যে কোনও বয়স বা যে কোনও পেশার মানুষের জন্য শরীরচর্চা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ থাকতে শরীরচর্চা প্রয়োজন। কিন্তু আপনার যদি নির্দিষ্ট কিছু রোগ থাকে, তাহলে শরীরচর্চা শুধু প্রয়োজন নয়, সেটা আপনার রুটিন হওয়া উচিত। যেমন ডায়াবেটিস (diabetic)। আপনার যদি ডায়াবেটিক হন, তাহলে ওষুধ তো বটেই তার সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। এই ধরনোর রোগীদের কীভাবে শরীরচর্চা (Workout) করলে উপকার পাওয়া যাবে, তা নিয়েই এই প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করার চেষ্টা করলাম।
১) ডায়াবেটিস থাকলে দৈনন্দিন অন্তত ৩০ মিনিট অর্থাৎ আধ ঘণ্টা শরীরচর্চার প্রয়োজন। কোন ফর্মে করবেন, তা নির্ভর করবে আপনার উপর। তবে যদি শরীরচর্চার অভ্যেস না থাকে, তাহলে যেটা সবচেয়ে ভাল লাগে সেই কাজটা দিয়ে শরীরচর্চা শুরু করুন।
২) অনেকেই নাচতে ভালবাসেন। দিনে আঘ ঘণ্টা নাচ প্র্যাকটিস করুন। না! ফর্মাল কোনও নাচ নয়। এমনকি আপনি কখনও নাচ না শিখলেও কোনও অসুবিধে নেই। পছন্দের গান চালিয়ে তার তালে হাত, পা নাড়ান। বডি মুভমেন্ট করুন। এতেও আপনার ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশাপাশি ভাল থাকবে মন। প্রতি সপ্তাহে পাঁচদিন এই অভ্যেস গড়ে তুলতে পারলে অন্য ফর্মে শরীরচর্চাও হবে, আবার শখ পূরণও সম্ভব। সঙ্গে উপরি পাওনা তরতাজা মন।
৩) বাগান করার শখ আছে আপনার? মন দিয়ে বাগান তৈরি করুন। গাছ লাগান। মাটি কুপিয়ে সার দিন। আপনার ডায়েবিটিস থাকলে বাগান করার মাধ্যমে দারুণ শরীরচর্চা করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাগান করলে একই সঙ্গে অ্যারোবিক অ্যাকটিভিটি এবং স্ট্রেন্থ ট্রেনিং সম্ভব।
৪) হাঁটা। এর কোনও বিকল্প নেই। আর হাঁটার মতো শরীরচর্চা অন্য কোনও ফর্মে এত সহজে হয় না বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ডায়াবেটিস থাকলে হাঁটাটা রুটিনে পরিণত করুন। আপনার ব্যস্ত সময়ের মধ্যে সকালে আলাদা করে যদি সময় নাও পান, কোনও ক্ষতি নেই। লাঞ্চের পরে বা বিকেলে, যখনই সময় পাবেন হাঁটা অভ্যেস করুন।
৫) ব্লাড সুগার লেভেল কন্ট্রোল করার জন্য স্ট্রেন্থ ট্রেনিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ওয়েট লিফ্টিং করতে পারেন। ডাম্বেল বা যে কোনও ভারী জিনিস নিয়ে বাড়িতেই এই অভ্যেস তৈরি করতে পারেন। এর জন্য আলাদা করে জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
৬) ডায়াবেটিস থাকলে যোগা অভ্যেস করতে পারেন। ব্লাড সুগার কন্ট্রোল, ওবেসিটি কন্ট্রোল, কোলেস্টরল ব্যালেন্সের মতো জরুরি প্রয়োজন মিটতে পারে যোগাতে। একই সঙ্গে হাড় শক্ত হবে, হাড়ের নমনীয়তা বাড়বে এবং ঘুম ভাল হবে।
তাহলে আর দেরি কেন? আজ থেকেই বাড়িতে এই সহজ পদ্ধতিগুলো শুরু করে দিন। প্রয়োজন মনে হলে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিতে পারেন।