ADVERTISEMENT
home / নাইটলাইফ এবং ফুড
লন্ডনে ঝালমুড়ি বিক্রি করে ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জয় করলেন এক সাহেব! আছে ফুচকা, চা-ও!

লন্ডনে ঝালমুড়ি বিক্রি করে ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জয় করলেন এক সাহেব! আছে ফুচকা, চা-ও!

দৃশ্যটা একবার ভাবুন তো! আপনি লন্ডনের ওভাল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের (World Cup Cricket) ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার খেলা দেখতে গিয়েছেন। বিরতিতে খিদে মেটানোর জন্য বেরোলেন স্টেডিয়ামের বাইরে। টুকটাক দেদার খাবার স্টল রয়েছে সেখানে। হঠাৎই চোখ পড়ল এক ঝালমুড়িওয়ালার দিকে। মুড়ি, পেঁয়াজ, আলু, বাদাম, ঝাল-মশলা, লেবু সহযোগে খাঁটি কলকাত্তাইয়া (Kolkata) মুড়ি মাখার স্বাদ! একবার মুখে দিলেই মনে হবে আপিসফেরত ময়দানের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, বিকেলের মিঠে রোদ ছুঁয়ে যাচ্ছে সারা শরীর, এক হাতে ব্যাগ আর এক হাতে ঝালমুড়ির ঠোঙা! এবার কাট টু! সামনের দিকে নজর ফেরান। দেখুন তো, কার হাত থেকে কিনলেন এই মুড়িমাখা? ঠিকই দেখছেন, পেশায় ঝালমুড়িওয়ালা হলেও আসলে ইনি পাক্কা সাহেব! নাম, অ্যাঙ্গাস ডেনুন (Angus Denoon)। 

বিশ্বকাপে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পর থেকেই অ্যাঙ্গাসের ঝালমুড়ি (Jhalmuri) তৈরির একটি ভিডিয়ো ফেসবুকে ভারী জনপ্রিয় হয়েছে। হাসিমুখে ক্রেতাদের ঝালমুড়ি পরিবেশন করছেন তিনি আর সকলে পাউন্ড-শিলিং খরচ করে সেই ঝালমুড়ি কিনে হুশহাশ করতে-করতে আবার খেলা দেখতে ঢুকছেন, এমনটা এতদিনে আপনারা অনেকেই দেখে নিয়েছেন! কিন্তু জানেন কি, অ্যাঙ্গাস মোটেও শখের ঝালমুড়িওয়ালা নন, বরং তিনি পেশাদারি ভাবেই নানা ভারতীয় স্ন্যাক্স বিক্রি করে থাকেন সারা ব্রিটেন জুড়ে। তাঁর নিজস্ব ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল ঝালমুড়িএক্সপ্রেস-এ তাঁর এই যাত্রাপথের নানা ছবি পোস্ট করেছেন অ্যাঙ্গাস। চলুন, আগে দেখে নিই সেই ছবিগুলো।

 

বুঝতেই পারছেন, এই বিশ্বকাপের আসর আবার ইংল্যান্ডে বসেছে বলে সাহেব ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন, ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। সেই বছরপনেরো আগে থেকেই অ্য়াঙ্গাস ঝালমুড়ি বিক্রি করতে শুরু করেন! ইনি নাকি এককালে কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকতেন এবং তখনই অনেক চেষ্টাচরিত্র করে এই বিখ্যাত স্ট্রিট ফুডটি তৈরি করা শিখে নেন! একটি সাক্ষাৎকারে তিনি একবার জানিয়েছিলেন যে, একমাত্র এই ডিশটিই নাকি রান্না না করেই পরিবেশন করা যেত! তাই কলকাতায় থাকাকালীন প্রথমেই এদিকে ঝোঁক যায় অ্য়াঙ্গাসের! তারপর যত সময় এগিয়েছে, অ্যাঙ্গাসের ঝুলিতেও তত বেশি করে বিভিন্ন ভারতীয় স্ট্রিট ফুড জাঁকিয়ে বসেছে! প্রথমে ঝালমুড়ি, তারপর ফুচকা, ধোকলা, ঘুগনি, চাট, মায় চা-ও বিক্রি করেন তিনি! যোগ দেন ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন ফুড ফেস্টিভ্যালে! নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্য়াকাউন্টে নিয়মিত আপডেটও দেন সেসবের! নাম তো কামিয়েইছেন, পাউন্ডও যে বিস্তর কামিয়েছেন, তা তো বলাই বাহুল্য! ফোক আর্টের উপরও বেশ ঝোঁক আছে তাঁর। তাই নিজের দোকান সাজানোর সময়ও নানা রংয়ের ব্যবহার করেন তিনি। দেখে নেওয়া যাক, তারই বেশ কিছু ছবি…

ADVERTISEMENT

নাঃ, অ্যাঙ্গাসের সত্যিই তুলনা নেই! এবার যদি ভারত ট্রোফি ঘরে আনতে পারে, তা হলে একবার তাঁর তৈরি ঝালমুড়ি খেতে অনুরোধ করছি ব্রিটেনবাসী সকল ভারতীয়কে!

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

13 Jun 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT