তাঁরা দু’জন দীর্ঘদিনের বন্ধু। কিন্তু একসঙ্গে কাজ করা হয়নি কখনও। কেরিয়ারের দীর্ঘ পথ পেরিয়েছেন দুই ব্যক্তিত্বই। অবশেষে এল একসঙ্গে কাজের সুযোগ। তাঁরা অর্থাৎ অরিন্দম (Arindam) শীল এবং ঋতুপর্ণা (Rituparna) সেনগুপ্ত। এই প্রথম ঋতুপর্ণাকে পরিচালনা করবেন অরিন্দম।
পরিচালক জানালেন, তাঁর নতুন ছবি ‘মায়াকুমারী’র প্রেক্ষাপট অনেকটা বড়। ১৯৪০ থেকে ২০১৮। ১৯৪০, ৪৫ সাল নাগাদ বাংলা সিনেমা যখন নির্বাক থেকে সবাক যুগে জার্নি শুরু করছে, অর্থাৎ বড় হচ্ছে বাংলা সিনেমা সে সময় সিনেপর্দার বিখ্যাত জুটি ছিলেন মায়াকুমারী এবং কাননকুমার। কিন্তু কেরিয়ারের মধ্যগগনে মায়াকুমারী অভিনয় ছেড়ে দেন। তাঁর স্বামী শীতল ভট্টাচার্য ছিলেন সে সময়ের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক। অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার পর অন্তরালে চলে যান মায়াকুমারী। তার কারণ কেই জানে না। কলকাতার বাইরে একটা বড় বাড়িতে থাকতে শুরু করেন স্বামীর সঙ্গে। মায়া এবং কাননের জুটি নিয়ে ২০১৮-এ ছবি করতে আসেন পরিচালক সৌমিত্র মল্লিক। তার ১০ বছর আগেই অবশ্য মায়াকুমারী পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। সে মৃত্যুও রহস্যজনক এবং অস্বাভাবিক। সৌমিত্রর ছবিতে ঘটনাচক্রে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন কাননকুমারের নাতি আহির চট্টোপাধ্যায়। এক মডেল-অভিনেত্রীরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
অরিন্দম শেয়ার করলেন, “বাংলা সিনেমার ১০০ বছরে এটা আমাদের ট্রিবিউট। তবে আমি কিন্তু বাংলা সিনেমার ইতিহাস বলতে বসিনি। এটা একটা মিউজিক্যাল ফিল্ম। বিত্রমের ঘাড়ে প্রচন্ড চাপ। আমাদের ১০টা ছবি একসঙ্গে হয়ে গেল। আবার নতুন পরীক্ষা। এমন একটা বিষয় নিয়ে মিউজিক্যাল ছবি করতে তো ভালই লাগছে। বহুদিন ধরে ইচ্ছে ছিল। গত দু’বছর ধরে ছবিটা নিয়ে কাজ করছি। চেষ্টা করেছি। অনেকেই বলেছেন, আগে একটা ব্যোমকেশ হোক, তারপর। কিন্তু এন আর দত্তকে শোনানোর পর বললেন, অন্য ছবি সরিয়ে আগে এটা করি চল। ফলে ক্যামেলিয়ার থেকে বড় সাপোর্ট পেয়েছি। আর একটা বিষয়, ক্যামেরার পিছনের মানুষগুলোকে নিয়ে আমরা বেশি কথা বলি না। কিন্তু আমার সঙ্গে যারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে, এটা তাঁদের প্রতিও আমার ট্রিবিউ। কস্টিউম ডিজাইনার অভিষেক রায় এখানে অভিষেক রায় হিসেবেই থাকবে। একই ভাবে হেয়ারে হেমা বা মেকআপে সোমনাথও থাকবে নিজের নিজের ভূমিকায়।”
দেবলীনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি গল্প থেকে মায়াকুমারীর চরিত্রের প্রথম ধারণা পেয়েছিলেন অরিন্দম। তার পরে শুভেন্দু দাশমুন্সীর সঙ্গে মিলে তাকে গল্পের আকার দেন পরিচালক। এর আগে ‘গুপ্তধনের সন্ধানে’ ও ‘দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন’ ছবি দু’টির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন শুভেন্দু। অরিন্দমের ছবিটির চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন তিনি।
আগামী ৮ নভেম্বর বাংলা চলচ্চিত্রে ১০০ বছর পূর্ণ হবে। সেদিনই এই ছবির পোস্টার লঞ্চ করা হবে। মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং আবির চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও রজতাভ দত্ত, অরুণিমা ঘোষ, সৌরভ দাস, অনিন্দিতা বসু, ইন্দ্রাশিস রায়, ফলক রশিদ, অম্বরীশ ভট্টাচার্য, জয়দীপ কুণ্ডুর অভিনয়ে সমৃদ্ধ হবে এই ছবি। আগামী ডিসেম্বর থেকে কলকাতায় শুরু শুটিং। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের গরমে মুক্তি পাবে এই ছবি।
এটাই কি ক্যামেলিয়া প্রোডাকশনের এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বাজেটের ছবি? অরিন্দমের উত্তর, “না। তবে এর বাজেট ভালই। ম্যাগনাস ওপাস বলতে পারেন।”
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
ইউটিউবে দেখার ৩০টি বেস্ট শর্ট ফিল্ম
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়..