ADVERTISEMENT
home / বিনোদন
সব ইন্ডাস্ট্রিতে ফেভারিটিজম থাকবেই, সেটা নিয়েই এগিয়ে চলতে হবে, বললেন অনিন্দিতা

সব ইন্ডাস্ট্রিতে ফেভারিটিজম থাকবেই, সেটা নিয়েই এগিয়ে চলতে হবে, বললেন অনিন্দিতা

জীবনে প্ল্যান করে কিছু করেন না তিনি। ক্যামেরার পিছনে কেরিয়ার শুরু। সেখান থেকে আজ তাঁর পরিচিতি ক্যামেরার সামনে। অভিনেত্রী হিসেবে টেলিভিশনে ধীরে ধীরে নিজের জায়গা তৈরি করে নিচ্ছেন অনিন্দিতা (Anindita) রায়চৌধুরি। কেমন ছিল তাঁর জার্নি? POPxo বাংলার সঙ্গে আড্ডায় শেয়ার করলেন।

শুরু কীভাবে?

২০১১ নাগাদ দেবপ্রতিম দাশগুপ্তকে স্ক্রিপ্ট লেখার কাজে অ্যাসিস্ট করতাম। তারপর বিভিন্ন সূত্র ধরে রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে আলাপ হয়। ধীরে ধীরে রাজদার হাউজে কাজ করতে শুরু করি। ‘জোশ’ নামে একটা সিরিয়াল হত রাজদার হাউজের। পরিচালনা করতেন অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়। সেখানে আমি কস্টিউম অ্যাসিস্ট করতাম। তারপর ‘কানামাছি’, ‘বোঝে না সে বোঝে না’, ‘যোদ্ধা’, ‘বরবাদ’, ‘কাঠমুন্ডু’র মতো ছবিতে কাজ করেছি। আর ইন হাউজ কাজ করতাম বলে টেলিভিশনের যে সব প্রোজেক্ট হত, সেগুলোতে কাস্টিং, লুক, প্রোডাকশনের সব কাজই করতাম।

সেখান থেকে অভিনয়ের সূত্রপাত হল কবে?

আমার এখনও মনে আছে, ২০১৫-র শেষের দিকে রাজদার বাড়িতেই কোনও একটা ছবির প্রি প্রোডাকশনের কাজ চলছিল। সাহানাদি ফোন করেছিল রাজদাকে। টেলিভিশনে একটা ধারাবাহিকে ক্যামিওর জন্য আমাকে চেয়েছিল। আমি প্রথমে ‘না’ বলেছিলাম। কিন্তু রাজদা বলেছিল, ‘যা, কর। নতুন একটা অভিজ্ঞতা হবে।’ তখন ‘পটল কুমার গানওয়ালা’তে একটা চরিত্র করেছিলাম। চরিত্রের নাম ছিল ‘সুভাগা’। তার আগে ‘বরবাদ’ ছবিতে সুদীপদার বউয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। কিন্তু ‘সুভাগা’কে দর্শক পছন্দ করলেন। তখন মনে হতে শুরু করল, অভিনয়টাই বেশি ভাল লাগছে। ‘ভুতু’, ‘তবু মনে রেখ’ করলাম। এখন দু’টো কাজ করছি। ‘কাদম্বিনী’তে ‘সুরবালা’র চরিত্র। আর ‘বেদের মেয়ে জোৎস্না’তে ‘জোৎস্না’র চরিত্র।

 

ADVERTISEMENT

রাজ চক্রবর্তী তাহলে আপনার মেন্টর?

আমার বস। আমি বস বলি (হাসি)।

প্রফেশনাল তো বটেই, ব্যক্তিগত জীবনেও নিশ্চয়ই যে কোনও সমস্যায় রাজের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন?

অবশ্যই। আমাকে বলতেও হয় না। আসলে আমার মধ্যে সব সময়ই একটা পজিটিভ ভাইব কাজ করে। আমি কাজ করতে গিয়ে সবাইকে খুব সুন্দর করে ‘গুড মর্নিং’ বলি। সেটা না বললেই রাজদা বুঝে যেত, কিছু একটা হয়েছে।

কলকাতায় আপনি একা থাকেন?

হ্যাঁ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা নিয়ে মাস্টার্স করেছি। তখন থেকেই কলকাতায় একাই থাকি। তার আগের পড়াশোনা চুঁচড়ায়। ওখানে আমার বাবা, মা থাকেন।

 

ADVERTISEMENT

পড়াশোনার সময় ভেবেছিলেন, পেশা হিসেবে ক্যামেরার সামনের বা পিছনের কাজ বেছে নেবেন?

একেবারেই না। আমি কখনও প্ল্যান করে কিছু করিনি। মাস্টার্সের পর যাদবপুরেই লাইব্রেরি সাইন্স পড়েছি। তারপর চাকরিও করেছি। লেখালিখি করতাম। সেই সূত্রেই তাজুদা মানে দেবপ্রতিম দাশগুপ্তের সঙ্গে আলাপ। তাজুদাই আমাকে প্রফেশনালি কাজটা করতে বলে। প্রসেসে থাকতে থাকতে কাজটা ভালবেসে ফেলেছি।

আপনার পরিবারে কেউ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত?

