ট্রেনে সফর করছেন এক মহিলা। প্লেনে যাওয়ার সময় তাঁর পরিবারের এক সদস্যের অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল। সে কারণেই প্লেনে যেতে ভয় পান। অগত্যা ট্রেন। দীর্ঘ যাত্রায় আলাপ হয় এক সহযাত্রীর সঙ্গে। সেই সহযাত্রী এই মহিলাকে তিনটি গল্প বলেন। পূর্ব, পশ্চিম এবং দক্ষিণ…। তারপর?
ঠিক এভাবেই ‘পূর্ব পশ্চিম দক্ষিণ উত্তর আসবেই’ (Purbo Poschim Dokkhin Uttor Ashbei) ছবির চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন পরিচালক রাজর্ষি দে। প্রযোজনার দায়িত্ব সামলেছেন সুচন্দ্রা ভানিয়া। মূল গল্প লিখেছেন অভীক সরকার। ‘এবং ইনকুইজিশন’ নামে বই আকারে তা মুক্তিও পেয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার মুক্তি পেল এই ছবির টিজার (Teaser)। রাজর্ষি শেয়ার করলেন, “ট্রেনের দুই সহযাত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় এবং কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। পূর্ব, পশ্চিম, দক্ষিণ তিনটে আলাদা গল্প। আর শেষে উত্তর আসবেই, কারণ এই দু’টি চরিত্র আসলে কারা, সেটাতেই টুইস্ট। সেটা পরে বোঝা যাবে।” সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের দিওয়ালিতে মুক্তি পাবে ছবিটি।
স্বর্গীয় মৃণাল মুখোপাধ্যায়ের অভিনীত শেষ ছবি ‘পূর্ব পশ্চিম দক্ষিণ উত্তর আসবেই’। পুরোহিতের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। চিত্রনাট্য অনুযায়ী, বামনগাছি রাজবাড়ির কুলপুরোহিত সহস্রাক্ষ চক্রবর্তীর নাতি দ্বিজোত্তম মিশ্র। যিনি না জেনে একটি সরস্বতীর মূর্তি তুলে দেন পুরোনো আসবাবপত্র বিক্রেতা সুবেশের হাতে। তিনি ঘূণাক্ষরেও জানতেন না যে এই মূর্তিকে কেন্দ্র করে একটি ভয়াবহ কান্ড হতে চলেছে।
চিত্রনাট্য অনুযায়ী, সুদর্শন তো বটেই, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ইনভেস্টর ব্যাঙ্কার অতীন যথেষ্ট স্মার্টও। এই চরিত্রে রয়েছেন গৌরব চক্রবর্তী। কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শে বিশ্বাসী এবং কুসংস্কারের চূড়ান্ত বিরোধী। বিজ্ঞানমনস্ক, নির্ঝঞ্ঝাট প্রত্যয়ী এহেন অতীন, বন্ধু সুবেশের কিউরিও শপ থেকে হঠাৎ করেই কিনে ফেলে একটা মূর্তি। আর তার পর থেকেই বদলাতে থাকে তাঁর জীবন।
মুঘল সাম্রাজ্যের শেষের দিকে যখন ব্রিটিশরাজের আধিপত্য ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, বেশ কিছু স্বদেশী লোকজন অর্থ ও পদের লোভে কোম্পানী সরকারের পদলেহন করতে শুরু করে, আহমেদ খান এদের মধ্যে অন্যতম। প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায় অভিনয় করেছেন এই চরিত্রে।
ভারতীয় উপমহাদেশের এক ভয়ংকর খুনী সম্প্রদায় ঠগী। এরা পথিকের গলায় রুমাল বা কাপড় জড়িয়ে লুঠপাট এবং হত্যা করত। ঊনবিংশ শতকের গোড়ার দিকে এক কুখ্যাত ঠগীর নাম ফিরিঙ্গিয়া। কৌশিক করকে দেখা যাবে এই চরিত্রে।
ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা চরিত্র খোদাবক্স। ঠগী দলের সর্দার দুর্গাশঙ্করের অত্যন্ত বিশ্বস্ত সদস্য সে। পেশায় ঠগ এবং খুনী হলেও খোদাবক্সকে অমানবিকতা পুরোপুরি গ্রাস করেনি। সত্রাজিৎ সরকার রয়েছেন এই চরিত্রে।
ছবির তৃতীয় গল্পের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র পুষ্পদি। এই চরিত্রে দেথা যাবে দামিনী বেণী বসুর অভিনয়। বাপ-মা হারা অতীনকে সন্তান স্নেহে বড় করেছেন। পুষ্পদি অত্যন্ত যত্নশীল অতীনের বিষয়ে, এবং পুষ্পদিই একমাত্র মানুষ যিনি অতীনের জীবনের কোন বিপদের গন্ধ সবার আগে বুঝতে পারেন।
‘ভালোবাসাই সবচেয়ে বড় তন্ত্র, সবচেয়ে বড় জাদু’ কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের এই মন্ত্রে চালিত হয় গোটা ছবির প্রেক্ষাপট। এই চরিত্রে দেখা যাবে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাসুদেব সার্বভৌমের ছাত্র এবং শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর সতীর্থ কৃষ্ণানন্দকে সারা বাংলার তন্ত্রসাধনার সূচক হিসেবে ধরা হয়। এই ছবিতে প্রত্যেকটি আলাদা গল্পে কৃষ্ণানন্দের সরাসরি উপস্থিতি কিভাবে গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দেয় সেটাই দেখার।
পরিবর্তিত নারী মানবী বন্দোপাধ্যায় এই ছবিতে মানবী রূপেই রয়েছেন। এছাড়াও রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, রাজেশ শর্মা, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, আরিয়ান ভৌমিক, পদ্মনাভ দাশগুপ্তর মতো শিল্পীর অভিনয়ে সমৃদ্ধ এই ছবি। অভিনয় করেছেন প্রযোজকর সুচন্দ্রা নিজেও।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!