বেড়াতে (trip) যাওয়ার কথা উঠলেই সিমলা, কুলু, মানালি, ভাইজাগের কথা মনে আসে। লম্বা, লম্বা ট্রিপ। এখন তো বাঙালি আবার বিদেশে বেশি যায়। ব্যাঙ্কক, পাটায়া থেকে ইউরোপের অলিগলি। আর বর্ষাকালে বেড়ানোর কথা শুনলে তো অনেকেরই চোখ কপালে উঠে যায়! এই সময় আবার কেউ বেড়াতে যায় নাকি? এই সময় মশা বাড়ে, সাপ বেরোয় ইত্যাদি ইত্যাদি। তাছাড়া জল কাদা জমে রাস্তা ঘাটের অবস্থাও খুব একটা কহতব্য থাকে না। আপনি হয়তো ভাবছেন বর্ষা আর কই? বৃষ্টি তো তেমন হচ্ছে না। ওমা তাতে কী? বৃষ্টি হচ্ছে না বলে এটা কি শীতকাল হয়ে যাবে! এখানে মানে কলকাতায় হচ্ছে না বৃষ্টি এটা ঠিক। তবে গ্রামেগঞ্জে মোটামুটি একেবারেই হচ্ছে না বৃষ্টি তা কিন্তু নয়। তাই হাতে সময় থাকলে এই উইকএন্ডে (weekend) কলকাতা থেকে খুব বেশি দূরে নয় এরকম একটা গ্রামে (village) এক দিনের জন্য বেরিয়ে আসতে পারেন।
গ্রামের নাম বুড়ুল
গঙ্গার শান্ত ঠান্ডা হাওয়া খেতে মন চাইছে? আর চোখ চাইছে সবুজ দেখে শান্তি পেতে? কলকাতার খুব কাছেই বজবজ। আর বজবজের খুব কাছেই হল বুড়ুল গ্রাম। বজবজ থেকে বুড়ুল আসতে আরও কয়েকটা গ্রাম চোখে পড়বে। যেমন মাঝিপাড়া, গোদাখালি ইত্যাদি। এই গ্রামগুলোও কম কিছু সুন্দর নয়। মজার কথা হল রায়পুর বলে এখানে একটি জায়গা আছে। সেখান থেকে বুড়ুল বাসস্ট্যান্ডের দিকে যে রাস্তা ধরে আপনি হাঁটবেন, সেটা কিন্তু আসলে কোনও রাস্তাই নয়। সেটা আসলে একটা বাঁধ। বেশি বৃষ্টি হলে গঙ্গায় ভাঙন ধরে। তখন জল বেড়ে যায়। এই ব্যাপারে সুরক্ষা দিতেই এরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গঙ্গার বুকে এখানে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার মজাই আলাদা। সোনালি রোদের আভা যখন জলের বুকে আলপনা কাটবে মন একেবারে ভরে যাবে। কপাল ভাল থাকলে যদি অল্পসল্প বৃষ্টি হয়, তা হলে তো আর কথাই নেই। সঙ্গে বয়ফ্রেন্ড থাকলে রোম্যান্স জমে পুরো ক্ষীর হয়ে যাবে! এখানকার মেয়েবউরা শাড়িতে জরির কাজ করেন। সময় থাকলে তাঁদের অপূর্ব হাতের কাজও দেখে আসতে পারেন।
কীভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে লোকাল ট্রেনে বজবজ। বজবজ থেকে বুড়ুল আসার সরাসরি অটো পাওয়া যায়। ভাড়া মাথা পিছু ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এখন এখানে ই-রিক্সাও চালু হয়ে গেছে। তার ভাড়া একটু বেশি। ট্রেনে চাপতে ইচ্ছে না হলে বাসের ব্যবস্থাও আছে। ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ড থেকে বুড়ুলের বাস ছাড়ে। টিকিটের দাম সামান্য।
যদি থাকতে ইচ্ছে হয়
অনেকদিন থাকার মতো জায়গা বুড়ুল নয়। এটা ছোট্ট একটা গ্রাম। তবে শনিবার গিয়ে সেই রাতটা থেকে রবিবার ফেরা যায়। এখানে বুড়ুলবাড়ি বলে একটি হোমস্টে আছে। যোগাযোগ করতে পারেন- ৯৮৩১৯৪৮৬৩৪ এবং ৯৮৩১৫৮৮৮৮৮ এই নম্বরে। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ আর ডিনার আপনি এখান থেকেই খেতে পারেন। খরচ পড়বে সব মিলিয়ে হাজার টাকার মতো। ঘরের ভাড়া দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪০০০ পর্যন্ত। তবে এখানে মাত্র তিনটে ঘর আছে। তাই আগে থেকে বুকিং করে নেবেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!
Featured Image: Burul Bari and rii_sana