ADVERTISEMENT
home / বলিউড ও বিনোদন
বউ বলছে, এতদিনে বুঝতে পারছি বিয়েটা ঠিক হয়েছে: অভিষেক

বউ বলছে, এতদিনে বুঝতে পারছি বিয়েটা ঠিক হয়েছে: অভিষেক

খড়গপুরে জন্ম। বাবা-মা এখনও সেখানেই থাকেন। তবে ছেলে পড়াশোনা করেছেন দিল্লিতে। ছোট থেকেই সিনেমা দেখতে ভালবাসত ছেলেটি। কর্মক্ষেত্রও সিনেমা। দিল্লিতে থিয়েটারে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ছিল। কিন্তু মুম্বইতে কেরিয়ার শুরু হয় কাস্টিং ডিরেকশন দিয়ে। ‘রং দে বাসন্তী’তে অভিনয়ের প্রথম ব্রেক। এরপর ‘বম্বে টকিজ’, ‘নো ওয়ান কিলড জেসিকা’, ‘স্ত্রী’, ‘ফিলাউরি’-তে একের পর এক অভিনয়। ‘মির্জাপুর’ বা ‘পাতাললোক’ (Patallok)-এর মতো ওয়েব সিরিজ তাঁকে আলাদা জনপ্রিয়তায় পৌঁছে দিয়েছে। তিনি অভিষেক (Abhishek) বন্দ্যোপাধ্যায়। POPxo বাংলার মুখোমুখি।

লকডাউন কাটছে কীভাবে?

প্রথম দু’মাস সমস্যা হয়েছিল। কী হচ্ছে বুঝতে সময় লেগেছিল। রেস্টলেস লাগছিল। তারপর ধীরে ধীরে অ্যাডজাস্ট করে ফেললাম। খাবার, কাজ সব গুছিয়ে নিলাম একে একে। আমি আসলে সিঙ্গল চাইল্ড। প্যাম্পার্ড। ঘরের কাজ কোনওদিন সেভাবে করিনি। অলস ছিলাম খুব। আর এই লকডাউনে ঝাড়ু দেওয়া, বাসন ধোওয়া, বাল্ব ঠিক করা, গিজার ঠিক করা, বাথরুম পরিষ্কার, খাবার তৈরি করা- সব করলাম। অফিস যাওয়াটাই যে আসল কাজ নয়, লকডাউন শেখাল আমাকে। আগে আমাকে বাড়ির লোক বলত, তুই কী এত ব্যস্ত থাকিস! বাড়িতেও অনেক কাজ থাকে। বাড়িতেও ব্যস্ততা থাকে। সেটা এখন বুঝতে পারছি।

কী কী রান্না করলেন লকডাউনে?

আলু পোস্ততে মাস্টার ডিগ্রি করে ফেলেছি (হাসি)। বাটার চিকেন বানিয়েছি। কষা মাংস, সর্ষে মাছ, মাছের কালিয়া সব করে ফেলেছি লকডাউনে।

ADVERTISEMENT

টিনা এবং অভিষেক। ছবি ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।

আপনার রেসিপি টেস্ট করলেন কে?

বউ (wife)। বউ তো এসব খেয়ে খুব খুশি। বলছে, এতদিনে বুঝতে পারছি বিয়েটা ঠিক হয়েছে (হাসি)…।

সিনেমা, বা তার সঙ্গে যুক্ত থাকার ইচ্ছেটা কবে থেকে হল?

আমার বাবা উত্তম-সুচিত্রার ফ্যান। ছোটবেলায় প্রচুর সিনেমা (cinema) দেখিয়েছেন। সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা দেখেছি সে সময়। পরে বড় হয়ে সে সব নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গেও আলোচনা করতাম। কিন্তু বাড়ির কালচারটার জন্য অ্যাসথেটিক সেন্সটা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। অমিতাভ বচ্চন আমার সবথেকে বড় ইন্সপিরেশন। অমিতাভের ‘হাম’ দেখার পর আমার মাথাটা একেবারে খারাপ হয়ে গেল। সিনেমার পোকা হয়ে গেলাম। প্রচুর সিনেমা দেখলাম। কলেজে গিয়ে থিয়েটার শিখলাম। বলিউডে যে অভিনয়টা ফলো করা হয়, সেটা শিখলাম। বেসিক কোর অব অ্যাক্টিংটা শিখলাম। এভাবেই শুরু হল। চলছে এখনও।

কাস্টিং ডিরেকশন এবং অভিনয় সব মিলিয়ে আপনার জার্নি কতটা কঠিন?

আমার জার্নি কঠিন ছিল। কিন্তু নিজের উপর কনফিডেন্সটা প্রথম থেকেই ছিল। সেটা এখনও আছে। আমি হার্ড ওয়ার্ক করতে পারি। আর যে কোনও সময় শিখতে রাজি। ১১ বছর হয়ে গেল মুম্বইতে। প্রত্যেক বছর আগের বছরের থেকে কিছু না কিছু নতুন শিখেছি। কিছু বেশি পেয়েছি। আসলে আমার মনে হয়, সকলের জার্নিতেই কঠিন পিরিয়ড অন্য একটা বিষয়।

ADVERTISEMENT

পাতাললোক-এ অভিষেক। ছবি ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।

কী সেটা?

হাউ টু কিপ মোটিভেটিং ইওরসেল্ফ। যখন কারও অ্যাক্টিংয়ে ধার আসেনি, সুযোগ পাচ্ছে না, সে সব অন্যদিকে চলে গেলে হবে না। লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে। মনখারাপ করা চলবে না। কঠিন সময় পেরিয়ে যাবেই। আমারই এক সময় কমপ্লিট ইন্টারেস্ট হারিয়ে গিয়েছিল। সেটা পেরিয়ে আসাটা কঠিন ছিল। নিজেকে বুঝিয়েছিলাম, আমি পারি। বার বার করে নিজেকে বোঝাতে হবে। আসলে ইন্ডাস্ট্রি আমাকে কীভাবে দেখছে, আমার সঙ্গে কেমন ব্যবহার করছে. সেটা প্রাথমিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি নিজেকে কীভাবে দেখছি, কীভাবে ট্রিট করছি, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

অভিনয় করে প্রশংসা তো প্রচুর পেয়েছেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এমন কোনও রিঅ্যাকশন, যেটা আপনার অদ্ভুত লেগেছিল, শেয়ার করবেন?

‘পাতাললোক’ দেখার পর কেউ কেউ আমাকে বলেছে, বাবা! তুমি কমেডি করতে পার, আবার এই ধরনের চরিত্রও পার! এটা অদ্ভুত। কারণ আমার মনে হয়, অভিনেতার কাজই হল আলাদা আলাদা ইমোশন ক্যামেরার সামনে তুলে ধরা। তবে ‘পাতাললোক’-এর পর আমি সত্যিই সারপ্রাইজড। আমার চোখের এক্সপ্রেশন লোকে বুঝেছে, রিলেট করেছে দেখে দারুণ লেগেছে। কারণ ওইটা একেবারে নিজের জন্য করেছিলাম। কারও বোঝার জন্য নয়। কাউকে দেখানোর জন্য ছিল না। ওটা আমার জার্নি ছিল। ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়ররা যখন ফোন করে ‘পাতাললোক’ নিয়ে প্রশংসা করেছে, সত্যি ভাল লেগেছে।

ADVERTISEMENT

নেপোটিজম বা ফেভারিটিজম নিয়ে এত আলোচনা, আপনি বিষয়টা কীভাবে দেখেন?

আই অ্যাম অলসো লুকিং ফর দ্য আনসার। এ তো সব ইন্ডাস্ট্রিতেই আছে। বিজনেসে তো থাকবেই। তারা তো নিজের ফ্যামিলির লোককেই বিজনেসে চান্স দেবে। সবাই তো আর ‘টাটা’ নয়। অথবা ‘ম্যাকডোনাল্ডস’-এ একজন রান্না করতেন। তাঁকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করে দেওয়া হয়েছিল। এটা তো সব জায়গায় হবে না। বলিউডেও তাই হয়। নোবডি ক্যান স্টপ দ্যাট। একটা সিম্পল জিনিস বলুন, পৈত্রিক সম্পত্তি তো ছেলে-মেয়েরাই পায়।

পোষ্যের সঙ্গে অবসরে অভিষেক। ছবি ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।

আর আউটসাইডাররা সারভাইভ করবে কীভাবে?

প্রথম ব্রেকটা পেতে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। তারপর তো দর্শকের হাতে। স্টার কিডদের ভাগ্যও দর্শকের হাতে। প্রথম ব্রেকটা তারা সহজে পেতে পারে হয়তো। বাকিটা হবে না। স্টার কিডরাও সাফার করে। তাদের উপর আলাদা চাপ থেকে। মিডিয়ার চাপ থাকে। ঐতিহ্য ধরে রাখার চাপ কিন্তু সাংঘাতিক। বরং আমার মনে হয়, হাউ নট টু কিপ ডুয়িং অ্যাভারেজ জব, এটাতে সবার মন দেওয়া উচিত। আর শুধু পয়সার জন্য নয়, সিনেমার জন্যও সিনেমা তৈরি করা উচিত।

ADVERTISEMENT

ইন্ডাস্ট্রিতে আপনার বন্ধু কে?

কাস্টিং ডিরেকশনের কাজ করতে এসে যে আমার বস ছিল, সে খুব ভাল বন্ধু। অমর কৌশিক, রাজকুমার গুপ্তা, রাজকুমার রাও, অপারশক্তি, অভিমন্যু দেশানী- এরা সবাই আমার খুব ভাল বন্ধু।

বিপদে পড়লে এদের মধ্যে প্রথম ফোনটা কাকে করবেন?

প্রথম ফোনটা বৌকেই করব (হাসি…)।

https://bangla.popxo.com/article/an-interview-of-actress-trina-saha-in-bengali-902328

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!

10 Aug 2020

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT