ADVERTISEMENT
home / বিনোদন
বিয়ের প্রথম অ্যানিভার্সারির আগেই সম্পর্ক ভাঙল অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদের! তাজ্জব সকলে

বিয়ের প্রথম অ্যানিভার্সারির আগেই সম্পর্ক ভাঙল অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদের! তাজ্জব সকলে

বোঝো কাণ্ড! আর তিনদিন পরেই ছিল প্রথম বিবাহবার্ষিকী (wedding anniversary)। বন্ধুবান্ধবরা তৈরি হচ্ছিলেন তাঁদের কী উপহার-টুপহার দেওয়া যায়, সেসব নিয়ে। এদিকে আজ গতকাল রাতে অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ (Shweta Basu Prasad) ঘটা করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে বসলেন যে, তিনি আর তাঁর স্বামী রোহিত মিত্তল নাকি মিউচুয়ালি স্থির করে ফেলেছেন যে, ঢের হয়েছে, তাঁরা আর একসঙ্গে থাকতে পারছেন না। কারণ, নাঃ, সেসব কিছু বলেননি। উল্টে ভারী মুখ বড় করে স্বামী, থুড়ি সদ্য প্রাক্তন স্বামীকে ধন্যবাদ-টাদ দিয়ে জানিয়েছেন যে, তিনি নাকি তাঁকে প্রচণ্ড ইনস্পায়ার করেছেন এবং তাতে শ্বেতা ভারী আগে যাওয়ার সুযোগ-টুযোগ পেয়েছেন, এই আর কী!

যাঁরা একেবারেই বলিউডভক্ত নন এবং হালফিলের কোনও খবরই বিশেষ রাখেন-টাখেন না, তাঁদের জন্য এই শ্বেতা বসু প্রসাদ কে, সেটা একটু বিশদে ব্যাখ্যা করা যাক। ইনি কাজ, মানে অভিনয় শুরু করেছেন একেবারে ছোটবেলা থেকে। যুগান্তকারী ‘কহানি ঘর ঘর কী’ সিরিয়ালে ইনি পার্বতী-ওমের মেয়ে সাজতেন। তারপর শবামা আজমীর সঙ্গে ‘মকড়ি’ ছবিতে তাঁর সুঅভিনয়ের কথাও অনেকেরই মনে আছে নিশ্চয়ই। অভিনয়ে বরাবরই সপ্রতিভ বাঙালি মায়ের কন্যা শ্বেতা বাংলাতেও অল্পস্বল্প কাজ করেছেন। তারপর তাঁর ক্লেম টু ফেম ছিল মধুচক্রে ফেঁসে যাওয়া। যদিও পরে সেই ঘটনা প্রমাণ করা যায়নি এবং শ্বেতা ওই অভিযোগ থেকে বেমালুম ছাড়া পেয়েছিলেন, কিন্তু কহানি-র পরে প্রায গুমনামী হয়ে যাওয়া শ্বেতার কথা আবার সকলের মনে পড়ে যায় ওই ঘটনা থেকেই। তারপর শ্বেতা পড়াশোনা শেষ করেন এবং আবার ফিরে আসেন অভিনয়ে। ছোট পর্দা দিয়েই আবার কাজ শুরু করেন তিনি, চন্দ্রনন্দিনী সিরিয়ালে মুখ্য ভূমিকাতেই ছিলেন তিনি। তাঁর লাস্ট বড় প্রোজেক্ট ছিল ‘তাসখন্দ ফাইলস’, যেখানে শ্বেতার অভিনয়ও প্রশংসিত হয়েছিল। 

আশা করি, শ্বেতা বসু প্রসাদ আসলে কে, সেটি বোঝা গিয়েছে। এবার আসা যাক, তাঁর বিয়ের প্রসঙ্গে। দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার পর শ্বেতা যোগ দিয়েছিলেন পরিচালক অনুরাগ কশ্যপের প্রোডাকশন হাউসে। সেখানেই উঠতি পরিচালক রোহিত মিত্তলের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। রোহিতকে নাকি নিজে হাতে গ্রুম করছিলেন অনুরাগ। তিনিই উপযাচক হয়ে শ্বেতা-রোহিতের প্রেমটি করিয়ে দেন বলে তাঁদের ঘনিষ্ঠরা বলে থাকেন। গত বছর ১৩ ডিসেম্বর পুনের একটি পাঁচতারা হোটেলে বাঙালি এবং মারওয়াড়ি মতে শ্বেতা-রোহিতের চার হাত এক হয়। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না-যেতেই নাকি এই জুটি বুঝতে পারেন যে, তাঁরা ভাল বন্ধু হতে পারেন, তাঁদের ওয়েভ লেংথ মিলতেই পারে, কিন্তু স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বাকি জীবনটা একসঙ্গে কাটানোর মতো আঠা তাঁদের মধ্যে নেই। তাই এই মিউচুয়ালি দূরে সরে যাওয়ার (seperation) সিদ্ধান্ত।

তা জীবনটা তাঁদের, বিয়েটা তাঁদের, সুতরাং সিদ্ধান্তটাও তাঁদেরও হওয়া উচিত। কিন্তু এসব ব্যাপার কেন যে ছাই এঁরা বিয়ের আগে বুঝতে পারেন না, আর বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে কোন জাদুমন্ত্রবলে তা চট করে বুঝে যান, সেটাই মাথায় ঢোকে না বাপু! অবশ্য আমরা তো আর সেলেব্রিটি নই, তাই ঢোকে না। শুধু একটা কথা না বলে পারছি না। বিয়ের পরের দিনটি থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত শ্বেতার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তাঁর আর রোহিতের কোনও ছবি নেই! একটু কেমন-কেমন গন্ধ আসছে না?

ADVERTISEMENT

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়..

09 Dec 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT