ADVERTISEMENT
home / লাইফস্টাইল
করোনা ভাইরাসের মিমে সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল! কিন্তু আদৌ কি এর প্রয়োজন আছে?

করোনা ভাইরাসের মিমে সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল! কিন্তু আদৌ কি এর প্রয়োজন আছে?

বিশ্বজুড়ে এখন একটাই আতঙ্ক আর সেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে একটা ছোট্ট জীবাণু, যাকে চোখেও দেখা যায় না। গোটা বিশ্বের কাজের গতি থমকে দিতে পারে একটা ছোট্ট জীবাণু। ঠিকই ধরেছেন, মারণ জীবাণু করোনা ভাইরাসের (coronavirus) কথাই বলছি। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ভারতীয়দের সংখ্যা ১০০ ছারিয়েছে, যদিও এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাসের প্রকোপে পরার খবর নেই। তবুও সাবধানের মার নেই! কাজেই এই জীবাণু প্রতিরোধ করার বিষয়ে কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।

সকালে ঘুম থেকে উঠেই যে মুহূর্তে আপনি হোয়াটসঅ্যাপ খুলবেন, এক এক করে মেসেজ ঢুকতে শুরু করবে কীভাবে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে নিজেকে বাঁচাবেন। কাউকে ফোন করতে গেলে কল কানেক্ট হওয়ার আগেও প্রায় এক মিনিট ধরে ভয়েজ রেকর্ডিংয়ে সাবধানবাণী শুনবেন করোনা ভাইরাস কতটা মারাত্মক, কীভাবে এর হাত থেকে নিজেকে ও পরিবারকে রক্ষা করবেন ইত্যাদি। টেলিভিশন থেকে মোড়ের মাথার দোকান – সব জায়গায় একটাই আলোচনা এবং সেই আলচনার মধ্যমণি হল ওই পুঁচকে একটা জীবাণু।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এক এক জন এক এক রকম ভাবে বলেই চলেছেন যে এই মুহূর্তে কী কী করা উচিত। আবার সেলিব্রিটিরাও নিজের নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে মাস্ক পরে ছবি দিচ্ছেন। এঁদের কারও উদ্দেশ্যই কিন্তু খারাপ নয়, একজন সচেতন নাগরিকের মতোই সবাই সবাইকে সাবধান করছেন। তবে এর মধ্যেও নেটিজেনরা কিন্তু নিজেদের সেন্স অফ হিউমার ধরে রাখছেন! বুঝলেন না? আরে বাবা, নেটিজেনদের অধিকাংশই যে কোনও সাম্প্রতিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝটপট মিম তৈরি করে ফেলেন; আর এখন সেই লিস্টে সামিল হয়েছে করোনা ভাইরাসও। বেচারা, করোনাও নেটিজেনদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। নানা হাস্যকর মিমের বন্যায় এখন সোশ্যাল মিডিয়া ভেসে যাচ্ছে।

দেখে নিন কয়েকটি মিম (meme) যা সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) খুব বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

ADVERTISEMENT

অনেকেই খুব মজা পাচ্ছেন এই মিমগুলো দেখে, অবশ্য মিম তো মজাদারই বিষয় বটে! তবে, এখানেও একটা কিন্তু থেকে যায়! করোনা ভাইরাসের মতো একটা সিরিয়াস বিষয়, যা অনেক মানুষের প্রাণ ইতিমধ্যেই নিয়েছে, তা নিয়ে কি আদৌ মজা করা চলে? নাকি মজা করতে মন চায়? তার চেয়ে বরং যদি সবাই সবার পাশে থাকেন, সঠিক তথ্য সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়; তাতেই তো মনে হয় সোশ্যাল মিডিয়ার মতো একটা প্ল্যাটফর্মের সার্থকতা, তাই না?

করোনা ভাইরাসের হাত থেকে কীভাবে নিজেকে ও পরিবারকে রক্ষা করবেন, ঠিক কীভাবে এবং কতক্ষণ ধরে হাত ধোবেন, কেমন মাস্ক পরবেন, কীভাবে বন্ধু-বান্ধব এবং বাকি সবাইকে সাবধান করবেন, সেদিকে মন দিলে বোধহয় কাজের কাজ হবে। মিম বা হাসির খোরাক তো নানা বিষয় নিয়ে তৈরি করাই যায়, এবারের মতো না হয় একজন সচেতন এবং দায়িত্বশীল নাগরিকের মতো ব্যবহার করা যাক! আপনারা কী বলেন?

POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!

২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!

16 Mar 2020

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT