অঙ্কুশ (Ankush) আর ঐন্দ্রিলা (Oindrila Sen), ঐন্দ্রিলা আর অঙ্কুশ। এক সময় বাংলা এন্টারটেনমেন্ট জগতে কান পাতলে এক সময় এই দুটো নাম শোনা যেত। অঙ্কুশ তখন ধীরে ধীরে বাংলা ছবিতে প্রবেশ করছেন আর ঐন্দ্রিলা ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকা (actor)। এই তাঁদের একসঙ্গে ডিনার করতে দেখা গেল, এই তাঁদের একসঙ্গে বেড়াতে যেতে দেখা গেল। এইভাবে কান পাততে পাততে সবার কান একদিন পচে গেল! কারণ তাঁরা দুজনেই মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকতেন।
View this post on Instagram
এইভাবে হা-ডু-ডু খেলার অনেকদিন পর ঐন্দ্রিলা একদিন নিমের পাঁচন পানা মুখ করে মিডিয়াকে বললেন, "হ্যাঁ, ওইতো একসঙ্গে জিম করতে যাই। তখন একটু কতাবাত্তা হয় এই আর কী!" বোঝো কাণ্ড। এদিকে বাড়ির লোকেরা বে করে নাও, বে করে নাও বলে সব্ব জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে। এদিকে তাঁরা বলছেন এমা না! আমরা তো বন্ধু। ক্যাডাভারাস ব্যাপার রে বাপু!
শেষে যখন অঙ্কুশের এক আধটা সিনেমা বাজারে চলল, আর ঐন্দ্রিলাও সিরিয়াল টিরিয়াল করে আরও ধন্য হলেন, তখন দুজনে ঢেঁকি গেলার মতো বললেন, "হ্যাঁ, মানে না, মানে হ্যাঁ! মনে হচ্ছে একটু একটু ভালবাসি!" এখন কথা হচ্ছে গিয়ে দেব যতই "আমি গভীর জলে ফিশ" বলে কোমর দোলান না কেন, এই অঙ্কুশ আর ঐন্দ্রিলা দুজনে হচ্ছেন আরও গভীর জলের মাছ।প্রেমিক হিসেবে অঙ্কুশের খ্যাতি গোটা ইন্ডাস্ট্রি জানে। তবে ছেলের ব্যবহার ভাল, মিষ্টি কথায় চিঁড়ে ভেজাতে তিনি ওস্তাদ। তাই সব খবর অতটা প্রকাশ্যে আসে না। আর ঐন্দ্রিলাও সোনামুখ করে অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার "খাঁটি" বন্ধুত্ব বজায় রেখে চলেছেন।
View this post on Instagram
কিছুদিন আগে খবর রটেছিল যশ দাশগুপ্তের ছবির সেটে ঘন ঘন হানা দিচ্ছেন অঙ্কুশ। কেন? না, সেখানে আছেন নবাগতা নায়িকা সঞ্জনা। নিজের সাপোর্টে কথা বলার জন্য অঙ্কুশ মুরুব্বি ঠাওরালেন যশকে। তা আমাদের যশবাবু তো বছরে তিনটি কথা বলেন। হ্যাঁ, না আর আচ্ছা। এবারেও সেই ধারা বজায় রেখে তিনি বললেন, "আমি আলাপ করিয়ে দিয়েছিলাম দু'জনের, পরে কী হয়েছে জানি না!"
মাগো মা! আর কত দেখব। অঙ্কুশ বললেন আমাদের বন্ধুদের গ্রুপ কিনা। তাই সবাই সবার সঙ্গে হেব্বি ভাল রিলেশান! ঐন্দ্রিলা মাঝখানে কাজটাজ ছেড়ে বাড়িতে বসে রইলেন। তারপর আবার 'ফাগুন বউ' হলেন। সাথী সেই কোলবালিশ... ইয়ে মানে বিক্রম। অঙ্কুশ চোখে জল আর মুখে হাসি নিয়ে বললেন, "তাতে কি! আমরা বন্ধু তো!" বন্ধুত্বের জ্বালায় তো জর্জরিত হয়ে গেলুম।
এখন বম্বে থেকে কীসব জানি গ্রুমিং টুমিং করে এয়েচেন নায়ক। তফাৎ কি হয়েছে জানিনা আবিশ্যি। তবে হ্যাঁ, তিনি বলেছেন, "তোমরা যা খুশি লেখো আর ছেপে দাও, আমার আর ঐন্দ্রিলার হচ্ছে মজবুত জোড়, ওটা এসব হাবিজাবি বলে ভাঙা যাবে না!"
হরি, মধুসূদন রক্ষা করো!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!