আমাদের দেশ অনেক সংগ্রামের পর স্বাধীন হয়েছে আর ২৬ জানুয়ারি আমরা পেয়েছি আমাদের সংবিধান। তাই স্বাধীনতার দিন হোক বা প্রজাতন্ত্র দিবস, দুটোই ভারতীয়দের আবেগের সঙ্গে জড়িত। এই আবেগ আরও একটু উস্কে দিতে এবং যারা দেশের জন্য নিজের প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের কুর্নিশ জানাতে, বারবার এই সংগ্রাম সিনেমার (Patriotic Movies) পর্দায় ফুটে উঠেছে। হিন্দি এবং বাংলা সহ ভারতের অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাতে তৈরি হয়েছে অসংখ্য দেশপ্রেমের সিনেমা। স্বাধীনতা দিবসের এই পুন্যলগ্নে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি সেসব সিনেমার তালিকা (List Of Patriotic Movies In Bengali) যেগুলি জাগিয়ে তুলবে দেশপ্রেম আর মৈত্রীর ভাবনা।তবে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে পারে এরকম সিনেমা কিন্তু ভারত স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই তৈরি হয়েছে। আর সেটা ব্রিটিশ সরকার খুব একটা ভাল চোখে নেয়নি। ১৯৩১ সালে ভি শান্তারামের মারাঠি ছবি ‘স্বরাজ’এ ছত্রপতি শিবাজিকে পতাকা উত্তোলন করতে দেখানো হয়েছিল। চারের দশক শুরু হতে বোঝা যাচ্ছিল যে স্বাধীনতা আসন্ন। তাই সিনেমা আরও সাবালক হল। সিনেমায় (Patriotic Movies) কোনও দৃশ্য দেখানো বা পোস্টারে কোনও নেতার ছবি (বাংলা সিনেমা) ব্যবহারে আর কোনও বাধা রইল না।
আরো পড়ুনঃ স্বাধীনতা দিবসের মেসেজ (Independence Day Quotes)
বাংলা ভাষায় নির্মিত দেশপ্রেমের ছবি (Top Bengali Patriotic Movies)
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলা অর্থাৎ বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের অবদান ঠিক কতখানি, সেটা আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। আজ যদি একশজন দেশ বরেণ্য নেতা ও নেত্রীর নামের একটি তালিকা হয় তাহলে তার মধ্যে অন্তত আশি জন বাংলা থেকেই আসবে। সুতরাং বাংলা ভাষায় যে কিছু মনে রাখার মত্র দেশপ্রেমের ছবি (বাংলা সিনেমা) হবে না সেটা খুব আশ্চর্যের বিশয়। দেখে নেব বাংলায় নির্মিত (Bengali Patriotic Movies) কয়েকটি মনে রাখার মতো দেশপ্রেমের ছবি।
১| চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন (Chattagram Astragar Lunthan)
বিপ্লবী সূর্য সেন, যিনি জনপ্রিয় ছিলেন মাস্টারদা নামে। তিনি ঢাকার চট্টগ্রামের অস্ত্রাগার লুঠ করার পরিকল্পনা করেন তাঁর ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে। তাঁদের নিজে হাতে প্রশিক্ষণও দিয়েছিলেন তিনি (Republic Day Movies)। তবে এই অভিযান ব্যর্থ হয়। তবে এই ঘটনা ভারতীয় স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অন্যতম অধ্যায়।
২| আনন্দমঠ (Anand Math)
সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় ও বিতর্কিত উপন্যাসকেই পর্দায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল। ১৮ শতকে সন্ন্যাসীদের বিপ্লব নিয়ে এই উপন্যাস রচিত হয় (দেশাত্ববোধক সিনেমা)। এখানেই ছিল সেই বিখ্যাত ‘বন্দেমাতরম’ যেটি পরে ভারতের ন্যাশনাল সং বা জাতীয় গান হিসেবে সম্মানিত হয়।
