জল্পনাটা অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু বরাবরে মতো সেলেব্রিটিচিত ডজিং করে বলটা এড়িয়ে যাচ্ছিলেন দু’জনেই। করলে জানতে পারবেন, আমার সঙ্গে আর কার-কার নাম জুড়বেন বলুন তো ইত্যাদি বলছিলেন পরিচালক এবং হবু বর সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji) অন্যদিকে হবু কনে, মানে, বাংলাদেশের অভিনেত্রী রুফিয়াৎ রশিদ মিথিলা (Mithila) তো মুখে কুলুপ এঁটেই বসেছিলেন! বিশ্বস্ত সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিয়েটা নাকি হতে যাচ্ছিল আগামী ফেব্রুয়ারিতে, বাংলাদেশে। সেই মতো নাকি বাড়ি-টাড়ি দেখাও শুরু করে দিয়েছিলেন তাঁরা…
হতে যাচ্ছিল বলছি, কারণ, আজ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিয়েটা নাকি আজই হচ্ছে! তা-ও আবার কলকাতায়। অবশ্য পুরোটাই সূত্র নির্ভর। এই খবরের সত্যতা কোনও পক্ষ থেকেই স্বীকার করা হয়নি এখনও। তবে নিজের সঙ্গে মিথিলার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে সৃজিত লিখেছেন, ‘প্রথম আলোয় ফেরা, আঁধার পেরিয়ে এসে আমি
অচেনা নদীর স্রোতে, চেনা চেনা ঘাট দেখে নামি
চেনা তবু চেনা নয়, এভাবেই স্রোত বয়ে যায়
খোদার কসম জান, আমি ভালোবেসেছি তোমায়…’
সেলেব্রিটিদের বিয়ে নিয়ে খবর তো, খুব একটা ঢাকাচাপা কোনওদিনই থাকে না। আর বলিউডের মতো টলিউডও আজকাল মিডিয়ার সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে এতটাই ব্যস্ত থাকেন এই সব ব্যাপারে যে, একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত, যতক্ষণ না বর-কনে কিংবা বিয়েবাড়িতে উপস্থিত অতি উৎসাহী কেউ কোনাখমচি থেকে টুক করে একটা সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টাচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত হলফ করে কিচ্ছুটি বলা যাবে না। তবে পরোক্ষে মিথিলার সঙ্গে সম্পর্কের খবর সৃজিত স্বীকার করে নিলেন বলেই মনে করছেন সোশ্যাল অডিয়েন্সের একটা বড় অংশ।
হালফিলের অন্য টলিউডি বিয়েগুলোর কথাই ভাবুন না? রাজ-শুভশ্রী বন্ধুদের ডেকেছিলেন তাঁদের সঙ্গে পার্টি করতে, গিয়ে দেখা গেল সেদিন তাঁদের রেজিস্ট্রি হচ্ছে! কৃষণ ব্রজকে যখন বিয়ে করেছিলেন শ্রাবন্তী, সেদিন আসলে তাঁদের এনগেজমেন্ট ছিল, হঠাৎ সেটা পাল্টে যায় বিয়েতে! তারপর কৃষণকে ছেড়ে যেদিন রোশন মন্টিকে বিয়ে করলেন, তখনও চুপি-চুপি পঞ্জাবের এক গুরুদ্বারে গিয়ে চার হাত এক করে ফেলেছিলেন তাঁরা! নিন্দুকে অবশ্য বলেছিল, এটা তিন নম্বর বিয়ে কিনা, তাই ঢাকঢোল পিটিয়ে আর…সে যত নম্বর বিয়েই হোক, আমরা তো কথা বলছি চুপি-চুপি নিয়ে!
এবার আসি সৃজিতের গোপন বিয়ের (getting married) প্রসঙ্গে। কেন তিনি হঠাৎ আজ এভাবে রেজিস্ট্রি করতে যাচ্ছেন সেটা ভেবে আকুল হচ্ছি আমরা। এর পিছনে অনেকগুলো যুক্তি অবশ্য থাকতে পারে। যেমন ধরুন, তাঁর আর মিথিলার বিয়ে, তা তাঁরা সানাই বাজিয়ে করবেন নাকি চুপিসাড়ে, সেটা ঠিক করার অধিকার একান্তভাবে তাঁদেরই, এতে তো কারও কিছু বলার নেই? কিংবা এমনটাও হতে পারে যে, এই যে আমরা সক্কাল-সক্কাল এত কিছু ভেবে মরছি এবং তা নিয়ে লিখে সময় নষ্টও করছি, হয়তো এটাই চেয়েছিলেন তাঁরা? বা, সৃজিত এখন নতুন ফেলুদা নামাচ্ছেন, টোটা রায়চৌধুরিকে ফেলুদায় ট্রান্সফর্ম করাটাও বেশ সময়সাপেক্ষ, আর তিনি যা খুঁতখুঁতে, তাতে সেটা মন দিয়েই করবেন। তাই বাকি ঝামেলা আগে থেকে সেরে রাখতে চাইছেন। বিয়েটা অফিশিয়ালি হয়ে থাকলে তখন মিথিলাও বুক ফুলিয়ে স্বামীর কাজে সাহায্য করতে পারবেন। হ্যাঁ, এখনও করেন বটে, কিন্তু অফিশিয়াল সিলমোহরের একটা আলাদা গুরুত্ব আছে না?
যাক গে, এর বেশি কিছু এখনও জানা যায়নি। সৃজিতের এবং টলিউডের বাকি সকলের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে আমরা ওত পেতে বসে আছি…যেমন-যেমন খবর পাব, জানাতে থাকব আপনাদের…
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…
