গত কয়েক মাসের খবরের কাগজ উল্টেপাল্টে দেখলেই জানতে পারবেন, কীভাবে একের পর এক হোয়াটসঅ্যাপ আকাউন্ট হ্যাক হচ্ছে। কখনও বিদেশি spyware-এর সাহায্যে, তো কখনও অন্য কোনও ঘুর পথে চুরি করে নেওয়া হচ্ছে আমার-আপনার গোপন তথ্য। সেই সব মূল্যবান তথ্য হাত বদল হয়ে যে কোথায় গিয়ে পৌঁছচ্ছে, তা কেউ জানে না। তা ছাড়া একবার আপনার কোনও অ্যাকাউন্ট যদি হ্যাক হয়, তা হলে আগামী সময় সেই সূত্র ধরে যে আর কোনও অ্যাপ হ্যাক হবে না, সে গ্যারান্টি কে দিতে পারে! বিশেষ করে ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে অর্থনৈতিক ক্ষতি করে দেওয়ার চেষ্টায় কিন্তু অনেক হ্যাকারই দিন-রাত ঘাম ঝরিয়ে চলেছে। তাই সময় থাকতে-থাকতেই সাবধান হওয়াটা জরুরি। কিন্তু প্রশ্ন হল, হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) অ্যাকাউন্টটি নিরাপদে রাখবেন কীভাবে, তা জানেন কি?
‘টু স্টেপ ভেরিফিকেশন’
হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট নিরাপদে রাখার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল এই টু স্টেপ ভেরিফিকেশন। এই পদ্ধতিতে অ্যাকাউন্টের অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে তোলার পরে কেউ যদি আপনার অ্যাকাউন্টে অনধিকার প্রবেশ করতে চায়, তা হলে সঙ্গে-সঙ্গে আপনি নোটিফিকেশন পাবেন। এই সুবিধে পেতে হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংয়ে গিয়ে সেখান থেকে অ্যাকাউন্ট সেকশনে গিয়ে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন বাটন ক্লিক করতে হবে। যখনই ক্লিক করবেন, তখনই তা আপনার ই-মেল আইডি জানতে চাইবে। এরপর যেমন-যেমন তথ্য চাইবে, সেই মতো প্রতিটা ধাপ পেরলেই ভেরিফিকেশন (security features) সম্পন্ন হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, টু স্টেপ ভেরিফিকেশন বন্ধ করার বিষয়ে যদি কোনও সময় কোনও মেল পান, তা হলে ভুলেও তাতে ক্লিক করবেন না। কারণ, অনেক সময় হ্যাকাররা এমন নকল মেল পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার চেষ্টা করে থাকে। এক্ষেত্রে আর একটি বিষয় জেনে রাখা জরুরি। টু স্টেপ ভেরিফিকেশনের পরে একটা ‘পিন নম্বর’ পাবেন। মাঝেমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপের তরফ থেকে এই পিন নম্বর জানতে চাইবে, তাই নম্বরটা ঠিকঠাক মনে রাখবেন। যদি ভুলে যান, তা হলেও চিন্তা নেই। আপনার দেওয়া ইমেল আইডির মাধ্যমে পিন নম্বর পুনরায় জেনে ফেলা সম্ভব।
ফোন হারিয়ে গেলে সঙ্গে-সঙ্গে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিন
রাস্তাঘাটে ফোন চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনা আকছারই ঘঠে থাকে। এমন ঘটনা যদি আপনার সঙ্গেও ঘটে, তা হলে নতুন সিম পাওয়ার পরে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে ঢুকে একবার অ্যাকাউন্টটি ভেরিফাই করে নিতে ভুলবেন না! ফোন চুরি হয়ে যাওয়ার পরে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে মেল পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। যে ফোন নম্বরের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের লিঙ্ক রয়েছে, সেই নম্বরটি ইমেলে উল্লেখ করে দেবেন।
‘Status privacy’ নিয়েও সাবধান হতে হবে
আপনার স্টেটাস সবাই দেখুক, এমনটা যদি না চান, তা হলে হোয়াটসঅ্যাপে ঢুকে উপরে ডান দিকে যে তিনটে ডট আছে, সেখানে ক্লিক করলে সেটিং অপশন আসবে। সেই বাটনে ক্লিক করলে অ্যাকাউন্ট বলে একটা অপশন পাবেন। সেখানে গিয়ে স্টেটাস প্রাইভেসি বদলে দিলেই কেউ আর আপনার স্টেটাস দেখতে পারবে না।
আরও কিছু টিপস
১. কোনও অচেনা নম্বর থেকে কোনও লিঙ্ক, এমপি৪ অথবা GIF ফাইল এলে ভুলেও তাতে ক্লিক করবেন না। অনেক সময় এই সব লিঙ্কের মাধ্যমেও হ্যাকাররা অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে থাকেন।
২. প্লে স্টোর ছাড়া অন্য কোনও সোর্স থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। যাঁরা আই ফোন ব্যবহার করেন, তাঁরা যে-কোনও অ্যাপ শুধুমাত্র আই স্টোর থেকে ডাউনলোড করবেন। তাতে অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…