে প্রতিটা দিন।

২. কাঠের আসবাব রাখাটাই ভাল

আজকাল কাঠ ছাড়াও আরও নানা ধরনের জিনিস দিয়ে তৈরি আসবাবের জনপ্রিয়তা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। কিন্তু বিয়ের সময় কাঠের আসবাব ছাড়া আর কিছুই কেনা চলবে না। কারণ বাস্তুশাস্ত্র মতে কাঠের আসবাব বাড়িতে থাকলে শুভ শক্তির মাত্রা বাড়ে। ফলে খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আর থাকে না। বিশেষত, খাট যদি কাঠের হয়, তা হলে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে মনোমালিন্য মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা কমে। তবে মাথায় রাখতে হবে, খাটে যেন কাচের কাজ করা না থাকে। কারণ, প্রাচীন এই শাস্ত্র মতে বিছানায় কাচ থাকা অশুভ, তাতে খারাপ শক্তির প্রভাব বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এমন নকশা এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

৩. শোওয়ার ঘরের রং

ঘরের রংও কিন্তু নানাভাবে আমাদের জীবনের উপর খারাপ-ভাল প্রভাব ফেলে থাকে। যেমন শোওয়ার ঘরে যদি ডিপ কালার করা হয়, তা হলে অশুভ শক্তির মাত্রা বাড়ে, যার প্রভাবে নানা সমস্যায় জীবন জর্জরিত হয়ে ওঠে। তাই শোওয়ার ঘরে ভুলেও ডিপ কালার করা উচিত নয়। বরং নীল, সবুজ অথবা গোলাপি রঙের মতো হালকা কোনও রং বেছে নিলে অশান্তির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা আর থাকে না।

ADVERTISEMENT

৪. আয়না রাখতে হবে বেশ কিছু নিয়ম মেনে

বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়না খারাপ শক্তিকে আকর্ষণ করে। তাই শোওয়ার ঘরে আয়না রাখলে সেই স্থানে খারাপ শক্তির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে, কথায়-কথায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই আয়না রাখতে হবে ড্রেসিং রুম, নয়তো বাথরুমে। আর যদি কোথাও আয়না রাখার জায়গা না পান, তা হলে শোওয়ার ঘরে রাখা ছাড়া কোনও উপায় নেই। সেক্ষেত্রে সারা রাত আয়নাটা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।

আরও কতগুলি নিয়ম মেনে চলতে ভুলবেন না

দাম্পত্য জীবনে অফুরন্ত সুখের সন্ধান পেতে আরও কতগুলি বাস্তু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। যেমন…

১. উত্তর-পূর্ব দিকে রান্না ঘর তৈরি করা চলবে না।

২. বাড়িতে কাঁটা জাতীয় কোনও গাছ রাখলে কিন্তু নানা বিপদ ঘটার আশঙ্কা থাকে। তাই এমন গাছ বাড়িতে না রাখাই উচিত।

ADVERTISEMENT

৩. বাড়িতে প্লাস্টিকের কোনও আসবাব না রাখাই শ্রেয়।

৪. বাড়ি-ঘর সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তাতে গৃহস্থের প্রতিটি কোণায় পজেটিভ শক্তির মাত্রা বাড়বে। ফলে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কা যেমন কমবে, তেমনি পরিবারে সুখ-শান্তি বজায় থাকবে।

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

ADVERTISEMENT
24 Jun 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT