বিনোদন

প্রেম করার জন্য একটা স্পার্ক দরকার, সেটা আমার এখনও নেই, বলছেন অনুশা বিশ্বনাথন

Swaralipi BhattacharyyaSwaralipi Bhattacharyya  |  Feb 25, 2020
প্রেম করার জন্য একটা স্পার্ক দরকার, সেটা আমার এখনও নেই, বলছেন অনুশা বিশ্বনাথন

অশোক বিশ্বনাথন এবং মধুমন্তী মৈত্রের মেয়ে অনুশা (Anusha) বিশ্বনাথন। বাড়ির সকলের আদরের পুশকিনা। মর্ডান হাইস্কুলের এই প্রাক্তনী এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। অরিন্দম শীলের পরিচালনায় ‘ধনঞ্জয়’ হোক বা মৈনাক ভৌমিকের ‘গোয়েন্দা জুনিয়র’- আলাদা করে তাঁকে দর্শক মনে রেখেছেন। এবার অনীক দত্তর পরিচালনায় ‘বরুণবাবুর বন্ধুু’তে তাঁকে দেখবেন দর্শক। ছবি মুক্তি পাবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। তার আগে একান্ত আলাপচারিতায় ধরা দিলেন অনুশা।

বিখ্যাত পরিবারে বড় হওয়ার চাপটা কোথায়?

আমার কোনও চাপ ছিল না। আমি একেবারে নর্মাল চাইল্ডহুড কাটিয়েছি। মা তো টেকনিক্যালি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মানুষ নন। বাড়িতে কখনও শুটিং বলে অবশ্যই দেখেছি। কিন্তু সেটা আলাদা কিছু নয়। ফলে এখনও আমাকে হঠাৎ দেখলে অনেকেই রেকজনাইজ করতে পারেন না। পারিবারিক কানেকশনটা বুঝতে পারেন না।

‘বরুণবাবুর বন্ধু’ ছবিটা করতে রাজি হলেন কেন?

এই ছবিতে সৌমিত্র দাদুর চরিত্র ঘিরে গল্প। আমাকে প্রথমেই পরিচালক বলে দিয়েছিলেন, অনেক স্ক্রিন টাইম নেই। অনেক ডায়লগ নেই। কিন্তু এত ট্যালেন্টেড শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করার লোভ হয়েছিল। সেজন্যই রাজি হলাম। ব্যক্তিগত জীবনে আমার দুই দাদুর সঙ্গেই আমি খুব ক্লোজ। ফলে এই ছবির স্ক্রিপ্ট শুনে খুব ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করা তো দারুণ ব্যাপার। ব্যক্তিগত জীবনে যোগাযোগ হয়?

‘বরুণবাবুর বন্ধু’র দৃশ্যে অনুশা।

সত্যিই এটা ট্রেজার এক্সপিরিয়েন্স। আমি ভবিষ্যতে গর্ব করে বলতে পারব। আর আলাদা করে ব্যক্তিগত জীবনে সৌমিত্র দাদুর সঙ্গে তো ওভাবে যোগাযোগ হয় না। পার্টিতে দেখা হয়েছে কখনও। কোনও একটা পার্টিতে মনে পড়ছে, বাবা, মাও ছিল। আমি বসে বসে গল্প শুনছিলাম।

অনীক দত্তর সঙ্গেও প্রথম কাজ করলেন। সেটাও নিশ্চয়ই মনে রেখে দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা?

অবশ্যই। আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে, যতটুকু প্রয়োজন উনি ততটুকুই শুট করেন। ফলে তাড়াতাড়ি প্যাক আপ হয়ে যেত। যেটা মৈনাকদার সেটে একেবারেই হত না (হাসি)।

মৈনাক ভৌমিকের ‘গোয়েন্দা জুনিয়র’-এ আপনাদের টিমটা দারুণ ছিল। এখনও আলাদা করে সময় কাটানো হয়?

ঋতব্রত তো আমার জুনিয়র। ওর সঙ্গে ইউনিভার্সিটিতেই দেখা হয়। সৌরসেনীর সঙ্গেও দেখা হতে থাকে। আসলে ওই টিমের সকলের সঙ্গেই ভাল বন্ধুত্ব রয়েছে।

‘বরুণবাবুর বন্ধু’তে আপনি শ্রীলেখা মিত্রের মেয়ের ভূমিকায়। অনস্ক্রিন মাকে কেমন লাগল?

