লকডাউনে (lockdown) গৃহবন্দি দশা কাটাতে অনেকেই অনেক কিছু করছেন। কেউ বাড়িঘর পরিষ্কার করে ফেলছেন, কেউ বা নানারকম রান্না করছেন পরিবারের সদস্যদের জন্য, কেউ বাড়ি থেকেই কাজ করে চলেছেন আবার কেউ বা উদাস হয়ে ভাবছেন ‘মুক্তি কবে হবে!’ সত্যি কথা বলতে, করোনা আতঙ্কে এই মুহূর্তে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া আমরা কেউই বাড়ি থেকে বেরতে চাইছি না, কিন্তু বাড়িতে বসে বসে আপনি কতই বা রান্না করবেন আর ঘর গোছাবেন আর কতই বা টেলিভিশনে সেই একই করোনা ভাইরাসের প্রকোপের খবর শুনবেন! এর মধ্যেই অনেক মানুষের ‘পাগল পাগল’ দশা হয়েছে। আপনারই যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে ভাবুন তো, আপনার বাড়ির খুদেটির (kid) কী অবস্থা! বেচারি না পারছে বাইরে যেতে না পারছে অন্য কিছু করতে। বাড়ির খুদে সদস্যদের যাতে ভালভাবে সময় কাটে এবং তারা এই লকডাউনে কিছু শিখতে পারে সেজন্য রইল কিছু ইন্টার্যাক্টিভ গেমের (games) হদিশ।
লুডো
লুডো আমাদের সবার বাড়িতেই থাকে আর লুডো খেলার থেকে ভাল আর কিছুই তেমন হয় না সময় কাটানোর জন্য। আপনি নিজেও আপনার খুদেটির সঙ্গে নিজের ছোটবেলায় ফিরে যেতে পারবেন ছক্কা-পুটের সঙ্গে।
দাবা
এটি গেমটি একেবারে ছোট বাচ্চাদের জন্য নয়। আপনার বাড়িতে যদি এমন কোনও খুদে থাকে যার বয়স মোটামুটি সাত-আট বছর পেরিয়েছে তাহলে তার সঙ্গে দাবা খেলেও সময় কাটান যেতে পারে। আপনি যদি বাড়ি বা অফিসের কাজে ব্যস্তও থাকেন সেক্ষেত্রে বাড়ির কোনও বয়স্ক সদস্য খেলার বা খেলা শেখানোর দায়িত্ব নিতে পারেন।
ক্যারম
এই গেমটি শুধুমাত্র খুদেদের জন্য না, যে-কোনও বয়সের মানুষই খেলতে পারেন। ছোটবেলায় ক্যারম খেলেননি, এমন মানুষ খুব কম আছেন, আমার যতদূর মনে হয়, হয়ত এমন মানুষ নেইই। লকডাউনে বাড়িতে বসে না হয় ক্যারম প্রতিযোগিতা হয়ে যাক!
জিগস পাজল
আমরা অনেকেই ছোটবেলায় এই পাজল গেমটি খেলেছি। এতে যে শুধু ভালভাবে সময় কাটে তা নয়, মনোযোগ ক্ষমতা ও ধৈর্যও বাড়ে। এই গেমটিতে ছোট ছোট টুকরো জুড়ে একটা বড় ছবি তৈরি করতে হয়। কোনও নৈসর্গিক দৃশ্য হতে পারে, আবার কোনও পশু-পাখির ছবিও হতে পারে।
ব্রেনভিটা
জিগস পাজলের মতোই ব্রেনভিটাও কিন্তু ধৈর্য ও মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। অবশ্য সে সঙ্গে বুদ্ধি বাড়ার খেলাও বলতে পারেন এই গেমটিকে। ৩২টি মার্বেল থাকে এ গেমে আর ৩৩ টি খোপ। আপনাকে ওই ৩২টি মার্বেল এমনভাবে এক্টার পর একটা সরিয়ে ফেলতে হবে যাতে খেলার শেষে মাত্র একটাই মার্বেল থাকে। খুদের বুদ্ধিতে ধার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লকডাউনের সময়টিকে কাজে লাগিয়ে না হয় নিজের বুদ্ধিতেও একটু ধার দিয়ে ফেলুন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!