আয় তবে সহচরী হাতে হাতে…উঁহু আরাধ্যাকে (Aradhya Bachchan) কি অ্যাশের (Aishwarya Rai Bachchan) সহচরী বলা যায়? তা যেতেই পারে। সব সময়ই তো মা যেখানে, মেয়েও সেখানে। এখন তো মেয়েরও (Aradhya Bachchan) ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট আছে! এই নিয়ে অনেকে তো মুখ ফস্কে প্রশ্নও করে ফেলেছিল যে, মেয়ে (Aradhya Bachchan) ইশকুলে যায় না তোমাদের? জুনিয়র বচ্চন তাতে আবার রেগেমেগে বলেছিলেন, না যায় না, তাতে তোমাদের কী গো? আমাদের আর কী। আমরা শুধু দেখব। এই যেমন এখন দেখছি, কেমন সর্পকন্যা সেজে রাই সুন্দরী (Aishwarya Rai Bachchan) কান চলচিত্র উৎসবে (Cannes Film Festival) এলেন।
কান উৎসব (Cannes Film Festival) হবে আর ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan) আসবেন না তা কি হতে পারে? আমার তো মনে হয়, উনি এত বার বাপের বাড়িও যাননি, যত বার এই কানে এসেছেন। সে যাকগে! বড় লোকেদের বড়-বড় ব্যাপার। এ কি আর যেমন-তেমন মেয়ে গো! একে তো প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী, তায় সিনেমার নায়িকা, আর তারও উপরে বড় বচ্চনসাহেবের পুত্রবধূ। একদম স্পেশ্যাল! আর তাই তো সকলকে তাক লাগিয়ে একখানা জবরদস্ত সোনালি গাউন তিনি পরে ফেললেন। এই গাউন তৈরি করেছেন…এই দাঁড়ান দাঁড়ান, একটু গুগল ট্রান্সলেট খুলে দেখি। যা একখানা নাম…দর্জি, এমা ছি ছি, যাঁরা নায়িকাদের বিদঘুটে পোশাক বানান, তাঁদের দর্জি বলে না। দর্জি তো আমাদের পাড়ার লিয়াকত মিয়াঁ, যিনি আমার সালওয়ার কামিজ আর ব্লাউজ তৈরি করেন। যাঁরা এই সব গাউন-টাউন তৈরি করেন, তাঁদের বলে ডিজাইনার, বুঝলেন? তা এই ডিজাইনারের নাম হল জাঁ লুইস সাবাজি। তাঁর কুতুর থেকেই এই পোশাক এসেছে ঐশ্বর্যর জন্য।
ওই দ্যাখো, আবার হাঁ করে তাকিয়ে আছে? কুতুর মানে জানেন না তো? জানতাম, ঠিক জানতাম, আমায় বিপদে ফেলবেন। কুতুর মানে হল গিয়ে এস্পেশ্যাল উৎসবে যখন আপনার বিকট-বিকট আবদার অনুযায়ী কেউ পোশাক তৈরি করে দেয়, সেটা। ক্লিয়ার হল না? নিজে পড়াশোনা করে নিন না বাপু একটু। আমি কাজের কথায় আসি। মেয়েকে নিয়ে যখন ঐশ্বর্য কানে পৌঁছলেন, তখন তাঁদের গ্র্যান্ড ওয়েলকাম দেওয়া হল। আরাধ্যাও হাসি-হাসি মুখ করে এক তোড়া গোলাপ নিয়ে ছবি দিয়ে দিল। তা ভাল। যা-ই বলুন, গোলাপের তোড়াখানা কিন্তু জব্বর ছিল। অমন গোলাপ আমি জম্মে দেখিনি। ওগুলোও স্পেশাল অর্ডার দিয়ে ফোটানো হয়েছে কিনা কে জানে!
এতদিন ধরে কানে যাচ্ছেন তো, আর মেঘে-মেঘে বয়সও কম হয়নি, তাই দিদিমণি মেকআপ সাদামাটাই করেছেন। কনটুর করা চিকবোন, বোল্ড মাস্কারা আর নুড লিপসেই সীমাবদ্ধ ছিল মেকআপ। চুল স্ট্রেট করে খোলাই রেখেছিলেন। আর বুশরন কালেকশন থেকে কানে পরেছিলেন দুটো ছোট্ট স্টাড আর হাতে দুটো আংটি। ব্যস, এটুকুই। আপনি ভাবছেন এটুকুএ-টুকু করে তো অনেকটাই বলে ফেললাম। না মানে, এটাই ওঁদের এইটুকু। এর চেয়ে বেশি হলে সেই মেট গালার দিনে প্রিয়াঙ্কার যে ম্যাড হ্যাটারের মতো ঝাঁকড়া চুল নিয়ে ঘুরছিলেন সেরকম কিছু একটা হত। বাবা গো! ভগবান রক্ষে করেছেন। যাই হোক, গাউনের পিছনে একটা লম্বা ন্যাজ ছিল। সেটা দেখেই সবাই জলপরি, জলপরি আর মৎস্যকন্যা বলে খুব লাফাচ্ছে!
আরাধ্যা মায়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একটা হলুদপানা অ্যাসিমেট্রিকাল ড্রেস পরেছিল আর তার উপরে ছিল মস্ত একটা গোলাপ। সব মিলিয়ে ভালই, কি বলেন?
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!