সেই অর্থে নয়। আমার বাবা এক সময় বাদল সরকারের গ্রুপে থিয়েটার করতেন। কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক দায়বদ্ধতা থাকে। বাবাকে চাকরি করতে হয়েছে। থিয়েটার কন্টিনিউ করতে পারেননি।

আপনি যখন এই পেশা বেছে নিলেন বাড়ির সাপোর্ট ছিল?

প্রথমদিকে বাবার একটু আপত্তি ছিল। কিন্তু বাবা, মা কোনওদিন কোনও কিছুতেই আমাকে ফোর্স করেনি। আমি কোন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করব বা কোথায় পড়ব থেকে শুরু করে কী কাজ করব, সব সিদ্ধান্তেই পাশে থেকেছেন। আমার উপর ভরসা করেছেন। সে কারণেই ওই ভরসাটার মর্যাদা দেওয়ার চেষ্টা করি। আর বাবা, মা আমার সবথেকে বড় ক্রিটিক। এই কিছুদিন আগে ‘রানি রাসমণি’তে আমি একটা ক্যামিও চরিত্র করেছি। মা দেখে ফোন করে বলেছিল, আরও একটু বেটার করতে পারতাম।

 

ADVERTISEMENT

এত মানুষের সঙ্গে পরিচয়, নিজের জন্য কাজ চেয়েছেন কখনও?

হ্য়াঁ, কাজ চাইতে আমার কোনও লজ্জা নেই। আমার কোনও একটা প্রজেক্ট শেষ হলেই যাঁদের চিনি বা যাঁদের চিনি না, অথচ কাজ করছেন, সকলকেই জানাই, যে আমি কাজ করতে চাই। কোনও চরিত্র থাকলে জানিও। নর্মাল এসএমএস। কারণ কে কী করছে তো আমরা সব সময় জানতে পারি না। আমি নিজে এক সময় কাস্টিং করতাম বলে জানি, যে ফেসবুক স্ক্রল করতে করতে কারও কথা মনে হল, অথবা দেখলাম কোনও একটা প্রজেক্ট শেষ হচ্ছে, তখন মনে হল, আরে এ তো ফ্রি এখন, তাহলে এর কথা ভাবা যেতে পারে। সে কারণে আমি নিজেই জানিয়ে রাখি। রাজদার কাছেও কাজ চেয়েছি। কাজই তো চাইব, অন্য কিছু তো নয়।

নেপোটিজম বা ফেভারিটিজম নিয়ে এখন খুব কথা হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রিতে। আপনি বিষয়টা কীভাবে দেখেন?

আমার কাছে বিষয়টা খুব নর্মাল। আমি একটা অন্য উদাহরণ দিচ্ছি। আমার বাবা অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ছিলেন। বাবা চেয়েছিলেন, আমি ডব্লিউ বি সি এস পরীক্ষা দিই। কিন্তু আমি আমার নিজের প্যাশন নিয়ে এগিয়েছি। ফলে একজন ছোট থেকে যে পরিবেশে বড় হচ্ছে, তার প্রভাব তো থাকবেই। যে দেখছে তার বাবা, মা বা পরিবারের অন্য কেউ অভিনয় করছে, তার অভিনয়ের প্রতি টান ছোট থেকেই তৈরি হতে পারে। আবার নাও পারে। আর ফেভারিটিজমও থাকবেই। এগুলোকে নিয়েই এগোতে হবে।

 

কেরিয়ারে এমন কোনও ঘটনার কথা শেয়ার করতে চাইবেন, যেটা আজ মনে হয় না হলেই ভাল হত?

আমি আসলে কোনও ঘটনাতেই কাউকে দোষারোপ করি না। কেন হয়েছে সেটা ভাবতে থাকি না। খুব খারাপ ঘটনাকে কোনও দিনই মনে প্রশ্রয় দিই না। সেগুলো মনে গেঁথে যায় না। একা থাকতে গিয়ে অনেক ঘটনা সামলেছি। সেগুলো থেকে শিখেছি। আগের থেকে অনেক শান্ত হয়ে গিয়েছি। এমন অনেক লোক আছে, যারা আমি যখন কাস্টিং করতাম, তখন একভাবে মিশত। আবার অভিনয় করতে শুরু করার পর আর সেভাবে মেশে না। এগুলো মনে রাখি না। নিজেকেই নিজে মোটিভেট করে এগিয়েছি।

ADVERTISEMENT
https://bangla.popxo.com/article/shieladitya-moulik-is-coming-with-his-third-film-chheledhora-where-jaya-ahsan-is-in-main-lead-in-bengali-907329

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!

07 Sep 2020

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT