করোনা ভাইরাসের (corona virus second wave) দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকে আমরা সমগ্র দেশবাসী কিভাবে দিন কাটাচ্ছি তা আর নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর হার। যদিও অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন, কিন্তু অনেক প্রাণই ঝরে যাচ্ছে অকালে। এই পরিস্থিতিতে (corona virus second wave) চিকিৎসকেরা আমাদের শরীরের অক্সিজেন লেভেল (oxygen) প্রতিনিয়ত চেক করার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, অক্সিজেনের অভাবেই রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।
#Unite2FightCorona
— Ministry of Health (@MoHFW_INDIA) April 22, 2021
Proning as an aid to help you breathe better during #COVID19 pic.twitter.com/FCr59v1AST
যে পরিমান অক্সিজেন আমাদের এই মুহূর্তে প্রয়োজন, সেই অনুপাতে যোগান এখনও নেই। তাছাড়া অনেক রোগীই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। আর প্রত্যেকের বাড়িতে অক্সিজেনের (oxygen) ব্যবস্থা করা প্র্যাক্টিক্যালি সম্ভব নয়। আর ঠিক এই কারনেই, চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন প্রোনিং-এর। কিন্তু এই প্রোনিং (proning for self care) ব্যাপারটা কী আর কিভাবেই বা তা আপনি করতে পারবেন, সে নিয়ে অনেকের মনেই নানা প্রশ্ন উঠছে। আর আজকের প্রতিবেদনে আমরা সে’সব প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি।
প্রোনিং কী?
মিনিস্ট্রি অফ হেলথের নির্দেশিকা অনুসারে বলা হয়েছে প্রোনিং-এর বিষয়ে। সঠিকভাবে চিত হয়ে শুয়ে গভির ভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার পদ্ধতিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রোনিং (proning for self care) বলা হয়। এতে শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য হয়। প্রোনিং সাধারণত আধ ঘন্টা থেকে দুই ঘন্টা পর্যন্ত করা যায়। সঠিকভাবে প্রোনিং করার ফলে ফুসফুসে অক্সিজেন (oxygen) সরবরাহ ভালভাবে হয় এবং নিঃশ্বাসে সমস্যা হয় না। চিকিৎসক মহলের অনেকেরই দাবী, সঠিকভাবে প্রোনিং করতে পারলে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কম হবে না এবং এই প্রক্রিয়ার সাকসেস রেট ৮০ শতাংশ বলেও অনেক বিশেষজ্ঞই দাবী করছেন। মিনিস্ট্রি অফ হেলথের গাইডলাইনে যে প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে তা হল ‘প্রোনিং ফর সেলফ কেয়ার’, অর্থাৎ আপনি নিজেই এটি করতে পারবেন।
কিভাবে করবেন প্রোনিং
এই গাইডলাইন অনুযায়ী, প্রোনিং তখনই করা উচিত যখন কারও নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে এবং শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪-এর নিচে চলে গেছে। এছাড়াও যারা হোম আইসোলেশনে (corona virus second wave) রয়েছেন, তাঁদের প্রতিদিন শরীরে অক্সিজেনের (oxygen) মাত্রা, ব্লাড প্রেশার, ব্লাড সুগার (যদি থাকে) এবং শরীরের তাপমাত্রা মাপার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, কিভাবে সঠিকভাবে আপনি নিজেই প্রোনিং (proning for self care) করতে পারবেন –
১। নিজেই প্রোনিং করার জন্য সবার আগে চার-পাঁচটি মাথার বালিশ বা পাতলা কুশন নিয়ে নিন। এবারে একটি বালিশ গলার নীচে, দুটি বুকের নিচে এবং বাকি দুটি পায়ের নিচে রেখে উপুর হয়ে অর্থাৎ পেটের উপরে ভর দিয়ে শুয়ে পড়ুন।
২। এভাবে আধ ঘন্টা থেকে দুই ঘন্টা পর্যন্ত শোওয়ার পর ডান দিকে কাত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এভাবে আধ ঘন্টা থাকুন।
৩। এবারে উঠে পা সোজা করে হেলান দিয়ে বসুন। এই সময়ে পিঠের পিছনে একটি বালিশ রাখতে পারেন। এভাবে আধ ঘন্টা বসুন।
৪। এবার আবার বাঁ দিকে কাত হয়ে শুয়ে পড়ুন আধ ঘন্টার জন্য।
এভাবে প্রোনিং করলে ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিতে সুবিধে হবে কারন শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়বে।
প্রোনিং করার আগে ও পরে মনে রাখুন বিশেষ কিছু কথা
ক) খাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে প্রোনিং করবেন না
খ) আপনি যতক্ষণ পারবেন ততক্ষনই প্রোনিং (proning for self care) করবেন। চেষ্টা করে বেশিক্ষন করার প্রয়োজন নেই। যদি মনে হয় পারছেন না, সেক্ষেত্রে হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করে সাহায্য চান।
গ) শরীরে যদি কোনও চোট থেকে থাকে, বিশেষ করে হাড়ে, সেক্ষেত্রে প্রোনিং করার সময়ে খেয়াল রাখবেন, যেন ব্যথার জায়গায় আবার ব্যথা না লাগে। সাবধানে প্রোনিং করুন যাতে রিব কেজে অথবা মাংসপেশিতে ব্যথা না লাগে।
ঘ) যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে এবং তার জন্য নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়, তাঁরা প্রোনিং করবেন না। যদি থ্রম্বোসিস থেকে থাকে এবং গত ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তার চিকিৎসা শুরু না হয়, সেক্ষেত্রেও প্রোনিং (proning for self care) করবেন না। গর্ভবতী মহিলাদেরও প্রোনিং না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঙ) যাদের স্পাইনাল কর্ডে সমস্যা আছে অথবা আগে কখনও ফিমার বোন বা পেলভিক ফ্র্যাকচার হয়েছে, তাঁরাও বিশেষজ্ঞের সাহায্য বাঁ পরামর্শ না নিয়ে প্রোনিং করবেন না।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!