একটা বয়সের পর ত্বকের চামড়া কুঁচকে যাওয়া বা ঝুলে পড়া খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়, কিন্তু যদি কম বয়সেই চামড়া ঝুলে যায় সেক্ষেত্রে সত্যিই মন খারাপ যায়। ত্বকে বলিরেখা বা ফাইন লাইন (fine lines) দেখা গেলে আমরা বড্ড চিন্তান্বিত হয়ে পড়ি, কিন্তু কখনও ঠোঁটের ফাইন লাইন নিয়ে চিন্তা করেছেন? ভাবছেন কী বলছি! বুঝিয়ে বলি তাহলে। খেয়াল করে দেখবেন অনেক সময়ে লিপস্টিক (lipstick) লাগানোর পর ঠোঁটে কেমন লাইন দেখা যায় যা দেখতে খুবই খারাপ লাগে। আপনি যতই প্রাইমার বা ফাউন্ডেশন লাগানোর পর লিপস্টিক লাগান না কেন, ঠোঁটে একটা বিশ্রী ফাটা ফাটা লাইন দেখা যায়। একে বলা হয় ব্লিডিং লিপস (bleeding lips)। কিন্তু কেন হয় এই সমস্যা!
ব্লিডিং লিপসের কারণ
নানা কারণে হতে পারে ব্লিডিং লিপসের সমস্যা (ছবি – শাটারস্টক)
অনেক কারণেই ঠোঁটে ফাইন লাইন দেখা দিতে পারে –
- বার বার ঠোঁটে জিভ বোলানো
- শরীরে জলের অভাব
- নানা রকম অ্যালার্জি
- কমদামী ও বাজে প্রোডাক্ট ব্যবহার করা
- এমন কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করা যা আপনার জন্য ঠিক নয়
ব্লিডিং লিপসের সমস্যার ঘরোয়া সমাধান
অনেক দামী প্রোডাক্ট ব্যবহার করার পরেও ব্লিডিং লিপসের সমস্যা থেকেই যায়। আসলে ঠোঁট প্রচন্ড শুষ্ক হয়ে গেলে এই সমস্যা সারার নয়। তবে কিছু ঘরোয়া উপায় আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন –
১। ঠোঁটের উপরে মরা চামড়া থাকলে এই ফাইন লাইনগুলো দেখা যায়। কাজেই সপ্তাহে একবার হলেও ঠোঁটেও স্ক্রাব করা প্রয়োজন। এক চা চামচ চিনির সঙ্গে এক চা চামচ কফি পাউডার ও দুই চা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। এবারে ভাল করে ওই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে আলতো করে আঙুলের ডগা দিয়ে স্ক্রাব করুন। মিনিট দুয়েক পর পরিষ্কার ও নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।
২। অনেক সময়ে আমরা বাজারচলতি এমন কিছু প্রসাধনী ঠোঁটে লাগাই যা আমাদের ঠোঁটের জন্য খুবই ক্ষতিকর হয়। বিশেষ করে বেশ কিছু দামী ও ব্র্যান্ডেড লিপ বামও আমাদের ঠোঁটের জন্য ভাল হয় না। না, প্রোডাক্টের কোয়ালিটি নিয়ে আমরা কোনও সন্দেহ প্রকাশ করছি না। আপনি চাইলে বাড়িতেই লিপ বাম তৈরি করে নিতে পারেন । বাড়িতে তৈরি লিপ বাম যেহেতু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি, কাজেই কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হবে না।
৩। ঠোঁটের চামড়া তোলার বদভ্যেস থাকে অনেকের। এটিও কিন্তু ব্লিডিং লিপস হওয়ার অন্যতম কারণ। ঠোঁটের চামড়া তোলার ফলে ঠোঁটে দাগ পড়ে সে তো আলাদা কথা, ব্যথাও হয়। আর ঠোঁটের চামড়া শক্তও হয়ে যায়। ফলে লিপস্টিক বা লিপ বাম লাগানোর পরেও ফাটা ফাটা দাগ দেখা যায়। কাজেই এই বসভ্যাসটি থাকলে তা ত্যাগ করুন।
৪। যাদের ঠোঁট খুব শুষ্ক, তাঁরা রাসায়নিক প্রসাধনীর বদলে মধু ও মাখন মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। চাইলে এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিনও মেশাতে পারেন। এই উপকরণগুলি ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ঠোঁট করে তোলে কোমল ও গোলাপি।
৫। কমদামী কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না। এতে ঠোঁটে শুধু ফাইন লাইনই হবে না, ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ঠোঁটে নানা ইনফেকশনও হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
পরিশেষে একটাই কথা বলার, সমস্যা যদি খুব বেশি গুরুতর হয় সেক্ষেত্রে তা ফেলে না রেখে ভাল কোনও ডারমেটোলজিস্টের পরামর্শ নিন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!