ADVERTISEMENT
home / Festival
গণেশ চতুর্থীতে কীভাবে সিদ্ধিদাতার বন্দনা করলে জীবন ভরে উঠবে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে

গণেশ চতুর্থীতে কীভাবে সিদ্ধিদাতার বন্দনা করলে জীবন ভরে উঠবে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে

জয় গণেশ, জয় গণেশ, জয় গণেশ দেবা/মাতা জাকি পার্বতী, পিতা মহাদেবা…

আজ গণেশ চতুর্থী। বলিউডের কল্যাণে মা দুগ্গার এই আদুরে, নাদুসনুদুস খোকনটির সঙ্গে আমাদের এখন পরিচয় বেশ গাঢ়! তাঁর বন্দনা দিয়েই যে সকল দেবতার পুজো শুরু, তাঁকে খুশি রাখতে গেলে যে লাড্ডু-মোদক ভোগ চড়াতে হয়, তাঁর কৃপা পেতে যে সদর দরজায় বাইরে দুই পাশের দেওয়ালে ঋদ্ধি-সিদ্ধি, শুভ-লাভ লিখে রাখতে হয়, তা আমরা অনেকেই এখন জেনে গিয়েছি। এককালে যাঁর নাম বাঙালিরা দিদি ঠাকরুণ মা লক্ষ্মীর সঙ্গে উচ্চারণ করত, যাঁকে হালখাতা কিংবা অক্ষয় তৃতীয়া ভিন্ন অন্য দিন মনেও রাখত না, সেই তাঁকেই এখন আমরা অনেকেই ঘটা করে পুজো করি। এখন আপনি বাড়িতে মূর্তি এনে পুজো করুন, কিংবা ঠাকুরের আসনে রাখা গণেশ বিগ্রহ কিংবা ছবিটির সামনেই নিয়ম মেনে ধূপ-দীপ, ফল-মিষ্টি দিন, গণেশ চতুর্থীর (Ganesh Chaturthi) পুণ্য লগ্নে আপনারাও এবার টুক করে নিয়ম মেনে সিদ্ধিদাতার পুজো করতেই পারেন। দেশের, দশের যা অবস্থা, শুধু মা লক্ষ্মীর কৃপাতে আর চলছে না! গণেশদাদা যদি বলিউডের নায়ক-নায়িকাদের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে আপনাদের দিকেও একটু কৃপাদৃষ্টি দেন, তা হলে মন্দ হয় না! তাই আপনাদের জন্য গণেশ পুজোর (puja) কিছু মূল নিয়ম ও তাঁর আরতির (Aarti) গান আমরা বলে দিলাম এখানে…

 

 

ADVERTISEMENT

গণেশ পুজোর নিয়মকানুন

ইনস্টাগ্রাম

পুজোর বিধি: সত্যি কথা বলতে গেলে, ব্যাপারটা খুবই সহজ। সকালে উঠে স্নান সেরে আগে গণেশ ঠাকুরকে স্নান করান দই-গঙ্গাজল-মধু-ঘি দিয়ে। এই মিশ্রণটিই পরে চরণামৃতের কাজে আসবে। অনেকের বাড়িতেই মাটির বিগ্রহ কিংবা গণেশের বাঁধানো ছবি থাকে। তাঁরা শুধু পা ধুইয়ে দিয়ে পারেন, কিংবা ছবির সামনে চরণামৃতের বাটিটুকু রাখুন, তাতেও হবে। এর পর ঠাকুরের সামনে পাঁচটি ফুল দিয়ে সাজান। আর পুজোর আগেই সাজিয়ে রাখুন পুজোর বিশেষ থালিটি। এই থালার থাকবে, সিঁদুর, চন্দন, ফুল, দূর্বা, ফল, ধূপ, প্রদীপ ও মালা। 

ভোগ: গণেশ খেতে ভালবাসেন। তাই তাঁর ভোগে কোনও খামতি রাখবেন না। তাঁর সেবায় দিন লাড্ডু, মোদক ও নানা রকমের মিষ্টি। অনেকে লুচি, হালুয়া, পায়েস ইত্যাদিও ভোগে দিয়ে থাকেন।

ADVERTISEMENT

 

গণেশবন্দনার গান

গণেশের আরতিই কিন্তু আসল। পাঁচরকম ভাবে এবং দিনে পাঁচবার তাঁর আরতি করতেই হবে। আরতির থালায় থাকবে, ধূপ, পঞ্চপ্রদীপ, ফুল, বস্ত্র এবং চামর। আরতির করার সঙ্গে-সঙ্গে গাইতে হবে আরতির গান। মোটামুটি দুই রকম গানের চলই বেশি।

১. জয় গণেশ দেবা

জয় গণেশ, জয় গণেশ, জয় গণেশ দেবা,

ADVERTISEMENT

মাতা জাকি পার্বতী, পিতা মহাদেবা।।

একদন্ত, দয়াবন্ত, চারভুজাধারী,

মাথে সিন্দুর সোহে, মূষক সওয়ারী।।

অন্ধোঁ কো আঁখ দেতা, কোরধিনাকো কায়া,

ADVERTISEMENT

বঞ্জন কো পুত্র দেতা, নির্ধন কো মায়া।।

পান চড়হে, ফুল চড়হে অউর চড়হে মেওয়া,

লাড্ডুয়োঁকা ভোগ লগে, সন্ত করে সেবা,

জয় গণেশ, জয় গণেশ, জয় গণেশ দেবা।।

ADVERTISEMENT

২. জয় দেব, জয় দেব, জয় মঙ্গলমূর্তি

সুখকর্তা, দুখহর্তা, বার্তা বিঘ্নাচী,

নুর্বী, পূর্বী প্রেম ক্রুপা জয়াচী।

সর্বাঙ্গী সুন্দর উতি সেন্ধুরাচী,

ADVERTISEMENT

কান্তি ঝলকে মালা মুক্তা ফলাচী।

জয় দেব, জয় দেব, জয় মঙ্গলমূর্তি,

দর্শনমাত্রে মনোকামনা পূর্তি।

রত্নখচিত ফরা তুজ গৌরীকুমরা,

ADVERTISEMENT

চন্দনাচী উতি কুমকুমকেশরা।

হিরেজড়িত মুগুট শোভতা বড়া,

রুনঝুনাতি নুপূরে চার্নি ঘাঘরিয়া।

জয় দেব, জয় দেব, জয় মঙ্গলমূর্তি,

ADVERTISEMENT

দর্শনমাত্রে মনোকামনা পূর্তি।

লম্বোদর, পীতাম্বর ফড়িভরবন্ধনা,

সরল, সোঁন্দ বক্রা তুণ্ড ত্রিনয়না।

দস রামচা বত পাহে সাধনা,

ADVERTISEMENT

সঙ্কটি পভাহে নির্বাণী রক্সাভে সুরভরবন্দনা।

জয় দেব, জয় দেব, জয় মঙ্গলমূর্তি,

দর্শনমাত্রে মনোকামনা পূর্তি।

মূল ছবি সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম

ADVERTISEMENT

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

01 Sep 2019
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT