ধাঁধা বড়ই মজাদার। যে-কোনও আড্ডাকে তা নিমেষে জমিয়ে দেয়। তাই তো ছুটির দিনে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা চলাকালীন দু-চারটে ধাঁধার (Love Riddles for Boyfriend In Bengali) বাউন্সার দিলে কিন্তু মন্দ হয় না। আবার ধাঁধার ফাঁদে ফেলে প্রেমিকের কাছ থেকে গিফটও আদায় করে নিতে পারেন! কীভাবে? তাঁকে বলুন, এই ধাঁধার উত্তর দিতে না পারলে গিফট করতে হবে ডিজাইনার স্কার্ট, আর ওই ধাঁধার উত্তর দিতে না পারলে খাওয়াতে হবে পাপড়ি চাট। দেখবেন, একথা শুনে কেমন ল্যাজে-গোবরে অবস্থা হয় তাঁর।
এমন দুষ্টু-মিষ্টি প্রেমর মজাই আলাদা। তাই তো এই প্রতিবেদনে আপনার জন্য রইলে সেরা কিছু Love Riddles। তা হলে এবার জমে উঠুক খেলা!
আরও পড়ুনঃ প্রেমিকের জন্মদিনে দিন এই সেরা উপহার গুলি
অ্যারিস্টটলও মজেছিলেন ধাঁধার খেলায় (History Of Riddles)
ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, ধাঁধার জন্ম আসলে অতীতকালের গ্রিসে। অনেকে মনে করেন, অ্যারিস্টটলই নাকি এর জন্মদাতা! এই গ্রিক দার্শনিক ছিলেন বেজায় মজার মানুষ। তাই তো মাঝেমধ্যেই কঠিন-কঠিন জ্ঞানের কথাকে ধাঁধার মোড়কে পুরে কথা বলতেন। তাতে সহজেই সকলের মাথায় সহজেই ঢুকে যেত দর্শনের কথা। আর মনেও থাকত অনেকদিন। সেই শুরু, তারপর কবি-লেখকদের মধ্যে ধাঁধার ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়তা পায়। বিশেষত, কবিতায় ধাঁধার ব্যবহার ছিল বেশি। এভাবেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্রমশ ধাঁধার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। শুরু হয় এই নিয়ে নানা গবেষণাও। তাই এখন ইন্টারনেটে সার্চ করলেই খোঁজ মেলে নানা ধরনের ধাঁধার। তাতে রয়েছে মজার ধাঁধা, অঙ্ক নিয়ে ধাঁধা, ইন্টলেকচুয়াল ধাঁধা সহ আরও কত কী! তবে আজকের হিরো হলো প্রেমর ধাঁধা। তা হলে আর অপেক্ষা কেন, চলুন একটু গুলিয়ে দেওয়া যাক আপনার বয়ফ্রেন্ডকে!
দুষ্টু-মিষ্টি প্রেমের ধাঁধা (Cute Love Riddles and Answers)
১| যখন ওকে দেখে হাসি, সে ও হাসে আমাকে দেখে। আমি চোখ মারলে, সে-ও মারে। আবার আমি তাকে চুমু খেলে সে-ও আমায় সমান আগ্রহে চুমু খায়। কে সে বলতে পারেন?
উত্তর: আয়নায় দেখা নিজের প্রতিবিম্ব!
২| একটা বাল্ব তার প্রেমিকাকে কী বলবে জানেন?
উত্তর: আমার সমস্ত ওয়াট (Watt) দিয়ে ভালবাসি তোমায়। আবার এ-ও বলতে পারে, আমার আলোর মতোই তীব্র আমার প্রেম!
৩| একজন পেন্টার ভালবাসা প্রকাশের সময় কী বলতে তার প্রেমিকাকে?
উত্তর: আই লাভ ইউ উইথ আল মাই আর্ট!
৪| অল্প দিলে ভাল লাগে না, আবার বেশি দিলেই বিষ! প্রেমিক বলে প্রেমিকাকে প্লিজ আন্দাজ মতো দিস! কী সে জিনিস, বলতে পারেন?
উত্তর: নুন
৫| প্রেমিকাকে মানাতে এই ফর্মুলার জুড়ি মেলা ভার! যার সঙ্গী আবার মোমবাতি আর খাবার। কী সেই ফর্মুলা?
উত্তর: ক্যান্ডল লাইট ডিনার।
আরও পড়ুন: নিজস্বতা বজায় রেখেই গড়ে তুলুন সুন্দর সম্পর্ক
৬| এই জিনিসটা আসলে আমার। কিন্তু আমার কাছে ছাড়া তা শুধু তোমার কাছেই থাকতে পারে! কোন জিনিসের কথা বলছি জানেন?
উত্তর: আমার মন!
৭| অ্যাডাম আর ইভ যখন প্রথম ডিনার ডেটে গিয়েছিলেন, কী খেয়েছিলেন তাঁরা, বলতে পারেন?
উত্তর: আপেল!
৮| পেটের মধ্যে নেই। কিন্তু তার আশেপাশেই আছে। যাকে আবার অনেকে প্রেমের প্রতীক হিসেবেও মেনে থাকেন। কী সেই জিনিস?
উত্তর: হৃদয় বা মন!
৯| বিয়ের সময় স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে কখনও এনগেজমেন্ট রিং, নয়তো কখনও ওয়েডিং রিং উপহার দিন। কিন্তু সঙ্গে আর-একটা অদৃশ্য রিংও থাকে। সেটা কী?
উত্তর: “সাফারিং!”
১০| কোন তিনটি শব্দ লক্ষ বার উচ্চারণ করলেও মনে হয় কম বলা হল?
উত্তর: আমি তোমাকে ভালবাসি। আই লাভ ইউ।
রোমান্টিক ধাঁধা (Romantic Riddles and Answers)
১| একে চোখে দেখা যায় না। কিন্তু এর কারণে মাথা ঘোরা থেকে বুকে ব্যথা, সবই হয়। কার কথা বলছি জানেন?
উত্তর: ভালবাসা।
২| এ জিনিস তো তোমারই। কিন্তু তা-ও তুমি ধরতে পারবে না। কোন জিনিসের কথা বলছি?
উত্তর: আমার মন।
৩| কার্বনের সঙ্গে হাইড্রোজেনের কখনও ঝগড়া হয় না কেন জানেন?
উত্তর: একে অপরের কাছে আসামাত্র এদের সম্পর্ক ফেবিকলের চেয়েও বেশি মজবুত হয়ে যায়। তাই তো ঝগড়া হওয়ার সুযোগই মেলে না!
৪| ভালবাসার সম্পর্ক আর বিয়ের মধ্যে পার্থক্য কি জানেন?
উত্তর: ভালবাসার সম্পর্ক হল অনেকটা সুন্দর স্বপ্নের মতো। আর বিয়ে মানেই অ্যালার্ম ক্লক!
৫| একজন প্রেমিক হঠাৎই তার প্রেমিকার থেকে কলকাতার একটা ম্যাপ চাইল। কিন্তু কেন বলুন তো?
উত্তর: প্রেমিক যে তাঁর প্রেমিকার চোখের গভীরে হারিয়ে গিয়েছেন!
৬| মেয়েরা জন্মায় এই সম্পদ নিয়ে, যা ছেলেদের পাগল করে দেয়। কি সেই সম্পদ জানেন কি?
উত্তর: মেয়েদের সৌন্দর্য!
৭| আদর্শ স্বামী কাঁদের বলে?
উত্তর: যাঁরা বউয়ের সমনে মুখ বন্ধ রাখেন। কিন্তু যথা সময়ে এটিএম-এর পিনটা ঠিক দিয়ে দেন, তাঁরাই তো আদর্শ স্বামী।
আরও পড়ুন: সেরা বাংলা কমেডি সিনেমা
৮| এই জিনিসটির উপর বড়লোকেরা অধিকার স্থাপন করতে চান। জ্ঞানীরা বুঝতে চান। আর গরিব মানুষদের কাছে এটাই সবচেয়ে বড় সম্পদ। কোন জিনিসটির কথা বলছি জানেন?
উত্তর: ভালবাসা।
৯| আমি কখনও খুশি। কখনও দুঃখী, তো কখনও আবার ভয়ে থাকি! কখনও আমার প্রকাশ ঘটে, কখনও নয়। আমি বারে-বারে ফিরে আসি মানুষের মনে। কে আমি বলতে পারেন?
উত্তর: অনুভূতি।
১০| আমার কারণে যুদ্ধ হয়েছে অনেক। তবু আমাকে ছাড়া বাঁচতে পারে না কেউ। কে আমি?
উত্তর: ভালবাসা।
১১| একটা ইংরেজি শব্দ, শুরু হয় “L” দিয়ে। শেষ হয় “Y” দিয়ে। এই শব্দটির গুরুত্ব না বুঝলে ভালবাসার সম্পর্খ একদিনও টেঁকে না। শব্দটি কী বলুন দেখি?
উত্তর: লয়্যালটি (Loyalty)।
১২| এই জিনিসটা কোটি-কোটি টাকা দিয়েও কেনা যায় না। কিন্তু ভাগ্যবানরা ঠিক পেয়ে যান। জিনিসটি কী?
উত্তর: প্রকৃত ভালবাসা।
১৩| এর জন্য মানুষ কাঁদে। আবার ছেড়ে বাঁচতেও পারে না। কী জিনিস বলতে পারেন?
উত্তর: ভালবাসা।
১৪| একটা পেপার ক্লিপ, ম্যাগনেটকে প্রেম নিবেদন করার সময় কী বলবে জানেন?
উত্তর: আপনার টানে এক মুহূর্তও স্থির থাকতে পারি না।
১৫| আদর্শ বিয়ের সংজ্ঞা কী?
উত্তর যে বিয়েতে স্বামী দেবেন এবং স্ত্রী নেবেন, সেটাই আদর্শ বিয়ে!
১৬| উপরওয়ালা এদের জুটিতে তৈরি করেছিলেন। কিন্তু জন্মের সময় এরা আলাদা হয়ে যায়! অনেকদিন খোঁজাখুঁজির পর এদের আবার একসঙ্গে দেখা হয়। তারপর থেকেই এদের আর আলাদা করা যায়নি! কে এরা?
উত্তর: সোলমেটস, মানে, যাঁরা তৈরিই হয়েছিলেন এক দুঁজে কে ওয়স্তে!
আরও পড়ুনঃ সেরা দশটি বাংলা হাসির মেসেজ
আরও একটু দুষ্টুমি হয়ে যাক (Naughty Riddles and Answers)
১| রাতে যতক্ষণ না শুতে যাও, ততক্ষণ আমার সঙ্গে খেলা কর! আমাকে দু’হাতে জড়িয়ে রাখো। এমনকী, অফিসেও আমি তোমার সঙ্গেই থাকি! তুমি ছাড়া শুধু বিশেষ কিছু মানুষই আমাকে ছুঁতে পারে। কে আমি?
উত্তর: মোবাইল ফোন।
২| ছেলেদের প্যান্টে এমন কী থাকে, যা মেয়েদের ড্রেসে থাকে না?
উত্তর: পকেট।
৩| আমি যখন ভিতরে ঢুকি, তখন শক্ত থাকি। কিন্তু ধীরে-ধীরে নরম হয়ে যাই। কে আমি বলুন তো?
উত্তর: চুইংগাম।
৪| সব ছেলেরই এটা আছে। কারও লম্বা, তো কারও ছোট। আবার বিয়ের পরে বউয়ের সঙ্গেও এটা ভাগাভাগি করে নিতে হয়। কীসের কথা বলছি বলতে পারেন?
উত্তর: ছেলেদের পদবি।
৫| দৈর্ঘ্য আমার ছয় ইঞ্চি। কাজ করলেই আমার সারা শরীরে জলে আর ফেনায় ভেজা থাকে। কে আমি?
উত্তর: টুথব্রাশ
৬| এটা করতে অনেকের দারুণ লাগে। তাই তো সারাক্ষণ এই নিয়ে মজে থাকে। কিন্তু যেই না এই একই কাজ বাবা-মায়েরা করেন, অমনই তখন ছেলে-মেয়েরা রেগে যায়। কীসের কথা বলছি বলুন?
