ADVERTISEMENT
home / বেড়ানো
বেড়ানোর স্মৃতি মধুর করতে খেয়াল রাখুন এসব দিকে

বেড়ানোর স্মৃতি মধুর করতে খেয়াল রাখুন এসব দিকে

বেড়াতে যেতে আমরা কে না ভালবাসি, এই ব্যস্ত জীবনের হুড়োহুড়ি থেকে একটু মুক্তির স্বাদ পাওয়ার জন্যই তো মাঝেমধ্যে বেরিয়ে পড়া। তবে সব বেড়ানোর অভিজ্ঞতা যে সবসময়ে খুব সুখস্মৃতি হিসেবে মনে থেকে যায় তা কিন্তু না। কখনও কখনও কিছু কিছু বেড়ানোর অভিজ্ঞতা মধুর হয় না, বরং তা থাকে তিক্ততায় ভরা। যেমন একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি, গত বছর আমি বেড়াতে গিয়েছিলাম পাহাড়ে, হোটেল বুক করেছিলাম ট্র্যাভেল এজেন্টের মাধ্যমে; কিন্তু এমন পোড়া কপাল, হোটেলের নামে আমাদের পৌঁছে দিয়েছিল হানা বাড়িতে! সেখানে না ছিল জল, না ইলেকট্রিসিটি! এরকম অভিজ্ঞতা আমাদের কারও না-কারও সঙ্গে কখনও না-কখনও হয়েছে। কয়েকজনের সঙ্গে POPxo বাংলার টিম কথা বলেছিল তাঁদের বেড়ানোর তিক্ত অভিজ্ঞতা (bad travel experiences) জানার জন্য। তাঁদের অবস্থা কী হয়েছিল এবং কী করলে আপনি এমন অবস্থায় পড়বেন না, তা নিয়েই এই প্রতিবেদন। 

পরের বার বেড়াতে যাওয়ার জন্য অনায়াসে কীভাবে টাকা জমাবেন

ফ্লাইটে উঠতে পারলাম না, অবশ্যই নিজের বোকামির জন্য

what-is-your-worst-travel-experience %283%29

“আমার বন্ধুর বিয়ে ছিল দিল্লিতে। বিয়ের লগ্ন ছিল রাত আটটায়। আমার অফিসে হাফ-ডে করে বিয়েবাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। আমার ফ্লাইট ছিল বিকেল তিনটে নাগাদ। কিন্তু অফিস থেকে বেরোতে দেরি হওয়ায় আমি এয়ারপোর্টে যখন পৌঁছোই, তখন বাজে আড়াইটে। যথারীতি অনেক অনুরোধ করার পরেও আমাকে ফ্লাইটে উঠতে দেওয়া হয়নি যেহেতু বোর্ডিং প্রসেস শেষ হয়ে গিয়েছিল! বরং আমাকে পরের ফ্লাইটের টিকিট দেওয়া হয়। ৬ ঘণ্ট একা-একা বসে থাকা আর সেটাও এয়ারপোর্টের মতো একটা জায়গায়…যার এই অভিজ্ঞতা নেই সে বুঝবে না…” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

ADVERTISEMENT

এরকম পরিস্থিতিতে কী করবেন: যদি ট্রেন অথবা ফ্লাইটের নির্ধারিত সময় অনুসারেই চলতে হয়, তা হলে  সেদিনটাও কাজ থেকে ছুটি নিয়ে নিন। আর যদি একান্তই ছুটি না পান, সেক্ষেত্রে হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে বেরোন, যাতে ফ্লাইট বা ট্রেন মিস না করতে হয়। সম্ভব হলে, একেবারে শেষ যে ফ্লাইটটি শেডিউলড আছে, তার টিকিট বুক করুন। আগে থেকে ট্যাক্সিও বুক করে রাখতে পারেন, যাতে সেই বুকিংয়ে একটুও সময় নষ্ট না হয়।

গোয়ায় গিয়েছি না কুম্ভমেলায়, বুঝতে পারছিলাম না!

what-is-your-worst-travel-experience %281%29

“সব বন্ধুরা মিলে সানবার্ন ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে গিয়েছিলাম গোয়ায়। যদিও আগে থেকেই টিকিট বুক করা ছিল, কিন্তু এত ভিড়! সত্যি কথা বলতে কী, আমি আর আমার বন্ধুরা খুব ভ্যাবাচাকা খেয়ে গিয়েছিলাম যে গোয়ায় এসেছি নাকি কুম্ভমেলায়! আর তার উপরে আবার আমরা যে হোটেলে ছিলাম, সেখানে অন্য এক দল ছেলেমেয়েও ছিল। সারা রাত তারা এত হইচই করত যে, শুধু আমরা না, বাকি বোর্ডাররাও খুব বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। তবে হোটেলের কর্মচারীদের জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি!” মিশমি দাস, লাইফস্টাইল ব্লগার   

এরকম পরিস্থিতিতে কী করবেন: বেড়ানোর মরসুমে যদি কোথাও যান, মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়েই যান যে ভিড় থাকবেই! কারণ, আপনার মতো আরও অনেকেই সেই সময় ওই নির্দিষ্ট জায়গাতেই বেড়াতে গিয়েছেন। এক্ষেত্রে দুটো অপশন আছে। এক, শীতে পুরী কিংবা গরমে দার্জিলিং যাবেন না! ওই সময়টাই এই জায়গাগুলোর টুরিস্ট সিজন। আর যদি নিতান্তই সেই সময়ে যান, তা হলে নিরিবিলি পেতে শহর থেকে একটু দূরে কোনও হলিডে হোমে বা হোমস্টে-তে থাকতে পারেন। এতে হোটেলের আরাম হয়তো পাবেন না। কিন্তু শান্তি তো পাবেন!

ADVERTISEMENT

গরমকালে Honeymoon-এ যাওয়ার জন্য কীভাবে প্যাকিং করবেন

কাকু, এটা শুটিং ফ্লোর নয়, আর আমিও কোনও নায়িকা নই!  

what-is-your-worst-travel-experience %282%29

“আমি মুম্বই থেকে কলকাতা ফিরছিলাম ফ্লাইটে। আমার পাশের সিটেই একজন বয়স্ক লোক বসেছিলেন। আমার সঙ্গে উনি নানা বকবক করে আলাপ জমানোর চেষ্টা করছিলেন। খুব ক্লান্ত ছিলাম বলে অল্প কথায় উত্তর দিচ্ছিলাম। মাঝে আমাকে একবার ওয়াশরুমে যেতে হয়েছিল। সিটে যখন ফিরে আসছি, দেখি আমার সহযাত্রী নিজের মোবাইল ফোনে আমার ভিডিও রেকর্ড করেছেন। কেন করছেন জিজ্ঞেস করাতে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে যান ভদ্রলোক! সঙ্গে-সঙ্গে আমি ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টকে ব্যাপারটা জানালে উনি নিজের ফোন দেখাতে বাধ্য হন এবং ব্যাপারটা সকলের সামনে পরিষ্কার হয়ে যায়। ভাবতে পারছিলাম না যে, একজন বয়স্ক মানুষ এতটা খারাপ একটা কাজ করতে পারে!” সৌমিতা চট্টোপাধ্যায়, একটি বেসরকারি সংস্থার মার্কেটিং এগজিকিউটিভ

এরকম পরিস্থিতিতে কী করবেন: সৌমিতা এক্ষত্রে যেটা করেছেন, সেটাই করা উচিত। আপত্তিকর পরিস্থিতিতে ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টকে ব্যাপারটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জানানো উচিত। পারলে অনুরোধ করুন, যদি আপনার বসার জায়গা বদলানো যায়! আর কোনও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হলে প্রথম থেকেই সতর্ক থাকুন। সাবধানের মার নেই!

ADVERTISEMENT

 

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

23 May 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT