ADVERTISEMENT
home / Festival
বড়দিন শুরু করুন ২৪ ডিসেম্বর রাতেই, Midnight Mass-এ প্রার্থনা করুন কলকাতার এই চার্চগুলিতে

বড়দিন শুরু করুন ২৪ ডিসেম্বর রাতেই, Midnight Mass-এ প্রার্থনা করুন কলকাতার এই চার্চগুলিতে

বড়দিনের সঙ্গে কলকাতার, তথা বাঙালির যোগ বরাবরই একটু নিবিড়। তা সে এককালে কলকাতা ব্রিটিশ রাজের রাজধানী ছিল বলে, এখানে সায়েবসুবোরা একটু বেশি থাকত বলেই হোক, মাদার টেরিজার জন্যই হোক, একগাদা মিশনারি-কনভেন্ট স্কুলের আধিপত্যের জন্যই হোক, এই শহরে এখনও ডিসেম্বর মাসে পারদ একটু নামে বলেই হোক, কিংবা বাঙালি হুজুগপ্রিয় বলেই হোক, প্রতি বছর ক্রিসমাস এলেই আমাদের মনটা খুশি-খুশি হয়ে যায়। আমরা কেকের দোকানে লাইন দিই, ফ্রুট কেক কিংবা প্লাম কেক নয়, যা হোক একটা কেক হলেই হল। তারপর ছুটির দিনটা চিড়িয়াখানা-ময়দান-মিলন মেলা-ইকো পার্ক-ভিক্টোরিয়া-জাদুঘর ইত্যাদি ইত্যাদি জায়গায় গিয়ে উপভোগ করি। যাঁর জন্মদিন উপলক্ষে এই সেলিব্রেশন, সেই যিশু খ্রিস্টের সঙ্গে বাঙালির ক্রিসমাসের কোনওদিনই খুব একটা যোগ নেই! কিন্তু আমরা বলছি, হুজুগে যখন গা ভাসাচ্ছেনই, তখন একটু ভাল করেই ভাসান। ক্রিসমাসের দিন, মানে ২৫ ডিসেম্বরটা যেমন করে প্ল্যান করেছেন, করুন। কিন্তু ক্রিসমাস ইভ (Christmas Eve), মানে ২৪ ডিসেম্বর এবার যোগ দিন মিডনাইট মাস-এ, কলকাতার বিভিন্ন চার্চে (Kolkata Churches)। এই মিডনাইট মাস (Midnight Mass) কী, কেন তাতে দলে-দলে যোগ দিতে বলছি এবং কলকাতার কোথায়-কোথায় বসে চোখধাঁধানো, মনভরানো মিডনাইট মাস-এর আসর, তার হদিশ রইল এই প্রতিবেদনে।

মিডনাইট মাস সম্বন্ধে দু’-চার কথা

Instagram

দেখুন, সত্যি কথা বলতে গেলে ক্রিশ্চানদের ধর্মগ্রন্থ, মানে, বাইবেলে কোথাও লেখা নেই যে, ক্রিসমাস ইভে আপনাকে চার্চে গিয়ে মধ্যরাতে সমবেত হিম (Hymn) গাইতে হবে! এই ট্র্যাডিশন শুরু করেন পোপ সিক্সটাস দ্য থার্ড, সেন্ট মেরি মেজর ব্যাসিলিকায়, ৪৩০ খ্রিস্টাব্দে। আসলে যিশুর আসল জন্মদিন নিয়েই খ্রিস্টানদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। সাধারণভাবে ধরে নেওয়া হয় যে, ২৫ মার্চ মাদার মেরির গর্ভে এসেছিলেন যিশু এবং তার ঠিক ন’ মাস পরে ২৫ ডিসেম্বর যিশু জন্ম নিয়েছিলেন বলে ধরে নিয়েছেন খ্রিস্টানরা। এই দিনটি আবার মিলে যায় শীতকালীন বিষুবায়নের সঙ্গেও। তা ছাড়া এরপরই পাশ্চাত্য সভ্যতায় শুরু হবে হ্যাপি হলিডেজ এবং নতুন বছরের আগমনের অপেক্ষা। সব মিলিয়ে এই ২৫ ডিসেম্বরের গুরুত্ব গিয়েছে বেড়ে। এই পুরো সময়কালটি, যা নতুন আশা, নতুন আনন্দ নিয়ে আসছে, তাকে স্বাগত জানানোর জন্য এবং মধ্যরাতে প্রভু যিশুর আগমনের খুশি উদযাপনের জন্য বিভিন্ন চার্চে সমবেত প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়। তাকেই বলা হয় মিডনাইট মাস। চার্চগুলি সেজে ওঠে আলোয়, অনেকটা আমাদের ঝুলন যাত্রার মতো প্রতিটি চার্চে সাজানো হয় যিশুর জন্মের ইতিবৃত্তান্ত, নানা পুতুলের মাধ্যমে। মোটামুটি রাত বারোটার মিনিটপনেরো আগে থেকেই শুরু হয় প্রার্থনা এবং শেষ হয় রাত বারোটার কিছু পরে। 

ADVERTISEMENT

সবচেয়ে বড় কথা হল, এই প্রার্থনাসভার দরজা সকলের জন্য খোলা, তা সে আপনি ক্রিশ্চান হোন বা না হোন! 

https://bangla.popxo.com/article/secret-santa-gifts-under-100-rupees-in-bengali-864114

কলকাতার কোন-কোন চার্চে বসে জমকালো মিডনাইট মাস-এর আসর

Instagram

১) সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল: এটি কলকাতার সবচেয়ে পুরনো অ্যাংলিকান চার্চ। কলকাতার সবচেয়ে বড় চার্চও এটি। এখানে মিডনাইট মাস-এর আসরের জাঁকটাই আলাদা। চার্চের ভিতরে তো বটেই, বাইরের পুরো চত্বরে ভিড় জমান অনেকেই। মোমবাতি হাতে নিয়ে একসঙ্গে ক্রিসমাস ক্যারল গান সকলে। ঠিক রাত বারোটায় শুরু হয় ঘণ্টাধ্বনি। 

ADVERTISEMENT

কোথায়: ক্যাথিড্রাল রোড, বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের কাছে। 

২) ওল্ড মিশন চার্চ: ১৮ শতকে তৈরি এই প্রোটেস্টান্ট চার্চটিতে মূলত নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন যাঁরা, তাঁরাই ভিড় জমান। কিন্তু আপনি যদি পুরনো কলকাতার চার্ম আবার চাক্ষুষ করতে চান, তা হলে এই চার্চটিতে একবার ঢুঁ মারুন ২৪ ডিসেম্বর রাতে। এখানকার কয়্যারের সুনাম আছে সারা দেশের ক্রিশ্চান সমাজের মধ্যে।

কোথায়: আর এন মুখার্জি রোড।

৩) চার্চ অফ ক্রাইস্ট দ্য কিং: এই ক্যাথলিক চার্চটির লোকেশনই একে বেশি জনপ্রিয় করে তুলেছে। পুরো চার্চটি আলোয় মুড়ে দেওয়া হয় ক্রিসমাস উপলক্ষে। ভিড় জমে এতটাই যে, চার্চ চত্বর ছাড়িয়ে তা বেরিয়ে আসে সামনের রাস্তাতেও। ক্যারল শোনানো হয় মাইকের মাধ্যমে, যাতে যাঁরা বাইরে আছেন, গলা মেলাতে পারেন তাঁরাও।

ADVERTISEMENT

কোথায়: পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়ে।

৪) সেন্ট জনস চার্চ: এই চার্চটি আবার ইতিহাসের কৌলিন্যে উজ্জ্বল। কলকাতা শহরের প্রতিষ্ঠাতা জোব চার্নক এখানেই বাস করতেন এককালে। এই চার্চের কম্পাউন্ডে তাঁর বাসভবনটি আজও সুরক্ষিত। তাই যদি ইতিহাসের নস্ট্যালজিয়া আর বর্তমানে আনন্দ একসঙ্গে উপভোগ করতে চান, তা হলে ২৪ ডিসেম্বর রাতে পৌঁছে যান এখানে।

কোথায়: আর এন মুখার্জি রোড

৫) সেন্ট টমাস চার্চ: কলকাতার সাহেবপাড়ায় অবস্থিত এই চার্চটি আসলে ভারী স্ট্র্যাটেজিক। একদিকে এর স্টেনড গ্লাস উইন্ডো, কলোনিয়াল আর্কিটেকচার আপনার চোখ ধাঁধিয়ে দেবে। অন্যদিকে এখানে মিডনাইট মাস অ্যাটেন্ড করে আপনি পায়ে হেঁটে পৌঁছে যেতে পারবেন কলকাতার পার্টি ডেস্টিনেশন পার্ক স্ট্রিটে। 

ADVERTISEMENT

কোথায়: মিডলটন স্ট্রিট

 

https://bangla.popxo.com/article/christmas-stories-how-it-started-in-bengali-867425

এই দশকটি আমরা শেষ করতে চলেছি #POPxoLucky2020-র মাধ্যমে। যেখানে আপনারা প্রতিদিন পাবেন নতুন-নতুন সারপ্রাইজ। আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার আগামী বছরটা POPup করে ফেলুন!

23 Dec 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT