ADVERTISEMENT
home / বিনোদন
শমিত-মৃণালের পর এবার টলিউড হারাল আরও এক ‘আপনজন’কে, আজ সকালে প্রয়াত অভিনেতা স্বরূপ দত্ত

শমিত-মৃণালের পর এবার টলিউড হারাল আরও এক ‘আপনজন’কে, আজ সকালে প্রয়াত অভিনেতা স্বরূপ দত্ত

তাঁর সহ-অভিনেতা শমিত ভঞ্জ, মৃণাল মুখোপাধ্যায় আগেই চলে গিয়েছিলেন। এবার তপন সিংহের ‘আপনজন’ স্কোয়াডের আরও এক অভিনেতা, স্বরূপ দত্তও (Swarup Dutta) পাড়ি দিলেন পরপারের পথে (passed away)। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। দিনতিনেক আগে বালিগঞ্জ প্লেসে নিজের বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পান তিনি। সেই সঙ্গে স্ট্রোকও হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করা হয় কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির এক নার্সিংহোমে। ছিলেন ভেন্টিলেশনে। বুধবার ভোর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর পরিবারে পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আজ সন্ধেয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তিনি রেখে গিয়েছেন এক ছেলে সারণ দত্ত ও স্ত্রীকে। সারণ পেশায় ছবি পরিচালকও বটে।

১৯৪১ সালে ২২ জুন কলকাতায় জন্ম স্বরূপের। বরাবরই দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা তিনি, পড়াশোনা করেছেন প্রথমে সাউথ পয়েন্ট স্কুলে। তারপর বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির থেকে আই এ পাশ করে, কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক হন। স্কুলে থাকাকালীনই ডাকসাইটে অভিনেতা উৎপল দত্তের সংস্পর্শে আসেন তিনি আর সেখান থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মায় সুপুরুষ ও দীর্ঘাঙ্গ স্বরূপের। তপন সিংহর ‘আপনজন’ (Apanjan) দিয়ে রুপোলি পর্দায় অভিষেক হয় তাঁর। একগুচ্ছ নতুন অভিনেতাকে সকলের সামনে নিয়ে এসেছিল এই ছবিটি। স্বরূপ ছাড়াও ছিলেন শমিত ভঞ্জ, মৃণাল মুখোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতারা, ছিলেন ছায়া দেবীও। তখনকার কলকাতার এক সুন্দর ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল এই সিনেমার মাধ্যমে। কলেজ প্রেম, পাড়ায়-পাড়ায় মাস্তানি ইত্যাদি যা একান্তভাবে সাতের দশকের কলকাতার নিজস্ব, তা বাস্তব রূপ পেয়েছিল স্বরূপ-শমিতদের অভিনয়ের মাধ্যমে। ছবিটি সেবছর সেরা বাংলা ছবি হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিল। এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছিল বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। ঝকঝকে, শিক্ষিত, মার্জিত চেহারার স্বরূপ তখন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিগণিত হতে শুরু করেছিলেন! 

এরপর বেশ কয়েকটি ভাল-ভাল ছবিতে নিজের অভিনয়প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন তিনি। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল, পিতা-পুত্র, মা ও মেয়ে, স্বর্ণ শিখর প্রাঙ্গণে, অন্ধ অতীত, এখনই, সাগিনা মাহাতো ইত্যাদি। প্রসঙ্গত, হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেছেন স্বরূপ, তা-ও আবার জয়া ভাদুড়ির বিপরীতে, উপহার ছবিতে। পেয়েছিলেন জাতীয় স্বীকৃতিও। কিন্তু কোনও অজানা কারণে স্বরূপের আর সৌমিত্রকে মাত দেওয়া হয়ে ওঠেনি। সাড়া জাগিয়ে শুরু করেও শেষরক্ষা করতে পারেননি এই অভিনেতা (actor)। ধীরে-ধীরে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলেন! পরবর্তীকালে কিছু ছবিতে ও সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন বটে, কিন্তু পার্শ্বচরিত্রে, যেখানে সেই পুরনো ধারালো স্বরূপকে চেনাও যায়নি! শেষ জীবনে শ্বেতী রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন স্বরূপ। আর দেহ পট সনে নট সকলি হারায়, এই প্রবাদটিকে সত্য প্রমাণ করে নিজের উপর বিশ্বাসটাই হারিয়ে ফেলেছিলেন যেন! 

ধীরে-ধীরে টালিগঞ্জের স্বর্ণযুগের সঙ্গে জড়িত সব অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এক-এক করে ছেড়ে চলে যাচ্ছেন আমাদের। এ এক বড় খারাপ সময় বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য!

ADVERTISEMENT

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

17 Jul 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT