সাফল্য কী? ‘সাফল্য কোনও প্রান্তিক স্টেশন নয়। আবার ব্যর্থতা মানেই সব শেষ, এমনও নয়। বরং মনের জোরে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়াই আসল কথা।’ ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের এই কথাটা ষোলো আনা খাঁটি! সত্যিই তো প্রথম সাফল্যেই কি আমাদের খিদে মিটে যায়? মোটেই নয়! বরং একের পর এক সাফল্যের চেষ্টায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলি আমরা। কিন্তু হাজার চেষ্টার পরেও যে কোনও-কোনও সময় সাফল্যের চিড়িয়াকে খাঁচা বন্দি করা যায় না। এমন কেন? আসলে কী জানেন, পরিশ্রম আর ভাগ্য, এই দুই মশলার ঠিক-ঠিক মিশ্রণেই ম্যাজিক তৈরি হয়। তাই সফল হতে গেলে ভাগ্যের সঙ্গ পাওয়াটা একান্ত প্রয়োজন। পরিশ্রম তো করে ফেলবেন। কিন্তু এই বশ না মানা ভাগ্যকে বশে আনবেন কীভাবে জানেন কি? এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে বাস্তুশাস্ত্রে (Vastu Shashtra)। বৈদিক যুগে লেখা এই শাস্ত্র মতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চললে নাকি কর্মক্ষেত্রে (Career) সাফল্য আসবেই আসবে। তাই চরম সাফল্যের স্বাদ পেতে যাঁরা আগ্রহী, তাঁরা এই টিপসগুলি (tips) মেনে চলতে ভুলবেন না!
১. পিছনে দেওয়াল থাকা মাস্ট
বাস্তুশাস্ত্র মতে যেখানে বসে কাজ করছেন, তার ঠিক পিছনে একটা দেওয়াল থাকলে মন্দ হয় না। আর সেই দেওয়ালে যদি পাহাড়ের ছবি টাঙিয়ে দেওয়া যায়, তা হলে পোয়াবারো। তাতে কর্মভাগ্য ফিরবে বই কী! সঙ্গে ভেঙে পড়া মনের জোরও একটু শক্তি ফিরে পাবে। তাই যদি সাফল্যের পাহাড় চড়তে চান, তা হলে দেওয়ালের ‘সাপোর্ট’ যে চাই-ই!
২. শোওয়ার ঘরে কাজ নয়
যাঁরা বাড়িতে বসে কাজ করেন, তাঁরা ভুলেও কিন্তু শোওয়ার ঘরে কাজ করবেন না। কারণ, বাস্তুশাস্ত্র বলছে, তাতে উন্নতি তো হবেই না, বরং কর্মক্ষেত্রে একের পর এক ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। এক্ষেত্রে মানতে হবে আরও একটি নিয়মও। শোওয়ার ঘরে যেমন কাজ করা চলবে না, তেমনই শোওয়ার ঘরের পাশেই যেন অফিস না হয়, তাতেও নাকি সমান ক্ষতি হবে!
৩. অফিস ঘরের আসবাব
কেরিয়ারে সাফল্য পাওয়ার ইচ্ছে থাকলে অফিসে কাঠের চৌকো আসবাবপত্র ব্যবহার করা উচিত। আর যদি আপনার ডেস্ক অফিসের পশ্চিম কোণে হয়, তা হলে নিশ্চিন্তে কাচের টেবিল ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু ভুলেও ভাঙা ফার্নিচার ব্যবহার করবেন না, তাতে নাকি নানা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
৪. কাজে বসতে হবে সঠিক দিকে মুখ করে
বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তর অথবা পূর্ব দিকে মুখ করে বসে কাজ করলে খারাপ সময় কেটে যায়। সেই সঙ্গে একের পর এক সুযোগ আসতে শুরু করে। ফলে চরম সাফল্যের স্বাদ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তবে এখানেই শেষ নয়, বাস্তুশাস্ত্র মতে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কোনও গাছ রাখলেও নাকি আরও সুফল মেলে। বিশেষ করে নানা সব অর্থনৈতিক ঝামেলা মিটে যেতে সময় লাগে না।
৫. ক্রিস্টালের উপরও ভরসা রাখতে পারেন
অফিস ডেস্কে ক্রিস্টালের কোনও শোপিস রাখলেও নাকি উপকার পাওয়া যায়। তাতে কর্মক্ষেত্রে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা নানা জটিলতা মিটে যেতে যেমন সময় লাগে না, তেমনই অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নতি ঘটে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অফিসের দক্ষিণ কোণাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই জায়গাটা যেন কোনও সময় অন্ধকার না থাকে, তাতে সুফল পাবেন।
আরও কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে
১. দরজার দিকে পিঠ করে বসবেন না। আর যদি পিছনে দেওয়াল থাকে, তা হলে সেখানে ভুলেও ঝর্ণা বা জলের ছবি টাঙানো উচিত নয়!
২.কাজ যেখানে করছেন, সেখানে ভুলেও কোনও যুদ্ধের ছবি রাখবেন না।
৩. অফিস হোক কী বাড়ি, যেখানেই কাজ করুন না কেন, সেখানে যেন কোনও ফাটা পাইপ না থাকে। কারণ, জলের অপচয় হওয়াটা বাস্তুশাস্ত্রে খারাপ লক্ষণ।
৪. যেখানে বসে কাজ করছেন, সেখানকার পূর্ব দিকে ফুলের গাছ অথবা প্রতিদিন তাজা ফুল রেখে কাজ শুরু করুন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!