৩| বিয়াল্লিশ (Biyallish)
বাংলায় নির্মিত সর্বাধিক জনপ্রিয় ছবির (Bengali Patriotic Movies) মধ্যে একটি হল বিয়াল্লিশ। বোঝাই যাচ্ছে ১৯৪২ সালে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছিল। বিয়াল্লিশের আন্দোলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর কিছু বছর পরেই স্বাধীনতা আসে। এই ছবিতে অনবদ্য অভিনয় করেছিলেন বিকাশ রায়। তিনি ব্রিটিশদের অধীনে পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় এত প্রানবন্ত অভিনয় করেন যে এরপর রাস্তায় বেরোলে জনতা উন্মত্ত হয়ে তাঁকে মারতে যেত।
৪| সুভাষচন্দ্র (Subhas Chandra)
নেতাজী সুভাষচন্দ্রের জীবন এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অবদান নিয়ে এই ছবি (বাংলা সিনেমা) তৈরি হয়েছিল। সিনেমা বিশেষজ্ঞরা বলেন আজ পর্যন্ত যে যে ভাষায় নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসকে নিয়ে যেকটি ছবি তৈরি হয়েছে তার মধ্যে এটি সবচেয়ে নিখুঁতভাবে নির্মিত। নেতাজীর ছোটবেলার দিনগুলি থেকে তাঁর অন্তর্ধান পর্যন্ত এখানে দেখানো হয়েছে।
৫| মহাবিপ্লবী অরবিন্দ (Mahabiplabi Aurobindo)
বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ যিনি পরে সন্ন্যাস নিয়ে পরিচিত হন ঋষি অরবিন্দ নামে, তাঁকে নিয়েই এই ছবি। বিদেশে উচ্চশিক্ষিত অরবিন্দ ঘোষ জড়িয়ে পড়েন বিখ্যাত আলিপুর বোমার মামলায়। দীর্ঘদিন তাঁর ট্রায়াল চলে (দেশাত্ববোধক সিনেমা)। মুক্তি পেয়ে সশস্ত্র আন্দোলন থেকে সরে যান অরবিন্দ। সন্ন্যাস নিয়ে পনডিচেরি চলে যান তিনি।
৬| দেবী চৌধুরানী (Devi Chowdhurani)
সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ঐতিহাসিক উপন্যাস (Bengali Patriotic Movies) অবলম্বনে এই ছবিটি নির্মিত হয়েছিল। তবে দেবী চৌধুরানী এবং তাঁর গুরু ভবানী পাঠক সত্যিই ছিলেন। ব্রিটিশদের চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল দেবী চৌধুরানী। বড়লোক অর্থবান জমিদার এবং ব্রিটিশদের লুঠ করে সেই অর্থ দেবী বিলিয়ে দিতেন গরীবদের মধ্যে (Republic Day Movies)। সাধারণ গৃহবধূ প্রফুল্ল থেকে দেবী চৌধুরানী হয়ে ওঠার এই চরিত্রে প্রাণ ঢেলে দিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন।
৭| সব্যসাচী (Sabyasachi)
বিপ্লবী মনোরঞ্জন মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে এই কাহিনি। মূল অংশটি নেওয়া হয়েছিল কথাশিল্পি শরতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পথের দাবী’ উপন্যাস থেকে। পিয়ুষ বসু এই ছবিটি (Patrioctic Movies In Bengali)পরিচালনা করেছিলেন। আর ‘সব্যসাচী’র চরিত্র অমর করে দিয়ে গেছেন মহানায়ক উত্তম কুমার।
৮| ফেরারি ফৌজ (Ferari Fauj)
উৎপল দত্তের বিখ্যাত নাটক অবলম্বনে এই ছবিটি (দেশাত্মবোধক সিনেমা) নির্মাণ করেন প্রশান্ত বল। মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন মিঠুন চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। একদল বিপ্লবীদের আত্মত্যাগ এবং স্বাধীনতার জন্য তাঁদের প্রাণ বিসর্জনের অশ্রুসজল কাহিনি তুলে ধরা হয় এখানে।
৯| আবার আসব ফিরে (Abar Asbo Phire)
পরিচালক রবি ওঝা খুব সুন্দর করে দেখিয়েছিলেন স্বাধীনতার যুদ্ধ (দেশাত্মবোধক সিনেমা)। একটি রোম্যান্টিক গল্পের মোড়কে তিনি সেই যুগের ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। গল্পে পুনর্জন্মেরও একটি ইন্টারেস্টিং টুইস্ট রাখা হয়েছিল। ছবিটি খুব জনপ্রিয় হয়। অভিনয় করেছিলেন শ্বাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১০| রাজকাহিনি (Rajkahini)
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় ছবি (বাংলা সিনেমা)। মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। এছাড়াও জয়া আহসান, রুদ্রনীল ঘোষের, সোহিনী সরকারের মতো অভিনেতারাও ছিলেন।১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তান আলাদা করার জন্য র্যাডক্লিফ লাইন টানতে হয়েছিল। ছবিতে (দেশাত্মবোধক সিনেমা) দেখানো হয়েছিল সেই লাইন একটি পতিতাপল্লীর মাঝখান দিয়ে যাচ্ছে। নিজেদের ঘর বাঁচাতে বিদ্রোহ করেন তাঁরা। ছবিটি হিন্দিতেও ‘বেগমজান’ নামে করেন সৃজিত। নাম ভূমিকায় ছিলেন বিদ্যা বালন।
হিন্দিতে নির্মিত দেশপ্রেমের ছবি (Best Patriotic Movies In Hindi)
বলিউডের ব্যপ্তি যেহেতু অনেক বেশি তাই বহু বছর ধরে স্বাধীনতার আন্দোলন ও দেশভক্তি নিয়ে অসংখ্য ছবি (List of Patriotic Movies) এখানে নির্মিত হয়েছে। সবকটি ছবির নাম বলা সম্ভব নয়। তাই আমরা সেরা কয়েকটি ছবির নামই বলব। সবকটি ছবি (Patriotic Movies List) যদিও সরাসরি দেশের আন্দোলন বা কোনও নেতার সঙ্গে জড়িত নয়। কিছু ছবি আছে যা নিজের দেশের প্রতি খেলা বা অন্যান্য ঘটনার মাধ্যমে দেশপ্রেম (Republic Day Movies) দেখানো হয়েছে।
১| প্রহার (Prahaar: The Final Attack)
ভারতীয় সেনাদের নিয়ে আজ পর্যন্ত যা যা ছবি তৈরি হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম নিখুঁত ছবি প্রহার। অসামান্য অভিনয় করেছিলেন নানা পাটেকর। ছোট্ট ভূমিকায় মাধুরীও খুব সুন্দর অভিনয় করেন। চাকরি ছেড়ে দিলেও একজন সেনা অফিসারের দায়িত্ব যে ফুরিয়ে যায়না সেটাই দেখানো হয়েছে ছবিতে।
২| বর্ডার (Border)
জেপি দত্তর এই ছবি (Patrioctic Movies) নির্মিত হয়েছিল ভারতের সীমান্তে সৈনিকদের জীবন নিয়ে। কীভাবে তাঁরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে দেশকে রক্ষা করে সেটাই ছিল ছবির মূল বিষয়। ছবিতে ১৯৭১ সালের ঘটনা দেখানো হয়েছিল। মূল ভূমিকায় ছিলেন সানি দেওল, জ্যাকি শ্রফ, সুনীল শেট্টি প্রমুখ।
৩| সাত হিন্দুস্থানি (Saat Hindustani)
গোয়া ছিল পর্তুগিজদের অধীনে। সেই শাসন থেকে মুক্তি পেতে মারিয়া নামক একজন সত্যাগ্রহী সঙ্গে নেয় আরও ছয়জনকে। যারা ভিন্ন ধর্মের এবং ভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছে। এই ছয় জনের মধ্যে একজন পরে হয়ে ওঠেন হিন্দি ছবির সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন। এছাড়াও ছিলেন উৎপল দত্ত।
৪| শহিদ (Shahid)
ভগত সিংহ শুধু একজন দেশবরেণ্য নেতা ছিলেন না, তাঁর বলিদানের কাহিনি আজও জুব সমাজকে অনুপ্রাণিত করে। অভিনেতা মনোজ কুমার বেশিরভাগই দেশপ্রেমের ছবি (Patrioctic Movies) করতেন। যে কারণে তাঁকে বলা হত মিস্টার ভারত। এখানে তিনি ভগত সিংহের ভূমিকায়। শুকদেবের চরিত্রে ছিলেন প্রেম চোপড়া।
৫| লক্ষ্য (Lakshya)
সিনেমা হিসেবে অতটা জনপ্রিয় না হলেও লক্ষ্য ছবিটি (Patriotic Movies List) বসে দেখার মতো। অন্যান্য ছবির মতো শুধু সৈন্যদের কষ্ট আর দুঃখ দেখিয়ে এই ছবি থামে না। বরং কেরিয়ার হিসেবে ভারতের যুব সমাজের আর্মিতে যোগদানের কথাও ভাবা উচিৎ সেটাই এখানে বলা হয়েছে।
৬| রং দে বসন্তী (Rang De Basanti)
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ছাত্র তাঁদের প্রিয় বন্ধুর মিগ বিমানে মৃত্যুর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে।এই সমকালীন ঘটনার সাথে ফ্ল্যাশব্যাকে দেখানো হয়েছে ভগত সিং, রাজগুরু ও সুখদেবের আন্দোলনের কথা। মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আমির খান, আর মাধবন, সোহা আলি খান প্রমুখ। বিশেষ চরিত্রে ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ওয়াহিদা রেহমান। ভগত সিংহর মুখে প্রচলিত বিখ্যাত গান মেরা রং দে বসন্তী চোলা থেকে ছবির নাম নেওয়া হয়েছে।
৭| দ্যা ঘাজি অ্যাটাক (The Ghazi Attack)
জলের তলায় মূলত এই ছবির শুটিং হয়েছে। কারণ ছবির বিষয় বস্তুই হল সাবমেরিন যুদ্ধ। ভারতের সাবমেরিন আইএনএস বিক্রান্ত এবং পাকিস্তানের সাবমেরিন ঘাজির মুখোমুখি সংগ্রাম এই ছবির বিষয়। বিভিন্ন বাধা পার করে কীভাবে বিক্রান্ত ঘাজিকে কোণঠাসা করে সেটাই দেখার।
৮| উরি দ্যা সারজিক্যাল স্ট্রাইক (Uri: The Surgical Strike)
সম্প্রতি অসম্ভব জনপ্রিয় হয়েছে এই ছবিটি (Patrioctic Movies)। বক্স অফিসেও ভাল ব্যবসা করেছে। মূলত এই ছবির হাত ধরেই ভিকি কৌশলের উত্থান। মায়ের অসুস্থতার কারণে ডেস্ক জব করতে বাধ্য হয় এক অফিসার। কিন্তু পরে পাকিস্থানে সারজিক্যাল স্ট্রাইক করতে যান তিনি।
৯| দ্যা লেজেন্ড অফ ভগত সিং (The Legend of Bhagat Singh)
রাজকুমার সন্তোষী পরিচালিত এই ছবির নাম ভূমিকায় ছিলেন অজয় দেবগণ (Bollywood Patriotic Movies)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ভগত সিংকে নিয়ে একই সময় অন্য একটি ছবি মুক্তি পায়। সেখানে ভগত সিংহর চরিত্রে অভিনয় করেন ববি দেওল। তবে অজয়ের অভিনীত ছবিটি অভিনয় আর চিত্রনাট্যের গুণে বেশি জনপ্রিয় ও সফল হয়।
১০| চক দে ইন্ডিয়া (Chak De India)
সম্ভবত শাহরুখ খানের জীবনে এটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনয়। হকি কোচ কবীর খানের চরিত্রে তিনি অভিনয় করেছিলেন। এগারোটি ভিন্ন ভাষার মেয়েকে কীভাবে তিনি হকির প্রশিক্ষণ দেন এবং সোনা জিতে আসেন সেটাই ছবির মূল বিষয়। ছবিতে অভিনেত্রীদের সঙ্গে কয়েকজন প্রকৃত হকি খেলোয়াড়ও অভিনয় করেন।
১১| লগান (Lagaan)
আশুতোষ গোয়ারিকরের বহুচর্চিত এবং জনপ্রিয় ছবি লগান (Republic Day Movies)। এটি দেশপ্রেমের ছবির ক্ষেত্রে রীতিমতো একটি মাইলফলক তৈরি করেছে। ভারত থেকে অস্কারের জন্য অফিশিয়াল নমিনেশানও পায় ছবিটি। গুজরাতের একটি ছোট্ট গ্রাম চম্পানের কীভাবে ব্রিটিশদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলে নিজেদের কর বা লগান মকুব করে সেটাই দেখার। ছবিতে নায়কের চরিত্রে ছিলেন আমির খান।
১২| ১৯৭১ (1971)
১৯৭১ এর যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছিল। দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন মনোজ বাজপেয়ী। আর্মির কয়েকজন সৈন্য শত্রুদের হাত থেকে বেঁচে লুকিয়ে থাকে। পরে তাঁরা নিজেরা প্ল্যান করে শত্রু দমনের। সেটাই দেখানো হয়েছে।
১৩| মঙ্গল পাণ্ডে দ্যা রাইজিং (Mangal Pandey: The Rising)
ব্যারাকপুরের সেনা ছাউনিতে এক সাধারণ সৈন্য মঙ্গল পাণ্ডে বিদ্রোহ করে। দাঁত দিয়ে এনফিল্ড রাইফেলের টোটা ছিঁড়তে সে অস্বীকার করে। কারণ তাতে মেশানো হত গরুর চর্বি। তার সামান্য বয়কট ১৮৫৭ সালে সারা ভারতে আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে। ইতিহাসে এটিই সিপাই বিদ্রোহ নামে খ্যাত (Bollywood Patriotic Movies)। মঙ্গল পাণ্ডের চরিত্রে অভিনয় করেন আমির খান।
১৪| নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস দ্যা ফরগটেন হিরো (Netaji Subhas Chandra Bose: The Forgotten Hero)
শ্যাম বেনেগালের স্বপ্নের ছবি ছিল এই নেতাজী সুভাষ বোস। নামচরিত্রে অভিনয় করেন শচিন খেরেকর। অনেক ডিটেল গবেষণা করা হয়েছিল এই ছবিটি (Patrioctic Movies) নিয়ে। নেতাজী কীভাবে ছদ্মবেশে পালিয়ে গেলেন এবং সেখান থেকে কীভাবে তিনি দেশের স্বাধীনতা আনার চেষ্টা করলেন সেটাই ছবির বিষয়।
১৫| জুনুন (Junun)
রাস্কিন বন্ডের ছোট গল্প ‘আ ফ্লাইট অফ পিজিয়ন’ থেকে অনুপ্রাণিত এই ছবি। ১৮৫৭ তে মঙ্গল পাণ্ডের হাত ধরে শুরু হয় সিপাই বিদ্রোহ। তবে ইংরেজরা সহজে সেই বিদ্রোহ দমন করে এবং মঙ্গল পাণ্ডের ফাঁসি হয়। তারপরে কী হয়েছিল? সেটাই এই ছবির বিষয়।
১৬| রোড টু সঙ্গম (Road to Sangam)
অসাধারণ একটি ছবি। আর তেমনি অসাধারণ অভিনয় পরেশ রাওয়ালের। ছবিতে তিনি হসমত নামে এক মুসলমানের ভূমিকায়। যার উপর দায়িত্ব বর্তায় একটি গাড়ি সারানোর। এই গাড়িতে করে মহাত্মা গান্ধীর চিতাভস্ম নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। হসমতের সমাজ এটা মেনে নিতে পারে না। শুরু হয় দাঙ্গা। কীভাবে সবাইকে এক করে হসমত এই গাড়ি সারায় সেটাই দেখার।
১৭| মণিকর্ণিকা দ্যা কুইন অফ ঝাঁসি (Manikarnika: The Queen of Jhansi)
দেশপ্রেমের ছবির (List Of Patriotic Movies) তালিকায় নবতম নাম এই ছবি। নাম ভূমিকায় কঙ্গনা রানাউত। ছোট্ট রাজ্য ঝাঁসিকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন রানি লক্ষিবাই আকা মণিকর্ণিকা। সঙ্গে ছিল তাঁর শিশুপুত্রও। যুদ্ধক্ষেত্রেই মৃত্যু হয় রানির। তবে তাঁর বীরগাঁথা আজও লোকের মুখে মুখে ফেরে।
১৮| এলওসি কার্গিল (LOC Kargil)
কার্গিলের লাইন অফ কন্ট্রোলে ভারত বনাম পাকিস্তানের যুদ্ধ হল ছবির বিষয়। ছবির পরিচালক হলেন জেপি দত্ত। এটি ভারতীয় সিনেমার (Patrioctic Movies) ইতিহাসে তৃতীয় দীর্ঘতম ছবি। সঞ্জয় দত্ত, সুনীল শেট্টি, অভিষেক বচ্চন প্রমুখ একই ছবিতে অভিনয় করেন।
১৯| রাজি (Raazi)
ভারত থেকে পাকিস্তানে বিয়ে করে যায় এখানকার গুপ্তচর সেহমত। মেঘনা গুলজারের এই ছবি সেহমতের জীবনী থেকেই অনুপ্রাণিত (Bollywood Patriotic Movies)। নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন আলিয়া ভট্ট। কীভাবে একজন মহিলা দেশের জন্য স্বামী, সংসার সব কিছু বিসর্জন দেয় সেটাই দেখার আছে এই ছবিতে।
২০| চিটাগং (Chittagong)
বেদব্রত পাইনের পরিচালিত দারুণ একটি ছবি। মূলত মাস্টারদা সূর্য সেনের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন নিয়েই এই ছবি নির্মিত। মাস্টারদার চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনোজ বাজপেয়ী।
২১| খেলে হাম জি জান সে (Khelein Hum Jee Jaan Sey)
চিটাগংয়ের মতো একই ঘটনা নিয়ে তৈরি ছবি খেলে হাম জি জান সে। মাস্টারদা সূর্য সেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিষেক বচ্চন (Bollywood Patriotic Movies)। ছবির মূল চমক ছিল বিপ্লবী কল্পনা দত্তের ভূমিকায় দীপিকা পাদুকোন।
২২| স্বদেশ (Swades)
আমেরিকায় নাসায় চাকরি করে মোহন ভারগব বলে একজন বিজ্ঞানী। ছুটিতে সে নিজের গ্রামে ফেরে। সেখানে বিদ্যুতের সমস্যা আছে। মোহন বুঝতে পারে সে নিজে বিদেশে থাকলেও তাঁর নিজের দেশে অনেক সমস্যা আছে। শেষমেশ দেশেই থেকে যায় সে। মোহনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান।
২৩| সরফরোশ (Sarfarosh)
বেআইনি অস্ত্রপাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এক তরুণ পুলিশ অফিসার। মানুষের হাতে কীভাবে এত অস্ত্র আসছে তার তদন্ত শুরু করে সে একদম শিকড়ে পৌঁছে যায়। অসম্ভব জনপ্রিয় (List Of Patriotic Movies) হয়েছিল ছবিটি। পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির খান।
২৪| গোল্ড (Gold)
স্বাধীনতার পর একজন বাঙালি কোচ যার নাম তপন দাস, মূলত তার জীবনের লড়াইয়ের কাহিনি এটি (Bollywood Patriotic Movies)। অনেক বাধা বিপত্তি স্বত্তেও তপন কীভাবে তাঁর দলকে আসন্ন অলিম্পিক্সের জন্য তৈরি করে এবং সোনা জিতে নিয়ে আসে সেটিই মূল গল্প। তপন দাসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অক্ষয়কুমার।
২৫| কেশরী (Kesari)
মনোজকুমারের পর কেউ যদি এই মুহূর্তে মিস্টার ভারত টাইটেল পেতে পারেন তিনি হলেন অক্ষয়কুমার। খুব চড়া দাগের দেশপ্রেম না হলেও অক্ষয় এখন প্রত্যেক ছবিতে দেশের প্রতি কিছু না কিছু বার্তা দিচ্ছেন। কেশরী তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম ভাল ছবি। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে মাত্র ২১ জন শিখ সৈন্য ব্যাটল অব সারগারাহি লড়েছিল। এটি তারই গল্প। ইশার সিংহের চরিত্রে অভিনয় করেন অক্ষয়।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!
Image Source: Instagram, Youtube