লোকে বলে ওজন কমানো মোটেই সহজ কাজ নয়। চর্বি ঝরাতে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাতে হয়। সঙ্গে আবার ডায়েটিংও মাস্ট! তবেই নাকি ভুঁড়ি কমে, না হলে কষ্ট করেও কেষ্ট মেলে না। কিন্তু আজকের ডেটে নিয়ম করে জিমে যাওয়ার সময় কই। একে ঘর-সংসার সামলাতে গিয়ে নাকানিচোবানি খেতে হয়। তার উপর অফিসের ঝক্কিও তো কম নয়! সব দিক সামলে শরীরচর্চার জন্য সময় বের করাটা যে ধনুকভাঙা পণ। তাহলে কি বাড়তে থাকা ওজনকে কমিয়ে ফেলা আদৌ সম্ভব নয়? কে বললে সম্ভব নয়! আলবাত সম্ভব!
হাতের কাছে ওজন কমানোর অব্যর্থ দাওয়াই রয়েছে তো
ওজন কমানোর ওষুধ বাড়িতেই রয়েছে! কোন ওষুধের কথা বলছেন মশাই? ছোট থেকেই নিশ্চয়ই আমলকি খেয়ে আসছেন। জানেন কি, নিয়মিত সেই আমলকির রস খেলে ওজন কমে তরতরিয়ে। সঙ্গে শরীরও চাঙ্গা থাকে। বিশেষ করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এমন শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না। এমনকী, সংক্রামক রোগও দূরে থাকতে বাধ্য হয়। কিন্তু প্রশ্ন হল, আমলকির রসে এমন কী রয়েছে, যা এত কাজে আসে? এতে রয়েছে (Amla Juice) ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং polyphenol। রয়েছে নানা মিনারেলও, যা হজম ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে, সঙ্গে দেহের মেদ ঝরানোর প্রক্রিয়াও ত্বরান্বিত হয়, যে কারণে দেহের ইতি-উতি জমে থাকা মেদ ঝরে যেতে সময় লাগে না। তাই তো ওজন কমাতে চোখ বন্ধ করে আমলকির উপর ভরসা রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
শরীরে প্রদাহের মাত্রা কমিয়েও ওজন কমায়
শরীরে প্রদাহের মাত্রা বাড়লেও ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে। আর ঠিক সেখানেই নিজের খেল দেখায় আমলকি। এই ফলটিতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র প্রদাহের মাত্রা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা আর থাকে না। শুধু তাই নয়, আমলকিতে মজুত hypolipidaemic properties, ফ্যাটি লিভার এবং কোলেস্টেরলের মতো রোগের চিকিৎসাও করে, যে কারণেও ওজন (Belly Fat) নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগ পায় না।
আমলকি শরীরকে বিষমুক্ত করে
নিয়মিত আমলকি খাওয়া শুরু করলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে রক্তে মিশে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলি ধ্বংস হয়ে যায়। সেই সঙ্গে মেটাবলিজম রেটেরও উন্নতি ঘটে। ফলে শরীর যেমন রোগমুক্ত থাকে, তেমনই ওজন কমতেও সময় লাগে না। কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার প্রকোপও কমে যায়। তাই বুঝতেই পারছেন, আমলকি একাধিক ভাবে শরীরের দেখভালে কাজে আসে। তাই এই ফলটি রোজ খেতে ভুলবেন না যেন!
ওজন কমাতে আমলকি কীভাবে খেতে হবে?
এক গ্লাস গরম জলে চামচ চারেক আমলকির রস নয়তো পাউডার মিশিয়ে নিয়মিত খালি পেটে খাওয়া শুরু করুন। টানা কয়েক মাস খেলেই দেখবেন উপকার মিলতে শুরু করেছে। আর যদি আমলকির রস খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত মিনিটকুড়ি হাঁটাহাঁটি বা জগিং করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! কারণ, সেক্ষেত্রে আরও দ্রুত উপকার পাবেন।
বেশি খেলে কিন্তু বিপদ!
আমলকির রস উপকারী ঠিকই। কিন্তু তাই বলে বেশি মাত্রায় খাওয়া চলবে না। তাতে করে পেট খারাপ হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। তাহলে দিনে ক’গ্লাস খাওয়া যেতে পারে? সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস করে আমলকির রস খান, তাতেই দেখবেন উপকার মিলবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…