২৪ ঘণ্টায় অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম (sleepy) জরুরি। চিকিৎসকের বড় অংশ এমনটাই মনে করেন। আপনার পেশা, শারীরিক অবস্থা, বয়সের কথা বিচার করলে সেটা কখনও সাত, ছয় বা পাঁচ ঘণ্টাও হতে পারে। কিন্তু ঘুম না হওয়ার সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। তা নিয়ে প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। রাতে (night) ঘুম হচ্ছে না, অথচ দিনভর (daytime) কাজের চাপ রয়েছে এমন পরিস্থিতি কোনও না কোনও সময় আমরা অনেকেই সামলেছি। এই পরিস্থিতিতে আপনার ঠিক কী কী সমস্যা হতে পারে জানেন? এর চটজলদি সমাধানই বা কী? সে সব নিয়েই আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করলাম।
রাতে ঘুম না হলে, দিনভর ঘুম পাবেই। আর তাতেই বিগড়ে যেতে পারে আপনার রুটিন। কারণ শরীর তো বিশ্রাম বা আরাম চাইবেই। অথচ আপনার কাজ, সকালে বিশ্রাম নেওয়ার অবসর হয়তো দেবে না। ফলে বেশ কিছু দৈনন্দিন সমস্যা নিয়েই আপনাকে চলতে হবে। যাতে একদিকে যেমন শরীর বিগড়ে যাবে, তেমনই খারাপ হবে আপনার কাজের মান।
প্রাথমিক ভাবে ঘুম কম হলে মাথা যন্ত্রণার সমস্যায় ভোগেন বহু মানুষ। কারও মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে ঘুমের অভাবে সেই সমস্যাও মাথা চাড়া দিতে পারে। শুধু মাথা নয়। শরীরে বিভিন্ন অংশে যন্ত্রণা হতে পারে। বিশেষত বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। কারণ পেশি সচল থাকবে না। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাবে। ফলে যে কোনও কাজে ক্লান্তি আসাটা স্বাভাবিক। এমনিতেই ঘুম পেলে কোনও কাজে উৎসাহ পাবেন না, আপনি। তার সঙ্গে একঘেয়েমির ফলে আপনি আরও বিরক্ত হয়ে যাবেন।
ঘুম না হলে হজমের সমস্যা হয়। অর্থাৎ আপনি রাতে যে খাবার খেয়েছেন, ঘুম না হওয়ার কারণে তা হজম হবে না। এতে পেটের গন্ডগোল যেমন হতে পারে, তেমনই বমির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। আর বদহজম মাথা যন্ত্রণার কারও হতে পারে। সব মিলিয়ে ঘুম না হলে কোনও কাজেই আপনি উৎসাহ পাবেন না।
রাতে ঘুম না হলে অ্যালহোকল একজম বন্ধ করে দিতে হবে। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
রাতে ঠিক মতো ঘুম হয়নি। অথচ দিনভর আপনাকে কাজ করতেই হবে। আপনি নিরুপায়। তাহলে কীভাবে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব? বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সব দিনে আপনি ডায়েটে বেশি করে ফল রাখুন। যে কোনও রকম মরসুমি ফল একাধিক খাওয়া জরুরি। এতে আপনার শরীরে জলের ঘাটতি হবে না। আর্দ্রতা বজায় থাকলে অক্সিজেনের ব্যালান্স থাকাও স্বাভাবিক।
রাতে ঘুম না হলে অ্যালকোহল এবং ধূমপানের যাবতীয় রুটিন দিনের বেলা বন্ধ করে দিতে হবে। কাজের মধ্যে মদ্যপান বা ধূমপান আপনার স্নায়ু আরও শিথিল করে তুলবে। এতে কাজের ব্যাঘাত ঘটবে।
শরীরচর্চা যে কোনও বয়সের মানুষের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, অথচ দৈনন্দিন শরীরচর্চার অভ্যেস বজায় রাখতে পারেন, তাহলে কিছুটা ব্যালান্স করা সম্ভব।
যদি সম্ভব হয় দিনের কাজের ফাঁকে ১৫-২০ মিনিটের পাওয়ার ন্যাপ নিয়ে নিন। এতে তাৎক্ষণিক ক্লান্তি দূর হবে সহজেই। নতুন করে কাজে এনার্জি পাবেন আপনি।