উত্তর: ফেসবুক।
৭| মেয়েদের আছে দুটো। কিন্তু গরুর আছে চারটে। কোন জিনিস, বলতে পারেন?
উত্তর: পা।
৮| আমি লম্বা এবং শক্ত। ভিতরে কিন্তু নরম। আর গায়ের রং হলকা সবুজ। কে আমি বলতে পারেন?
উত্তর: শসা।
৯| আমি বাইরে থেকে শক্ত। কিন্তু ভিতর থেকে নরম। আমার নাম ইংরেজির “c” অক্ষর দিয়ে শুরু হয়ে শেষ হয় ইংরেজির “t” অক্ষর দিয়ে। কে আমি বলুন দেখি?
উত্তর: ডাব (Coconut)।
১০| যত টানবে, তত বাড়ব। তোমার বুকের সঙ্গে লেগে থাকব। আবার বিপদে তোমার প্রাণও বাঁচাব। কে আমি বলুন দেখি?
উত্তর: সিট বেল্ট!
মজার ধাঁধা (Funny Riddles and Answers)
১| হাত থাকা সত্ত্বেও কে হাত তালি দিতে পারে না?
উত্তর: ঘড়ি।
২| একটা চোখ আছে বটে। তবু দেখতে পায় না। কার কথা বলছি?
উত্তর: সূচ।
৩| যত নেবেন। তত সে পিছনে ছেড়ে যাবে। কার কথা বলছি জানেন?
উত্তর: পদক্ষেপ।
৪| আমি উড়তে পারি। কিন্তু আমার পাখনা নেই। আমি কাঁদি। কিন্তু আমার চোখ নেই। কে আমি বলতে পারেন?
উত্তর: মেঘ।
৫| সে অদৃশ্য। তবু তাকে ভেঙে চলেছি আমরা। কোন জিনিসের কথা বলছি বলুন তো?
উত্তর: প্রতিশ্রুতি।
৬| যৌবনে আমি লম্বা। কিন্তু সময় যত এগতে থাকে, তত আমার দৈর্ঘ্য ছোট হতে থাকি। কে আমি বলতে পারেন?
উত্তর: পেনসিল।
৭| আপনি আমাকে জলে দেখতে পান। তাও আমি ভিজে যাই না। কে আমি?
উত্তর: আপনার নিজের প্রতিবিম্ব।
৮| এই জিনিসটা একান্তই আপনার। কিন্তু অন্য লোকেরা বেশি ব্যবহার করেন। কী জিনিস বলতে পারেন?
উত্তর: আমাদের নাম।
৯| চোখের সামনে শহর। কিন্তু একটাও বাড়ি নেই। জঙ্গল দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু একটাও গাছ নেই। নদী আছে। কিন্তু মাছ নেই। কখন এমন অবস্থা হয় আমাদের?
উত্তর: যখন আমরা ম্যাপ দেখি।
১০| হেড আছে, টেল আছে। কিন্তু লেজ নেই। কোন জিনিস এটা?
উত্তর: পয়সা।
১১| আমি কথা বলতে পারি না। তবু আপনাদের সঙ্গে কথা বলি। আমার “স্পাইন” আছে। তবু আমি মানুষ নই। আমি অনেকের গল্প তো বলি, কিন্তু তবু সব বলা হয়ে ওঠে না। কে আমি বলতে পারেন?
উত্তর: বই।
১২| ভালবাসার একটা সানগ্লাস আর একটা লাঠির প্রয়োজন। কেন জানেন?
উত্তর: ভালবাসা যে অন্ধ! তাই সানগ্লাস আর লাঠি না হলে চলে।
১৩| আমি অন্ধ। কিন্তু শক্তিশালী। আমি যতটা জটিল, ততটাই নরম। কে আমি বলতে পারেন?
উত্তর: ভালবাসা।
১৪| আমি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাই। আবার খুব দীরে ধীরে মারা যাই। আমি আনন্দে থাকি। আবার দুঃখেও। কে আমি?
উত্তর: ভালবাসার সম্পর্ক।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!