অনন্য নজির গড়ল জি বাংলা (zee bangla)। এই প্রথমবার কোনও বাংলা রিয়্যালিটি শোয়ে মৌলিক গান গাইলেন কোনও গায়ক! আর সে গায়ক যে কেউ নন। ইতিমধ্যেই তিনি নেটিজেনদের মাঝে বেশ বিখ্যাত। গান গয়েছেন ‘ভিঞ্চি দা’র মতো জনপ্রিয় বাংলা সিনেমাতেও। এক্কেবারে ঠিক ধরেছেন, তিনি মইনুল হাসান নোবেল (Moinul Hasan Nobel), যিনি ওপার বাংলা থেকে এসে ঝড় তুলেছেন এপার বাংলাতে। তাঁর সুরের জাদুতে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে দুই দেশ! নোবেল যে লম্বা রেসের ঘোড়া, সেকথা মেনে নিয়েছেন শান্তনু মৈত্রের মতো সুরকারও। তাই তো সারেগামাপা-র (saregamapa) বাকি প্রতিযোগীদের পিছনে ফেলে এমন সুযোগ পকেটস্থ করলেন তিনি!
অ্যাসিড অ্যাটাক আক্রান্ত মহিলাদের জীবন এবং তাঁদের লড়াইকে আমজনতার কাছে পৌঁছে দিতে চেয়েছে zee bangla। তাঁদের সংগ্রামের কথা সুরের মাধ্যমে জনতার কাছে পৌঁছে দিতেই এমন অভিনব প্রয়াস। গানটি লিখেছেন শ্রীজাত, সুরকার শান্তনু মৈত্র। এপিসোডটি টেলিকাস্ট হবে আগামী ১৫ জুন। কিন্তু তার আগে এপিসোডটি শুটিংয়ের সাক্ষী থাকল POPxo বাংলা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই অ্যাসিড আক্রান্ত মনীষা এবং সঞ্চয়িতাও।
শান্তনু জানালেন, মাসআটেক আগেই নোবেলের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে ছিল তাঁর। কিন্তু নানা কারণে সুযোগ মিলছিল না। তাঁর সুর দেওয়ার পরেই গানের কথা লেখেন শ্রীজাত। দিনচারেকের মধ্যে তৈরি হয়ে যায় গান এবং সুর। কিন্তু হঠাৎ নোবেলকে বেছে নেওয়া হল কেন? ওর কথা ভেবেই যে তিনি সুর দিয়েছিলেন, সেকথা অকপটে স্বীকার করলেন শান্তনু। আর হঠাৎ করে হাতে এমন চাঁদ পেয়ে নোবেলও কম উচ্ছ্বসিত নন! POPxo বাংলাকে খোলাখুলি জানালেন তিনি কতটা খুশি। বললেন, “শান্তনুদার কাছে কথাটা শোনামাত্র বিষয়টা ভাল লেগে গিয়েছিল। আর যে-কোনও গায়কই মৌলিক গান গাইতে চান। তাই এমন সুযোগ পেয়ে দু’বার ভাবিনি। শুরু করে দিই প্র্য়াকটিস।”
শান্তনু মৈত্রের সুর এবং নোবেলের গান শোনার পরে নিজের আবেগ চেপে রাখতে পারেননি শ্রীজাতও। প্রশ্ন করাতে স্পষ্ট জানালেন, গানটা শুনে নাকি তাঁর লোম খাড়া হয়ে গিয়েছিল। একথাও মানলেন যে, তাঁর লেখা শব্দগুলিকে শান্তনুর সুর এবং নোবেলের গায়কী এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। একই কথা শোনা গেল সুরকারের গলাতেও। তিনিও নোবেলের পারফরম্যান্সে খুশি। সারেগামাপা-এর মতো এমন এক বিশাল মঞ্চে এই লড়াকু মহিলাদের অন্তরের সৌন্দর্য এবং তাঁদের জীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরাই ছিল মূল লক্ষ্য। আর তাতে ডিস্টিংশন নিয়ে পাশ করেছেন নোবেল, জানালেন শান্তনু।
এত প্রশংসা শুনে নিশ্চয়ই ভাল লাগছে? প্রশ্নটা শুনে একটু ভাবলেন নোবেল। পরে জানালেন, এত বড় সুরকারের সঙ্গে কাজ করতে পেরে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন। কিন্তু এই সব কিছুকে তিনি বড় করে দেখতে নারাজ, পাছে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়। তাই তিনি স্রোতের সঙ্গেই গা ভাসাতে চান। কথা শুনে বোঝা গেলে, এখনই এই সব নিয়ে ভাবতে চান না তিনি। সামনে ফাইনাল, সেদিকেই নজর তাঁর!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!