রোগা হতে অনেকেই চান। ভুঁড়ি কমাতে চান নিমেষে। কিন্তু রোগা হওয়ার থেকেও বেশি জরুরি সুস্থ থাকা। তবে চেহারা হালকা থাকলে বেশ কিছু রোগ হওয়ার সম্ভবনা এমনিতেই কমে যায়। আর না খেয়ে কিন্তু রোগা হওয়া যায় না। আপনার এই কনসেপ্ট থাকলে আজই বদলে ফেলুন। খেতে তো হবেই।
দিনে অন্তত তিন বা চারবার আপনি নিশ্চয়ই খান। পরিমাণে অল্প কিন্তু বেশিবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ (weight loss) হবে তাড়াতাড়ি। তবে খুব থেকে উঠে প্রথম যে খাবারটা খাবেন, তার গুরুত্ব অনেক বেশি। অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট (breakfast)। কী ধরনের খাবার ব্রেকফাস্টে থাকলে আপনার ভুঁড়ি তাড়াতাড়ি কমবে, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করলাম এই প্রতিবেদনে।
১) ব্রেকফাস্ট থেকেই যে কোনও মানুষ সারা দিনের এনার্জি পান। ফলে এটা ভারী হলেও ক্ষতি নেই। এই মেনুতে অবশ্যই ফাইবার যুক্ত খাবার রাখুন। যা আপনার ফ্যাট কমাতে সাহায্য করবে।
২) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে হাই প্রোটিন ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এমনকি ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করে প্রোটিন। শরীরে নিউট্রিএন্টসের ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে ব্রেকফাস্টে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখাটা মাস্ট।
৩) ব্রেকফাস্টে হাই ক্যালোরি যুক্ত খাবার বাদ রাখাই ভাল। আর চিনিযুক্ত খাবার একেবারে বাদ। চা বা কফি যেটাই খাবেন ব্রেকফাস্টে চিনি ছাড়া হলেই ভাল। ধরুন হেলদি ওটমিল অনেকটা চিনি দিয়ে খাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে এর কোনও সুফল পাবেন না। উল্টে বেড়ে যাবে ভুঁড়ি। প্যানকেক বা পেস্ট্রি জাতীয় খাবারও ব্রেকফাস্ট থেকে বাদ রাখা উচিত। শুধু ভুঁড়ি কমানোই নয়, এতে আপনি সুস্থ থাকবেন।
৪) প্রসেসড জুস ব্রেকফাস্টে বাদ দিন। এই ধরনের জুস হাই ক্যালোরি শরীরে যোগ করবে। তার বদলে ফলের রস করে খেতে পারেন। সবথেকে ভাল হয়, গোটা একটা ফল যদি চিবিয়ে খান। রস করে খেলেও একই উপকার। কিন্তু চিবিয়ে খেলে আপনার মাসলেরও ব্যায়াম হয়ে যাবে।
৫) হোয়াইট ব্রেড, পাস্তা বা হাতে গড়া আটার রুটি খেতে পারেন ব্রেকফাস্টে। এতে হার্ট ভাল থাকবে। সঙ্গে ভুঁড়িও কমবে।
ঘুম থেকে ওঠার কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্রেকফাস্ট সেরে ফেলার চেষ্টা করুন। অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকলে কিন্তু ভুঁড়ি আরও বাড়বে। ব্রেকফাস্টে পেট ভরে খেয়ে নিন। তারপর দিনে চার থেকে পাঁচবার অল্প করে খাবার খান। কিন্তু ব্রেকফাস্টের মতো পরিমাণ যেন অন্য কোনও মিলে না থাকে। এর সঙ্গে পরিমাণ মতো জল খান। সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোন। টেনশন ফ্রি থাকুন। আর অবশ্যই হালকা শরীরচর্চা করুন। আপনার ওজন কমতে বাধ্য। আর দেরি না করে আজই শুরু করে দিন এই রুটিন।