গত বছরের ডিসেম্বরে মুক্তি পায় ‘চণ্ডীগড় করে আশিকি’। এই মাসে একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও আসে ছবিটি। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাওয়ার পর পরেই ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি ভিউ এই ছবির। কিন্তু এই ছবিতে এমন কী আছে, যা এত দ্রুত দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে? কেনই বা এত জনপ্রিয় হয়েছে অভিষেক কপূর পরিচালিত চণ্ডীগড় করে আশিকি (chandigarh kare aashiqui) ? এই ছবিতে অভিনয় করেছেন আয়ুষ্মান খুরানা (ayushmann khurrana) , বাণী কপূর । নেট দুনিয়ায়ও প্রচুর লেখালেখি হচ্ছে এই ছবি নিয়ে। কিন্তু কেন?
দশ বছর আগেও বলিউড তথা ভারতীয় চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির মূলধারার ছবি (chandigarh kare aashiqui) যা ভাবতে পারত না, এই ছবিতে সেরকম বার্তাই পেয়েছেন দর্শকরা। তাই মূলত, নব প্রজন্মের দর্শকদের যথেষ্ট প্রিয় হয়ে উঠেছে এই ছবি (chandigarh kare aashiqui) । ছবির গল্প খুবই সহজ ও সাবলীল। চণ্ডীগড়ে একটি জনপ্রিয় জিম চালান মনু ওরফে আয়ুষ্মান। সেখানেই জুম্বা শিক্ষক হয়ে যোগ দেন মানবী ওরফে বাণী কাপুর। দুজনেই দুজনের প্রতি আকৃষ্ট হন। একে অপরকে ভাল লাগে এবং তাঁদের মধ্য়ে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। তাহলে বাকি বলিউড লাভ স্টোরির থেকে এই ছবির প্লট (chandigarh kare aashiqui) আলাদা কোথায়? কারণ মানবী প্রথমেই মানবী ছিলেন না, মনুর মানবী হয়ে ওঠার গল্পও বলে এই ছবি।
একবিংশ শতাব্দীর আলোচনার এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল জেন্ডার আইডেন্টিটি এবং সেক্সুয়ালিটি। যদিও আমাদের প্রত্যেকের মধ্য়ে জেন্ডার নিয়ে কোনও সঠিক ও স্বচ্ছ ধারণা নেই। তবে অনেকেই নিজের চেষ্টায় এই বিষয়ে জানার চেষ্টা করেন। মানবী আমাদের মধ্য়েই একজন। একজন ট্রান্স ফিমেল। অর্থাৎ, যিনি পুরুষের শরীর নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মানসিক ভাবে তিনি ছিলেন নারী। পরে সার্জারির সাহায্যে তিনি নারীতে রূপান্তরিত হন। একজন রূপান্তরিত নারী। যিনি তাঁর বিপরীত লিঙ্গের প্রতিই আকৃষ্ট। একজন রূপান্তরিত নারীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন, ভাঙা-গড়াই ছবির মূল বিষয়বস্তু। বলে রাখি, এখানে মনু এমন একজন পুরুষ যাঁর জেন্ডার আইডেন্টিটি নিয়ে কোনও জ্ঞানই ছিল না। তাই পরিচালককে ধন্য়বাদ, খুব সতর্কভাবে এই চরিত্রগুলি লেখার জন্য়।
আয়ুষ্মান খুরানা কেন এই ছবি (chandigarh kare aashiqui) করলেন সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল আয়ুষ্মানকে। তিনি বলেন, “আমাদের জেন্ডার নিয়ে কথা বলা উচিত। এটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, অনেক মানুষ ছবিটি দেখেছেন, ছবিটির সঙ্গে সংযুক্ত থেকেছেন। চণ্ডীগড় করে আশিকি ভালবাসা, হৃদয় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। মানুষকে আনন্দও দিচ্ছে। সঙ্গে খুব গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বার্তাও দিচ্ছে। “
তবে কোনও কোনওক্ষেত্রে সমালোচিত হয়েছেন পরিচালক। যখন একজন রূপান্তরিত নারীর গল্পই তিনি বলতে চেয়েছেন, তাহলে কেন একজন নারীকে এই চরিত্রে বেছে নিলেন তিনি? একজন রূপান্তরিত নারীই তো এই চরিত্রে অভিনয় করতে পারতেন। এই সমালোচনার মুখে অভিষেক কপূর বলেছিলেন যে, একজন রূপান্তরিত শিল্পীর কথাই ভাবা হয়েছিল। কিন্তু শুধু চরিত্রের ক্ষেত্রেই কেন বিপ্লব আসে? একজন রূপান্তরকামী মানুষ কি সিনেমা লিখতে পারেন না?
যাই হোক, এই ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকেই আবার একটু হতাশ করেছে বলিউড। একজন রূপান্তরিত নারীকে বলিউডের মূলধারার ছবিতে প্রধান চরিত্রে দেখার জন্য় হয়তো আমাদের আরও কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে…
মূল ছবি – চণ্ডীগড় করে আশিকি
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!