মা মধুমন্তীর সঙ্গে অনুশা। ছবি ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।

আমাদের বেশ কিছু কমন ইন্টারেস্ট পয়েন্ট রয়েছে। আমরা দুজনেই কুকুর ভালবাসি। মা বলে দিয়েছিল, শ্রীলেখা (sreelekha) আন্টি ডার্ক চকোলেট ভালবাসে। নিয়ে যাস। আমি নিয়ে গিয়েছিলাম। খুব খুশি হয়েছিল। বলেছিল, ও! মধুমন্তীদির মনে আছে…। ফলে আমাদের কেমিস্ট্রিটা অনস্ক্রিন বোঝা যাবে।

আর কী কী কাজ করছেন আপনি?

আগের বছর অনেক কাজ করেছি। তাই এই বছর একটু বেছে বেছে কাজ করতে চাই। আপাতত খেয়ালী দস্তিদারের পরিচালনায় ‘প্রত্যাশা’ নামের একটা থিয়েটার করছি। সেখানে সব্যসাচী চক্রবর্তী আমার বাবা। ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায় আমার মা।

নতুন কাজের অফার এলে কি বাবা-মা ডিসিশন নিতে হেল্প করেন?

আমি বাবা-মায়ের সঙ্গে আলোচনা করে নিই। ওঁদের জিজ্ঞেস করি। মাকে আপডেট করতে থাকি। আসলে বড় হয়ে যাওয়ার পর মায়ের সঙ্গে বেশি ক্লোজ হয়েছি আমি। কীভাবে ট্রিকি সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করতে হবে সেটা মায়ের কাছ থেকেই শিখেছি।

ছোটবেলায় মাকে অনেক কড়া ধাতের বলে মনে হত?

আমি আসলে দাদু-দিদার সঙ্গে অনেক বেশি ক্লোজ ছিলাম। কারণ বাবা-মা ওয়ার্কিং ছিলেন। আর মায়ের থেকেও দিদা অনেক বেশি কড়া। এখনও পর্যন্ত আমি বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও গেলে মা বলে, আমাকে ফোন করতে হবে না। দিদাকে জানিও। দিদা খুব অ্যানকশাস। আর মা স্ট্রিক্ট।

অভিনয় ছাড়া অন্য কোনও কিছু করতে ভাল লাগে?

ফোটোশুটে ব্যস্ত অনুশা। ছবি ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।

আমি ছোটবেলায় কত্থক শিখেছি। সেভাবে পারফর্ম করি না। এটা নিজের মধ্যেই রাখতে চাই। আমার পড়াতেও ভাল লাগে। তবে বাচ্চাদের পড়াতে পারব না। পিএইডি করতে চাই। মা যেমন অনেক পরে পিএইচডি করেছে…। আসলে আমার বাড়িক সকলেই টিচার। ফলে এক এক সময় মনে হয় পড়াব। একটা সময় তো অনেক কিছু করতে চাইতাম। তারপর মনে হল, অভিনয় করলে কোনও না কোনও সময় কিছু মুহূর্তের জন্য সব কিছু হতে পারব (হাসি)।

সবে কেরিয়ার শুরু করেছেন, ইন্ডাস্ট্রিতে এমন কেউ রয়েছেন, যাঁর সঙ্গে সব কথা শেয়ার করতে পারেন?

মৈনাকদা, ঋত। ওয়ার্ক রিলেটেড এনিথিং আমি ওদের বলতে পারি। প্রফেশনাল অ্যাডভাইজ নিতে পারি। সেই ভরসা বা বিশ্বাসটা আছে ওদের উপর।

টলিউডে ইংয় ব্রিগ্রেডের অন্যতম আপনি। আপনার লভ লাইফ নিয়ে কিন্তু দর্শকের কৌতূহল থাকবেই…

হা হা হা…। আসলে প্রেম করার জন্য একটা স্পার্ক দরকার বলে মনে হয় আমার। সেটা এখনও আমার মধ্যে নেই। যখন হবে, তখন দেখা যাবে। যাই হোক সেটা অর্গ্যানিক্যালি হতে হবে।

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!

২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!

Read More From বিনোদন