বিদেশে বেড়াতে (travel) যেতে সকলেরই ইচ্ছে করে। উজ্জ্বল আমেরিকা, রোম্যান্টিক ইউরোপ বা হালফিলের বাজেটসই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার থাইল্যান্ড বা ভিয়েতনাম, বিদেশে বেড়াতে যাওয়া বলতেই এগুলোই মনে পড়ে। অথচ ‘ঘর হতে শুধু দুই পা’ ফেললেই রয়েছে বাংলাদেশ। বেড়ানোর সব রকমের উপাদান এখানেও মজুত আছে। আপনি সমুদ্র চান, পাবেন। পাহাড় চান পাবেন। নদী চান, সেটাও পাবেন। ঐতিহ্যের গরিমা চান, সেটা তো ঝুড়ি ভর্তি করে পাবেন! আর তার সঙ্গে উপরি পাওনা হিসেবে পাবেন আন্তরিক আতিথেয়তা আর দুর্দান্ত খাবার। আর কি না বলতে পারবেন, এগুলো শোনার পর? তা হলে দেরি কেন? চলুন বেড়িয়ে আসি বাংলাদেশ (Bangladesh)।
শীতকালে ভারতে বেড়াতে যাওয়ার সেরা ১৫টি জায়গার হদিশ
বাংলাদেশের হেরিটেজ সাইট
বাংলাদেশের অনেক জায়গা আছে যেগুলো এখানকার হেরিটেজ বিল্ডিং। এগুলোর মধ্যে বাগেরহাটের মসজিদ, পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার ও সুন্দরবন, ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের (UNESCO World Heritage) তকমা পেয়েছে। বাকিগুলোর নামও এই তালিকায় সংযুক্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
১) শালবন বিহার (কুমিল্লা)
সপ্তম থেকে বারো শতকে এই অঞ্চলে রাজত্ব করত দেব রাজবংশ। বংশের চতুর্থ শাসক ভব দেব এই বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ করেন। উৎখননের সময় একটি তাম্রপত্র পাওয়া যায়, যেখানে এই নামটি লেখা ছিল।
কীভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে কুমিল্লার ট্রেন আছে।
২) মহাস্থানগড় (বোগড়া)
খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে নির্মিত এই মহাস্থানগড় গ্রাম বাংলাদেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। প্রাচীন কালে এর নাম ছিল পুণ্ড্রবর্ধনপুর। এটি বাংলাদেশের প্রাচীনতম শহর।
কীভাবে যাবেনঃ মহাস্থানগড় বোগড়া-রঙপুর হাইওয়ের কাছে অবস্থিত। ঢাকা থেকে বোগড়া পৌঁছলেই একটা গাড়ি নিয়ে এখানে যেতে পারবেন।
৩) বাগেরহাট গুম্বদ (খুলনা)
এই মসজিদে আছে ৬০ খানা স্তম্ভ বা গোলাকার গম্বুজ! ১৯৮৫ সালে এই মসজিদ বিশ্ব হেরিটেজের সম্মান পেয়েছে।
কীভাবে যাবেনঃ ঢাকা পৌঁছে খুলনার বাস নিয়ে নিন বা ট্রেন ধরুন।
এছাড়াও যে হেরিটেজ সাইটগুলো আছেঃ
সোমপুর মহাবিহার, নয়গাঁও
কোটিলা মুরা, কুমিল্লা
জগদ্দল মহাবিহার
লালবাগ ফোর্ট, ঢাকা
এহসান মঞ্জিল, ঢাকা
যে জায়গাগুলো একদম মিস করা চলবে না
সকলের তো আর ইতিহাস ভাল লাগে না। পুরনো সভ্যতার ধ্বংসাবশেষও তাঁদের আকর্ষণ করে না। যাঁদের এই সবের চেয়ে প্রকৃতির লাবণ্য ভাল লাগে, তাঁদের জন্য রইল বাংলাদেশের কয়েকটি দুর্দান্ত জায়গা, না গেলে মিস করবেন।
১) যদিপাই জলপ্রপাত
আহা, নাম শুনলেই যেতে ইচ্ছে করে। যদি পাই! চিটাগং বা চাটগাঁয় রয়েছে এই অপূর্ব সুন্দর ঝর্না। বাংলাদেশের যে-কোনও বড় শহর থেকে এখানে যাওয়ার বাস ও গাড়ি পাওয়া যায়।
২) জাফলং
সদ্য বিয়ে করেছেন? হনিমুনে যাওয়ার অফবিট জায়গা খুঁজছেন? জাফলং আসুন। এখানে আছে এক দারুণ জলপ্রপাত, যার নাম মায়াবী। আর চাঁদের আলোয় এই জায়গা সত্যিই মায়াবী হয়ে ওঠে!
শেষ কথা
আপনাকে যেটুকু বললাম, তা শুধুই বৃহৎ বরফশৈলের চূড়ামাত্র। অর্থাৎ বাংলাদেশ শুধু মহান একটি দেশ নয়, এটি বিশাল একটি দেশ, যা দেখে শেষ হওয়ার নয়। বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ উন্নত। কলকাতা থেকে ছাড়ে মৈত্রী এক্সপ্রেস। কলকাতার চিৎপুর (কলকাতা) স্টেশন থেকে বুধ, শুক্র, শনি ও রবিবার এই ট্রেন ছাড়ে। কলকাতা থেকে ট্রেনে ঢাকা যেতে মোটামুটি দশ ঘণ্টা সময় লাগে। এছাড়া প্লেনে তো যাওয়াই যায়।
বাংলাদেশের রিক্সা একটা দেখার মতো জিনিস। প্রথমেই ঢাকা গেলে, দু’দিন অন্তত এই শহর এক্সপ্লোর করুন।
বর্ষাকালে গেলে ঢাকার ইলিশ মাছের স্বাদ না চেখে যদি ফিরে আসেন, তা হলে আর কথাই বলব না।
বাংলাদেশ আমাদের কলকাতার বাঙালিদের বড় সাধের জায়গা। তাই একবার গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজি নজরুল ইসলামের সমাধি আর চট্টগ্রামে মাস্টারদা সূর্য সেনের স্মৃতি বিজড়িত জায়গা না দেখে ফিরবেন না।
তাইলে কবে আইসেন আমাগো দ্যাশে?
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!