ত্বকের যত্ন সব সময় প্রয়োজন। সারা বছর ধরে ত্বকের যত্ন না নিলে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তবে শীতকালে ত্বকের যত্ন একটু বেশি প্রয়োজন হয়। কারণ এই সময় বাতাসে আর্দ্রতা একদম থাকে না। তাই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। শুষ্কতার জন্যই ত্বক নির্জীব আর প্রাণহীন দেখায়। (winter care face packs for different skin types)
তাছাড়া এই সময় সকালের দিকে কুয়াশা থাকে বলে দূষণের পরিমাণও বেশি থাকে। এই দূষণের জন্যই ধুলিকণা ত্বকে আটকে যায়। ঠোঁটের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা দেখা দেয়। তাই শীতকালে বেশি করে যত্ন নিতে হয়। যদিও রূপ বিশেষজ্ঞরা বলেন যে শীতকালে নয়, শীত আসার আগে থেকেই ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তাহলে শীত এসে গেলে আর কোনও সমস্যা থাকে না।
শীতকালে ত্বকের যত্নে ফেসপ্যাকের জুড়ি নেই। কারণ এই সময় নানা রকম ফল পাওয়া যায়। আর সেগুলো দিয়েই ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী প্যাক তৈরি করে নেওয়া যায়। প্রাথমিক যত্নের সঙ্গে আমাদের ত্বকে প্যাকেরও প্রয়োজন আছে। তাই এবার দেখে নেব ত্বকের প্রকারভেদ অনুযায়ী কীরকম প্যাক আমরা শীতকালে ব্যবহার করতে পারি।

শুষ্ক ত্বকের জন্য
শসা ও গাজরের ফেসপ্যাক: এক টেবিল চামচ গাজরের রস আর এক টেবিল চামচ শসার রস মিশিয়ে নিন। এতে সামান্য টক দই যোগ করুন। শসা ও গাজরের রস যেন একটু থকথকে হয়, যাতে সেটা আপনি মুখে লাগাতে পারেন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর এই ফেসপ্যাক ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের জন্য এই ফেসপ্যাক খুব ভাল।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
বেসন ও নিমের ফেসপ্যাক: নীমের পাউডার এবং বেসন ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে তাতে টক দই দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিয়ে ওই পেস্ট মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুবার করলেই যথেষ্ট। যাঁদের ব্রণ বা ইনফেকশনের সমস্যা রয়েছে তাঁরা এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যাকনেপ্রোন ত্বকের জন্য
অ্যালোভেরা, হলুদ ও গ্রিন টির ফেসপ্যাক: অ্যালোভেরা ব্লেন্ড করে নিন বা জেল নিন। তার সঙ্গে হলুদ মেশান এবং এটি গ্রিন টিয়ে ডুবিয়ে দিন। এটা আপনি তুলোয় করে থুপে থুপে লাগান। গ্রিনটি এখানে মূল উপাদান। এটি মাসে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করতে পারেন।
স্বাভাবিক ত্বকের জন্য
কমলা লেবু ও মধুর ফেসপ্যাক: কমলা লেবুর খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। তার সঙ্গে এক চামচ ওট মিল মিশিয়ে নিন। মিশিয়ে নিন কয়েক ফোঁটা মধু ও এক চামচ টক দই। কমলা লেবু ত্বকের মৃত কোষ ঝরিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে তোলে। মধু প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার, যা ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে। এই মিশ্রণ ভাল করে মুখে মেখে নিন। ১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
সেনসিটিভ ত্বকের জন্য
হলুদ আর মধুর ফেসপ্যাক:হলুদ বেটে নিতে পারেন বা পাউডার সামান্য জলে গুলে নিতে পারেন। এর সঙ্গে দিন এক চা চামচ মধু। সাবধানে এই প্যাক লাগান। হলুদ একটি অ্যান্টিসেপটিক। তাই এটি খুব কাজে দেবে। এটি আপনি তিন চারদিন পরপর ব্যবহার করতে পারেন।
ইনস্ট্যান্ট গ্লোয়ের জন্য
পাকা কলা, মধু ও পাতি লেবুর ফেসপ্যাক: পাকা কলা হাত দিয়ে চটকে একেবারে কাদা-কাদা করে ফেলুন। তার মধ্যে বাকি উপকরণ মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। মিনিট দশ-পনেরো রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি ফ্রেশ বানিয়ে ব্যবহার করবেন। বানিয়ে স্টোর করবেন না। তা হলে উপকার পাবেন না।

বলিরেখা কমাতে
পাকা পেঁপে ও অলিভ অয়েলের ফেসপ্যাক: সামান্য পাকা পেঁপে থেঁতো করে নিয়ে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে ভাল করে মুখে মালিশ করে নিন। যখন মালিশ করবেন, খেয়াল রাখবেন যেন আঙুলের ডগা দিয়ে সার্কুলার মোশনে মালিশটা হয়। নিয়মিত করলেই বলিরেখা দূর হবে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!