ADVERTISEMENT
home / ওয়েলনেস
টীকাকরণের আগে কোভিডশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন সম্পর্কে জেনে নিন বিশেষ কিছু তথ্য in bengali

টীকাকরণের আগে কোভিডশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন সম্পর্কে জেনে নিন বিশেষ কিছু তথ্য

এই মুহূর্তে পরিস্থিতি সত্যিই খুব একটা ভাল নয়, বিশ্বাস করুন। এক দিকে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আমাদের উথাল-পাতাল অবস্থা, তার উপরে প্রতিদিন এই মারণরোগে আক্রান্তের গ্রাফটা উপর দিকেই উঠছে। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি আমরা সবাই বাড়িতে দোর দিয়ে থাকি। কিন্তু আপনিও জানেন আর আমিও জানি যে বাড়িতে থাকা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। আর ঠিক সেই কারনেই ভ্যাকসিন (all you need to know about covishield and covaxin) নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরী।

করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার একটিই উপায় – সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন নেওয়া

৪৫ বছরের ওপরে যাদের বয়স, তাঁদের ভ্যাকসিনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। এমনকি সরকারের তরফে এও ঘোষণা করা হয়েছে, ১৮ বছর থেকে ৪৪ বছর বয়সের সমস্ত নাগরিকের টীকাকরণের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। হ্যাঁ, এখনও দেশের সব নাগরিক ভ্যাকসিন পান নি, তবে আশা করা যায়, টীকাকরণের কাজ শীঘ্রই শুরু হয়ে যাবে। তবে টীকাকরণের আগে জেনে নিন, কোভিডশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের সম্পর্কে। কোন ভ্যাকসিনটি আপনার জন্য যথার্থ, এই ভ্যাকসিনের তফাৎই বা কী, কোভিডশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (all you need to know about covishield and covaxin) রয়েছে কি না, থাকলে সেগুলি কী আর কীভাবেই বা সামলে উঠবেন, মোটামুটি সব রকম তথ্য দেওয়ারই চেষ্টা করছি এই প্রতিবেদনে।

ADVERTISEMENT

কোভিডশিল্ড

কোভিডশিল্ড ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে Oxford-AstraZeneca এবং পুণের Serum Institute of India-র তরফে ভারতে এর উৎপাদন হচ্ছে। অ্যাডেনোভাইরাস নামক এক সাধারণ জ্বরের ভাইরাসের থেকে এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়েচে। অ্যাডেনো ভাইরাস শিম্পাঞ্জিদের শরীরে পাওয়া যায়। এই অ্যাডেনোভাইরাসকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পরিবর্তন করে করোনাভাইরাসের রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে যাতে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

কীভাবে কাজ করে এই ভ্যাকসিন

যে মুহূর্তে আমাদের শরীরে এই প্রতিষেধক (all you need to know about covishield and covaxin) প্রবেশ করে, আমাদের নার্ভ সচল হয়ে ওঠে এবং অ্যান্টিবডি তইরির কাজে লেগে পড়ে। ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যা করোনা ভাইরাস সহ অন্যান্য জীবাণু সংক্রমণ থেকেও আমাদের রক্ষা করে। যদি কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তও হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রেও কোভিডশিল্ড তাঁর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম, ফলে এই মারণ রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব হয়।

এই প্রতিষেধকটি কতটা কার্যকরী

আন্তর্জাতিক ক্লিনিকাল ট্রায়াল অনুযায়ী, কোভিডশিল্ড ভ্যাকসিন দুটি ডোজে বিভক্ত। দুটি ডোজ নেওয়ার পর এই প্রতিষেধকের কোটা সম্পূর্ণ হয়। অনেক বিশেষজ্ঞই দাবী করেছেন যে কোভিডশিল্ডের দুটি ডোজ নেওয়ার পর ৯০% মানুষের মধ্যেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশ্য এই বিষয়ে আরও অনেক গবেষণা বাকি বলে মনে করছেন চিকিৎসক ও বিজ্ঞানী মহলের আরও অনেকে।

এই মুহূর্তে সরকারী নির্দেশিকা অনুজায়ী যারা কোভিডশিল্ড ভ্যাকসিন নিচ্ছেন (all you need to know about covishield and covaxin), তাঁদের দুটি ডোজের মধ্যে ছয় থেকে আট সপ্তাহের গ্যাপ রাখা উচিত। অর্থাৎ প্রথম ডোজ নেওয়ার ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।

ADVERTISEMENT

কোভ্যাক্সিন

কোভ্যাক্সিন ভারতেই তৈরি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সেল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) এবং হায়দেরাবাদের বায়ো-টেকনোলজি কম্পানি ভারত বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে আমাদের দেশেই তৈরি হচ্ছে এই প্রতিষেধকটি। এই প্রতিষেধকটি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে সক্ষম এবং শরীরের কোনও রকম ক্ষতিও করে না বলে জানানো হয়েছে।

কীভাবে কাজ করে এই ভ্যাকসিন

কোভিডশিল্ডের মত কিন্তু কোভ্যাক্সিন কাজ করে না। এর কার্য পদ্ধতি একটু অন্য রকম। কোভ্যাক্সিন (all you need to know about covishield and covaxin) শরীরে প্রবেশ করার পর আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলি মৃত করোনাভাইরাস চিহ্নিত করে এবং নিজেদের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির কাজ শুরু হয়ে যায় যা আমাদের কোভিড ১৯ থেকে সুরক্ষিত থাকতে সাহায্য করে। 

এই প্রতিষেধকটি কতটা কার্যকরী

তিনটি ট্রায়ালের পর সরকারী তরফে জানানো হয়েছে যে কোভ্যাক্সিন ৮১% কার্যকরী।

আপনি কোনটি নেবেন

নানা রিসার্চ এবং ট্রায়ালের পর যা জানা গিয়েছে, কোভিডশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন – দুটিই করোনা ভাইরাস থেকে আমাদের সুরক্ষিত রাখতে এবং অ্যান্টিবডি তৈরি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে প্রতিষেধক না নিলে, করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার আর কোনও উপায় নেই। সুতরাং, আপনার নিকটবর্তী হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যে প্রতিষেধকটি (all you need to know about covishield and covaxin) রয়েছে, সেটিই নিন। তবুও, আমাদের মতে, যদি আপনার অন্য কোনওরকম শারীরিক সমস্যা যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার, মধুমেহ বা অ্যালার্জির সমস্যা থাকে, বা আপনি নিয়মিত কোনও শারীরিক সমস্যার ওষুধ খান, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে আপনার পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ADVERTISEMENT
https://bangla.popxo.com/article/tips-to-save-from-corona-virus-for-people-work-in-emergency-services-in-bengali

POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!      

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!

09 May 2021

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT