পুজো মানে নতুন জামা, নতুন জুতো, নতুন সাহিত্যও! সাহিত্যাপ্রেমী বাঙালি পুজোর সময় নতুন গল্প-উপন্যাসে চোখে ডুবিয়ে থাকতে সত্যিই পছন্দ করে। আর তাই আমরা আয়োজন করেছিলাম অণুগল্প প্রতিযোগিতার। পাঠকদের কাছ থেকে পুজোর (Durga Puja) জন্য স্পেশ্যাল (special) অণুগল্প (story) চেয়েছিলাম আমরা। বিপুল সাড়া মিলেছে। নানা স্বাদের অণুগল্প জমা পড়েছে আমাদের দফতরে। তার মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হল কয়েকটি। পুজোর চারদিন সকাল-বিকেল দু’টি করে অণুগল্প আমরা পেশ করব পাঠকদের জন্য।
এই ‘পুজোর গন্ধ’ গল্পটি লিখেছেন সোমনাথ বেনিয়া।
পুজো এলেই পূজা এই গন্ধটা পায়! কে যে ওর নামটা পূজা রেখেছিল, কে জানে! কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন হয়, তেমনই ছেঁড়া কাঁথায় শোওয়া, মা-বাপের নাম না জানা মেয়ের নাম পূজা!
কিন্তু তা-ও পূজা গন্ধটা পায়! যেখানে নীলাকাশে সাদা মেঘ, ছিঁড়ে যাওয়া, হাওয়ার নির্দেশে উড়ে যাওয়া তুলোর মতো ভেসে যায়, দেখে সাদা কাশ ফুলের আনন্দ দোলে নত মাথায়, সাজে প্রকৃতি ভিন্ন রঙে, গন্ধে…সেখানে পূজা সব ভুলে শুধু একটাই গন্ধ পায়! পুজোর গন্ধ! সেই গন্ধেই তার পুজোর যাবতীয় আনন্দ শুরু এবং শেষ। সেই গন্ধে মায়ের আগমনী, মায়ের বোধন থেকে বিসর্জন, সবকিছু লুকিয়ে আছে। গোপনের সংবেদ ভীষণ আনন্দদায়ক! আর হবে না-ই বা কেন? যার ঘর বলতে প্রযত্নে ফুটপাথ, তার বিভিন্ন গন্ধের মধ্যে এই গন্ধ প্রিয় হওয়াই স্বভাবিক! সারা বছর সে এই গন্ধ পায় না। কারণ, উপায় তো নেই! এখন এতে আশ্চর্য হওয়ার কী থাকবে, যদি মনে হয় পরের বার পুজোয় পরা যাবে এই অন্য লোকের ফেলে দেওয়া কুড়িয়ে পাওয়া জামা আর সেটা সে রেখে দিচ্ছে ভাল করে ধুয়ে কাঠের বাক্সে ন্যাপথলিন দিয়ে…পূজার পুজো আসে একটা বছর পরে! অন্যদের বাতিল করা খুশি, অন্যদের পুরনো আনন্দ সযত্নে নতুনের মতো করে সাজিয়ে-গুছিয়ে নেয় সে!
আর গভীর রাতে পুজোর শহর যখন ক্লান্ত, ওই, ওই দূরের প্যান্ডেলের ঢাকিটা যখন ঢাক পাশে রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে আর মণ্ডপের মধ্যে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে নেড়ি কুত্তাটা, তখন পূজা পুরনো আনন্দ নিয়ে পা টিপে-টিপে ঢোকে মণ্ডপে! তারপর বুক ভরে নিয়ে নেয় নতুন গন্ধ, ঝিমিয়ে পড়া ধুনুচি, অযত্নে মায়ের পায়ের কাছে পড়ে থাকা শুকনো, ন্যাতানো ফুল, কাটা, কালো হয়ে যাওয়া ফলের গন্ধ…একটা অদ্ভুত ভাল লাগা ঘিরে ধরে ওকে। তারপর আরও সাহসে ভর করে ধীরে-ধীরে প্রতিমার দিকে এগোয় পূজা। ওই শুকনো ফুল কুড়িয়েই অঞ্জলি দেয়! ধুনুচিটা সাবধানে হাতে তুলে একটু দোলায়…নেড়িটা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে ওর দিকে। কিচ্ছু বলে না! আর পূজা ভাবে, তার নামটা যে-ই রাখুক, অনেক ভেবেচিন্তে রেখেছিল। মাকে একা পুজো প্রতি রাতে সে-ই করে! এই মা-মা গন্ধটার জন্যই সারা বছর আবার অপেক্ষা করবে পূজা…
আরও পড়ুনঃ শারদীয়া শুভেচ্ছা ও মেসেজ
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo Shop-এর স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…